আবরার হত্যা: ২২ আসামি আদালতে
দুই বছর পর আজ রোববার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন।
ইতোমধ্যে এ মামলার ২৫ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা ২২ জনকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়েছে। জিসান, রাফিদ ও তানিম- তিনজন পলাতক রয়েছেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ইনর্চাজ, পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর নিপেন বিশ্বাস জানান, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৪ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের (২৮ নভেম্বর) দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়
পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
পরদিন আবরারের বাবা চকবাজার থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন। গত ৩ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে চার্জশিট দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
চলতি বছরের মার্চে মামলাটির দ্রুত বিচারের জন্য আবরারের পরিবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করেন। সে আবেদনে সাড়া দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় আবরার হত্যা মামলাটির বিচারকাজ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ নির্ধারণ করেন।
মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
পরবর্তীতে গত বছরের ২৫ নভেম্বর আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন আদালত।
মামলায় ৬০ জনের মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
এই বছরের ১৪ মার্চ, মামলায় গ্রেপ্তার ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রাসেল, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।
মামলার তিনজন আসামি মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ এখনো পলাতক। তাদের মধ্যে প্রথম দু'জন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহার বহির্ভূত আসামি।