Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • অন্যান্য
  • English
The Business Standard বাংলা
tbs
TUESDAY, MAY 24, 2022
TUESDAY, MAY 24, 2022
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • অন্যান্য
  • English
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অধ্যাপক গবেষণা করছেন বাংলাদেশের জন্যও

ফিচার

আশরাফুল হক
13 May, 2022, 08:10 pm
Last modified: 14 May, 2022, 12:37 pm

Related News

  • কণ্ঠস্বরেই কি বোঝা যায় মানুষের ব্যক্তিত্ব?
  • দেশের ৫টি ব্রান্ডের চিনিতে মিলল মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি
  • শোনা তথ্য বেশি মনে রাখতে পারেন অন্ধ মানুষেরা!  
  • কীটনাশকে বেশি ক্ষতির ঝুঁকিতে থাকেন অশ্বেতাঙ্গ মানুষেরা, বলছে গবেষণা
  • ‘সুপারহিরো আইডিয়াল’: সেরা হতে হবে এই চাপ শিশুদের ক্ষতি করছে

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অধ্যাপক গবেষণা করছেন বাংলাদেশের জন্যও

ড. আহমেদ মুশফিক মোবারক। বিশ্বের শীর্ষ সারির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এই বাংলাদেশি তরুণ। কাজ করছেন বাংলাদেশের মঙ্গা সমস্যার সমাধান উদ্ভাবনে। করোনা ঠেকাতে মাস্ক কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে কি না, সে গবেষণাও তিনি করেছেন বাংলাদেশে। সেই গবেষণায় বাংলাদেশ থেকে পাওয়া বিশাল পরিমাণ বৈজ্ঞানিক তথ্য তুলে দেওয়া হয় বিশ্বের হাতে। এছাড়া কাজ করছেন বাংলাদেশ, নেপাল ও সিয়েরা লিওনের কয়েকটি গবেষণা প্রকল্পেও।
আশরাফুল হক
13 May, 2022, 08:10 pm
Last modified: 14 May, 2022, 12:37 pm
ড. আহমেদ মুশফিক মোবারক। ছবি: নুর-এ-আলম

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তরুণ অধ্যাপককে। বাংলাদেশ সরকারের হয়ে কাজ করার পাশাপাশি তিনি যুক্ত হয়েছেন বহু বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে। কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ে গবেষণা ও এটি মোকাবিলায় জনসাধারণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন। বেশ কিছু অর্থনৈতিক সমস্যায় নীতি পরিকল্পনাও করেছেন।

তিনি ড. আহমেদ মুশফিক মোবারক। নিরলস প্রচেষ্টা ও নিজ মেধার জোরে বিশ্বের শীর্ষ সারির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া এই তরুণ।

নিজের প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে ড. মোবারক বলেন, "আমার জন্ম ঢাকার কাকরাইল এলাকায়, কিন্তু শৈশবের অধিকাংশ সময় আমি কাটিয়েছি কলাবাগানে আমার নানার বাড়িতে। অল্প সময়ের জন্য সানবীম স্কুলে পড়েছিলাম, এরপরে মোহাম্মদপুরের সেন্ট জোসেফ স্কুলে ভর্তি হই।"

সেন্ট জোসেফ স্কুলে নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখার পর ভারতের তামিলনাড়ুর একটি বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি করানো হয় তাকে। সেখান থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান মোবারক। 

ম্যাক্যালেস্টার কলেজ থেকে গণিত ও অর্থনীতিতে ব্যাচেলর ডিগ্রি নেন মোবারক। তবে অদ্ভুত ব্যাপার হলো, ৪ বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি তিনি শেষ করেছিলেন ৩ বছরে! আর এর পেছনের কারণটাও মজার!

"বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই আমি বিয়ে করি। যেই মেয়েটিকে আমি বিয়ে করেছি, সে আমার চেয়ে এক বছরের সিনিয়র ছিল, কারণ তার স্নাতক শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৯৯৭ সালে। আমি আমারটা তিন বছরে শেষ করি যাতে আমরা একসাথেই স্নাতক শেষ করে কোথাও স্থির হতে পারি', বলেন মোবারক।

এরপর ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পিএইচডি শুরু করেন মোবারক। তবে তিনি জানান, এ বিশ্ববিদ্যালয় এবং অর্থনীতিকেই বিষয় হিসেবে বেছে নেওয়ার পেছনেও আছে মজার গল্প!

ছোটবেলায় ঢাকার কলাবাগানে তাদের পাশের বাড়িতেই ছিল এক অর্থনীতিবিদের বাড়ি। তিনি কাজ করতেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ)। ছুটিতে যখনই তিনি দেশে ফিরতেন, নিজের গাড়ি নিয়ে এলাকার গলি দিয়ে ঢুকতেন। গলিতে বন্ধুদের সাথে খেলার সময় সে দৃশ্য চোখে পড়ত মোবারকের। তার এখনো মনে পড়ে, সেসময় ওই এলাকায় এমন গাড়ি নিয়ে ঢোকার মতো মানুষ কমই ছিল। তাছাড়া, মোবারকের নানী প্রায়ই ওই অর্থনীতবিদের ভূয়সী প্রশংসা করতেন তার সামনে—তার সফল ক্যারিয়ার, অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি ইত্যাদির গল্প করতেন। 

আর তখন থেকেই বড় হয়ে অর্থনীতিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন দেখেন মোবারক। স্বপ্ন দেখতেন, একদিন তিনিও আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংকে কাজ করবেন। তিনি ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়কেই বেছে নিয়েছিলেন, কারণ এটি বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের সদর দপ্তর থেকে মাত্র ৩০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত। আর সে কারণে অনেক পিএইচডি শিক্ষার্থীই প্রতিষ্ঠান দুটিতে কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন।

ঠিক একইভাবে মোবারকের পরিকল্পনাও কাজে লেগেছিল; ৫ বছরের পিএইচডি প্রোগ্রাম চলাকালে মোবারক তার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে চাকুরির সুযোগ পেয়েছিলেন। সে সময় আইএমএফ থেকে বিশ্বব্যাংকের চাকরিতে বদলি হন তিনি। এ অভিজ্ঞতা মোবারকের চোখ খুলে দেয়। তিনি বুঝতে পারেন, আইএমএফ তার জন্য সঠিক প্রতিষ্ঠান নয়। বরং তিনি আরও বেশি স্বাধীনতা চেয়েছিলেন। 

ছবি: নুর-এ-আলম

২০০২ সালে মুশফিক মোবারক কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। চার বছর পর ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সিমেস্টারের জন্য খণ্ডকালীন সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন তিনি। তবে ইউসি বার্কলিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রস্তাব পেলেও, ওই সিমেস্টার শেষে মোবারক ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়েই স্থায়ীভাবে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

২০১৫ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি হয় মোবারকের। সেই বছরটি ছিল ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুণ এই অধ্যাপকের ১৫তম বছর। বলাই বাহুল্য, মুশফিক মোবারকের এ অর্জন একটি স্মরণীয় ঘটনা, কারণ আইভি লিগের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশি অধ্যাপক আছেন মাত্র দুজন।

একজন উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশগত বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে ড. মুশফিক মোবারকের। বাংলাদেশ, নেপাল ও সিয়েরা লিওনে তার বেশকিছু গবেষণা প্রকল্প এখনো চলমান।

অধ্যাপক মোবারকের গবেষণা প্রকল্পসমূহের বিশেষত্ব হলো, এগুলো শুধুমাত্র ডেটা সংগ্রহ ও নীতিনির্ধারণের সুপারিশের জন্য নয়; বরং মাঠপর্যায়ে গবেষণার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নের উপায় উদ্ভাবনের উদ্দেশ্যে করা হয়। এরপর তিনি সেসব উন্নয়নমূলক কৌশল-গ্রহণের পরিধি বাড়াতে কাজ করেন।

