আঙ্গুলের ছাপ না মিললে ভোট দেবেন কিভাবে

ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার পর নির্ধারিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী মূলত ৫টি উপায়ে ভোটার শনাক্ত করতে পারেন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার।
১। স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে
২। স্মার্ট কার্ড এর নম্বর দিয়ে
৩। ১৭ বা ১৩ ডিজিটের জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বার ব্যবহার করে
৪। ভোটার নম্বর ব্যবহার করে
৫। আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে
কিন্তু যদি আঙ্গুলের ছাপ না মেলে, তখন? সেক্ষেত্রে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার প্রথমে সংশ্লিষ্ট ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হবেন ও তার আঙ্গুলের ছাপ নেবেন। তারপর তার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোটারকে শনাক্ত করবেন। এভাবে ১ শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করে তাদের ইলেক্ট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার। তবে সেক্ষেত্রে সেই অফিসারকে উক্ত ভোটারকে শনাক্তকরণের সম্পূর্ণ দায়ভার বহন করতে হবে।
এভাবে ১ শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করার পর যদি অতিরিক্ত ভোটার শনাক্তের প্রয়োজন হয় তখন? তখন প্রথমে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করবেন সংশ্লিষ্ট ভোটার। ঐ ফরমের সমস্ত তথ্য যাচাই ও সংশ্লিষ্ট ভোটারের দায়িত্ব গ্রহণ করে ফরমে স্বাক্ষর করবেন প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার। এক্ষেত্রে প্রিজাইডিং অফিসার সংশ্লিষ্ট ভোটারকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য অনুরোধ করবেন।
এরপর এই ভোটারদের ভোট প্রদান সম্পর্কে রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তারপর রিটার্নিং অফিসার বা তার প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট ভোটারদের ফরম যাচাই করবেন এবং প্রিজাইডিং অফিসারের সুপারিশ করা ভোটারদের ভোট প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
যেসকল ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ মিলবে না, তাদের জন্য আলাদা তালিকা করতে হবে। আর যদি কেউ অবৈধভাবে ভোট দিতে চেষ্টা করে তবে তথ্য প্রযুক্তি আইন ও স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।