ইভ্যালির সিইওর বাসার সামনে গ্রাহকদের মিছিল

আজ বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন। বিকেল পাঁচটার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এদিকে রাসেলের বাসায় অভিযানের খবর পেয়ে তার বাসার সামনে মিছিল বের করেছেন বেশ কয়েকজন গ্রাহক। গ্রাহকদের কেউ কেউ বলেন, রাসেলকে গ্রেপ্তার করার ফলে গ্রাহকরা আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠান দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কেউই তাদের অর্থ ফেরত পাননি।
রেদোয়ান নামে একজন গ্রাহক বলেন, ইভ্যালির রাসেলকে যথাযথ নজরদারির মধ্যে রেখে আরো কিছুদিন সময় দেওয়া উচিত। একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে তাকে গ্রাহকদের টাকা ফেরত বা পন্য দিতে বাধ্য করা যেতে পারে। তাকে ধরে নিয়ে গেলে গ্রাহকরা পণ্য বা টাকা কিছুই পাবেন না।
এর আগে আজ সকালে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও সিইও মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করেন একজন গ্রাহক।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর আইনভঙ্গের কারণে ইভ্যালির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান সেদিন সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইভ্যালি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ভোক্তা অধিকার আইন ও দণ্ডবিধি আইন লঙ্ঘন করেছে।
প্রসঙ্গত, বিশাল মূল্যছাড়ের লোভ দেখিয়ে ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিলেও পণ্য সরবরাহ করেনি ইভ্যালি। ইভ্যালি যেসব গ্রাহকদের রিফান্ড চেক দিয়েছে, ব্যাংক একাউন্টে টাকা না থাকায় সেগুলোও বাউন্স হচ্ছে।
এছাড়াও জালিয়াতি বা আত্মসাতের তদন্ত চলমান থাকায় ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং তার স্বামী ও কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।