উদাহরণস্বরূপ, এই মুহূর্তে তিনি বাংলাদেশ সরকার এবং অন্যান্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে মিলে প্রমাণ-ভিত্তিক কোভিড সাড়াদান কৌশল পরিকল্পনায় কাজ করছেন।

ড. মোবারক বলেন, "মহামারিতে প্রথমে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো আক্রান্ত হয়েছে। তাই মহামারি যখন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পৌঁছেছে, তখন তারাও ধনী দেশগুলোর নীতি অনুসরণ করেছে। কিন্তু মহামারি শুধুমাত্র একটা স্বাস্থ্য সংকট নয়, অর্থনৈতিক সংকটও বটে। তাই আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে, অর্থনৈতিক মডেলিংয়ের মাধ্যমে দেখা—ভিন্ন আর্থ-সামাজিক পরিপ্রেক্ষিতে নীতিনির্ধারণী বিষয়গুলোও ভিন্ন হওয়া উচিত কি না।"

কোভিডের সময় মহামারি বিশেষজ্ঞরা ব্যস্ত ছিলেন ভাইরাস এবং এর ধরন-বৈশিষ্ট্য নিয়ে। কিন্তু একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে অধ্যাপক মোবারকের মনোযোগ ছিল মানুষের আচরণ এবং তাদের পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির উপর। এছাড়াও, তিনি উন্নয়নশীল দেশের নাগরিকদের মধ্যে মাস্ক পরিধানের প্রবণতার উপরেও লক্ষ্য রেখেছেন।

"শুরুতে ডব্লিউএইচও মাস্ক পরিধান সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা প্রচার করেনি, কারণ সে সময় যথেষ্ট প্রমাণ ছিল না। তাই আমরা প্রমাণ বের করার জন্য গবেষণা শুরু করি এবং আমরা মাঠপর্যায়ে গবেষণার জন্য বাংলাদেশকে বেছে নিই। কারণ এরকম বড় পরিসরের গবেষণা শুধু বাংলাদেশেই সম্ভব", বলেন মোবারক।

বাংলাদেশের ৩ লাখ ৫০ হাজার ঘরে এই গবেষণাটি চালানো হয় এবং পুরো প্রক্রিয়া চলাকালীন ১৫ লাখ মাস্ক বিতরণ করেছেন তারা। এর ফলে এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে কোভিড প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার করা অত্যন্ত কার্যকরী।

এক পর্যায়ে এ প্রকল্পে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানের ১০ কোটি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এদের মধ্যে বাংলাদেশের ৩৫টি উচ্চমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ জেলার ৮ কোটি ১০ লাখ মানুষ ছিল।

"অবশেষে বাংলাদেশ থেকে একটা বিশাল পরিমাণ বৈজ্ঞানিক তথ্য বিশ্বের হাতে তুলে দেওয়া হলো," সন্তুষ্টির স্বরে বললেন অধ্যাপক।

মহামারি মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণই বাংলাদেশে মোবারকের প্রথম প্রকল্প নয়। দেশের উত্তরবঙ্গে মৌসুমী দারিদ্র্য (যা 'মঙ্গা' হিসেবে পরিচিত) সমাধানের উপায় উদ্ভাবনেও তার প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্য।

সেপ্টেম্বর-নভেম্বরের দিকে ধান তোলার আগের সময়টায় কাজের অভাবে উত্তরবঙ্গের বহু মানুষ মৌসুমী দারিদ্রের শিকার হয় এবং অর্থের অভাবে খাদ্যাভাবে ভোগে।

