আবারও হাসপাতালে খালেদা জিয়া
চলতি বছরে তৃতীয়বারের মতো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শনিবার বিকালে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি আর্থ্রাইটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগেও তাকে ফলো-আপ চিকিৎসার জন্য একই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সপ্তাহখানেক পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়।
এর আগে জ্বরে আক্রান্ত হলে গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে দ্বিতীয়বারের মতো এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি ৭ নভেম্বর বাড়ি ফিরে আসেন।
গত ২৫ অক্টোবর বিএনপি প্রধানের শরীরের একটি অংশে ছোট একটা 'লাম্প' থাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার ও বায়োপসি পরীক্ষা করা হয়।
পরে তার বায়োপসি রিপোর্ট পর্যালোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়। রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে খালেদার শরীরে ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ শনাক্ত করা যায়নি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, দাঁত, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার চলতি বছরের মে ও আগস্ট মাসে দুবার সরকারের কাছে আবেদন করে। কিন্তু সরকার সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে একজন দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে এই সুযোগ দেওয়ার উপায় নেই।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল কোভিড সংক্রমণ হলে খালেদাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোভিড-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্যজটিলতার কারণে তিনি সেখানে ১৯ জুন পর্যন্ত চিকিৎসা নেন।