অধ্যাপক মোবারক বলেন, "যে ব্যাপারটা আমাকে পীড়া দেয় তা হচ্ছে, তিন মাসের মতো সময় এ অঞ্চলের শিশুরা খাদ্যের অভাবে ভোগে এবং এর ফলে তাদের শারীরিক ও জ্ঞানের বিকাশ ব্যহত হয়। শিশুদের উৎপাদনক্ষমতার উপর এর দীর্ঘকালীন ও গভীর প্রভাব রয়েছে।"

তবে তিনি জানান, 'মঙ্গা' একটি সমস্যাযুক্ত শব্দ এবং এটি উত্তরবঙ্গের মৌসুমী দারিদ্র্যকে সঠিকভাবে তুলে ধরে না।

তিনি আরো যোগ করেন, মানুষ যখন একটি মরিয়া পরিস্থিতিতে পড়ে, তারা তখন প্রায়ই ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। যেমন, তারা চড়া সুদে ঋণ নেয় এবং আগেভাগেই সস্তায় শ্রম বিক্রি করে। আর এটাই দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র।

এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষেরা সাময়িকভাবে শহরে বা অন্যান্য কৃষিভিত্তিক অঞ্চলে কাজের সন্ধানে যায়। সেসময় তারা ভবন-নির্মাণ শ্রমিক, কৃষক বা রিকশাওয়ালা হিসেবে কাজ করে।

২০০৭-২০০৮ সালের মধ্যে অধ্যাপক মোবারক দেখেছেন, দারিদ্র্যপীড়িত ৩৫ শতাংশ পরিবার তাদের পরিবারের সদস্যদের এ সময় অন্য শহরে পাঠিয়ে দেয়। এখান থেকে একটি প্রশ্ন জাগে, 'তাহলে বাকি পরিবারগুলো কেন পাঠায় না?'

তারপর মোবারক এমন একটি পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়নের উপায় বের করলেন, যেখানে বাকি পরিবারগুলোকে টাকা দেওয়া হবে যাতে তারা অন্য শহরে গিয়ে কাজ খুঁজতে পারে। তার পরিকল্পনা সফল হয় এবং মৌসুমি অভিবাসীর হার ৩৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬০ শতাংশে পৌঁছায়। শহরে কাজ করে পাওয়া মজুরি দিয়ে তারা পরিবারকে সাহায্য করতে থাকে, এবং মোবারক লক্ষ করেন, সেই সাথে পরিবারের সদস্যদের দৈনিক খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ আগের চেয়ে ৬০০ ক্যালরি বেড়ে গেছে।

"এ পরিকল্পনায় সফলতা পাওয়ার পর আমরা প্রকল্পটিকে একটি এনজিওর মাধ্যমে আরো এগিয়ে নিই। শুরুতে ২০০০ মানুষকে নিয়ে শুরু হয়েছিল প্রকল্পটি। ২০১৭-১৮ সালে আমরা বছরে দেড় লাখ মানুষকে এই সেবার অন্তর্ভুক্ত করেছি," বলেন মোবারক।

ছবি: নুর-এ-আলম

এরপরে মোবারক নেপালের টেরাই অঞ্চল নিয়ে গবেষণা শুরু করেন, যেখানে একই রকম মৌসুমি অভিবাসন হয়ে থাকে। কিন্তু তিনি দেখলেন, সেখানে অভিবাসনের হার ইতোমধ্যেই অনেক বেশি—৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। তাই সেখানে আর কাউকে শহরে যাওয়ার খরচ দিতে হয়নি। তবে তিনি লক্ষ করেন, উচ্চ অভিবাসন হার সত্ত্বেও অভিবাসী পরিবারের সদস্যদের মধ্যে খাদ্য গ্রহণের মাত্রা কম।

এর কারণও খুঁজে বের করেছেন মোবারক। যেহেতু টেরাই অঞ্চলের লোকেরা ভারতের সীমান্তের ভেতরে চলে আসে কাজ করতে, তাদের পক্ষে নিয়মিত বাড়িতে টাকা পাঠানো সম্ভব হয় না। তাই নেপালের ক্ষেত্রে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হলো।

এ প্রকল্পের আওতায়, অভিবাসনের সময় পরিবারগুলোকে বিনা সুদে ঋণ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হলো। শর্ত ছিল, ডিসেম্বর মাসে অভিবাসীরা ফিরে এলে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। দেখা গেল, ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশই ঋণ পরিশোধ করতে পেরেছে। এর ফলে খুব বেশি খরচ ছাড়াই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়।

এ ধরনের চমৎকার সব গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা ও কার্যকরী উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়নের পাশাপাশি, অধ্যাপক আহমেদ মুশফিক মোবারক গবেষণা অবকাঠামো তৈরিতেও ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ইয়েল রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ অন ইনোভেশন স্কেল (ওয়াই-রাইজ) এর প্রতিষ্ঠাতা ও ফ্যাকাল্টি পরিচালক।

এছাড়াও, তিনি আরবান সার্ভিস রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ অব দ্য আবদুল লতিফ জামিল পোভার্টি অ্যাকশন ল্যাব-এর সহ-চেয়ারম্যান। নোবেলবিজয়ী দুই অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জি ও এস্থার ডুফলো এই সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা।

অধ্যাপক মোবারক ইয়ুথ পলিসি ফোরাম (ওয়াইপিএফ) এর মতো বাংলাদেশি প্ল্যাটফর্মেরও একজন পৃষ্ঠপোষক। সর্বোপরি, তার চিন্তা-চেতনা ও কাজের উপর তার নিজ দেশের একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রয়েছে।

সম্প্রতি ইয়েল ইনসাইটস'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক মোবারক বলেন, "বাংলাদেশে বড় হওয়ার সময় আমি যেসব বিষয় দেখেছি, তা নিয়ে আমার ব্যাপক গবেষণা করার আছে বলে মনে করি।"
 

Related Topics

টপ নিউজ

অর্থনীতিবিদ / ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় / গবেষণা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ইউরোর বিপরীতে রুবলের দাম পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ডের কাছাকাছি
  • আগামী বছরের জুলাই থেকে কার্যকর হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন
  • ‘মাঙ্কিগেট কেলেঙ্কারি' মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছিল, মৃত্যুর আগে ব্রেট লিকে জানিয়েছিলেন সাইমন্ডস    
  • দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে নাভানার ১০ বছরের মহাপরিকল্পনা   
  • এবার অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকেও বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
  • রাশিয়ার হাতে ১১৩টি বিমান হারিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ইজারাদার প্রতিষ্ঠান 

Related News

  • কণ্ঠস্বরেই কি বোঝা যায় মানুষের ব্যক্তিত্ব?
  • দেশের ৫টি ব্রান্ডের চিনিতে মিলল মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি
  • শোনা তথ্য বেশি মনে রাখতে পারেন অন্ধ মানুষেরা!  
  • কীটনাশকে বেশি ক্ষতির ঝুঁকিতে থাকেন অশ্বেতাঙ্গ মানুষেরা, বলছে গবেষণা
  • ‘সুপারহিরো আইডিয়াল’: সেরা হতে হবে এই চাপ শিশুদের ক্ষতি করছে

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

ইউরোর বিপরীতে রুবলের দাম পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ডের কাছাকাছি

2
অর্থনীতি

আগামী বছরের জুলাই থেকে কার্যকর হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন

3
খেলা

‘মাঙ্কিগেট কেলেঙ্কারি' মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছিল, মৃত্যুর আগে ব্রেট লিকে জানিয়েছিলেন সাইমন্ডস    

4
অর্থনীতি

দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে নাভানার ১০ বছরের মহাপরিকল্পনা   

5
বাংলাদেশ

এবার অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকেও বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

6
আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার হাতে ১১৩টি বিমান হারিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ইজারাদার প্রতিষ্ঠান 

The Business Standard
Top

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net

Copyright © 2022 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab