ঝুলেলাল ওরফে জিন্দাপীর: যার বাহন ইলিশ
গৌরবর্ণ চেহারা, বুক পর্যন্ত নেমে আসা ধবধবে সাদা দাড়ি। বসে আছে রুপালি ইলিশের পিঠে বিছানো পদ্মে। তিনি ঝুলেলাল—পাকিস্তানের সিন্ধুনদের জিন্দাপীর। ইষ্টদেবতা। হিন্দুদের কাছে তিনি দেবতা, মুসলিমদের কাছে জিন্দাপীর, দরিয়াপীর।
এই পীর পরম শ্রদ্ধার পাত্র অনেকের কাছে। রুনা লায়লার কণ্ঠে সেই বিখ্যাত গানের কথা নিশ্চয় আমাদের মনে আছে? 'দমাদম মাস্ত কালান্দার... হো লাল মেরি পাত রখিয়ো ভালা ঝুলেলালনা'। এ গানেই তো এই তার প্রতি মানুষের ভক্তিশ্রদ্ধা ফুটে ওঠে। এই গান গেয়েই তো আন্তর্জাতিক খ্যাতি কুড়িয়েছেন রুনা লায়লা।
লাল শাহবাজ কালান্দারের সমাধিফলকে স্পষ্ট করে লেখা 'ঝুলেলাল'। প্রতিদিন জাতধর্ম নির্বিশেষে লাখ লাখ মানুষ ভিড় জমায় সে দরগায়। ভক্তিভরে তাকে ঝুলেলাল নামেও ডাকেন হিন্দু-মুসলমান দুই ধর্মের মানুষ। কেন তিনি মাস্ত কালান্দার আর কেনই বা ঝুলেলাল সেই ইতিহাস নিয়েও উভয় ধর্মের অনুসারীদের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাস। তবে সবার কাছেই তিনি পরম শ্রদ্ধেয়।
মুসলমানদের মতে, বাগদাদের কাছে বাস করতেন হজরত সৈয়্যদ উসমান মারওয়ান্দি ওরফে শাহবাজ কালান্দারের পূর্বপুরুষরা। তিনি হজরত আলীর (রা:) বংশধর।
ফকির (যিনি নিজেকে নিঃস্ব করেছেন দুনিয়াবি লোভ থেকে) শাহবাজ পারস্য পাড়ি দিয়ে সিন্ধে আসেন ও ইসলাম প্রচার করতে থাকেন। সৃষ্টিকর্তার প্রেমে মত্ততার কারণেই তিনি একজন মাস্ত কালান্দার বা উচ্চমার্গের পরিব্রাজক সাধক। আর ঝুলেলাল শব্দটি এসেছে তার বেশ ঢিলেঢালা লাল আলখেল্লার কারণেই।
এই তথ্য ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনার প্রেস থেকে প্রকাশিত সুফিস অ্যান্ড সেইন্টস বডিস: মিস্টিসিজম, কর্পোরিয়্যালিটি অ্যান্ড সেক্রেড পাওয়ার ইন ইসলাম গ্রন্থ থেকে পাওয়া যায়।
তবে আরেকটি সূত্র বলে, তার চেহারায় ছিল পদ্মরাগমণির মতো উজ্জ্বল লাল আভা। এটি তার পবিত্র অন্তরাত্মার প্রতীক ছিল বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করেন।
কিন্তু, শাহবাজ কালান্দারের জন্ম ও পরিচয় নিয়ে কিন্তু সম্পূর্ণ এক ভিন্ন লোকজ অতীতের কথা বিশ্বাস করেন হিন্দুরা। হিন্দুদের কাছে পরম শ্রদ্ধেয় দেবতা তিনি, যার বাহন ইলিশ। তিনি চলাফেরা করেন ইলিশের পিঠে চেপে। অথচ ইলিশপ্রিয় বাঙালির কাছেই মর্যাদা পাননি তিনি। তবে পাকিস্তানের সিন্ধে ইলিশের নাম কিন্তু ইলিশ নয়, সেখানে এর নাম 'পাল্লা'। যাহোক, জিন্দাপীর ওরফে ঝুলেলালকে নিয়ে প্রচলিত আছে তাদের এক অপূর্ব লোককাহিনি। সে কাহিনী পাকিস্তানের সিন্ধকে কেন্দ্র করে।
তার সমাধি নিয়েও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মত। যেমন সিন্ধের শেহয়ান শরীফের মাজারকেই তার সমাধি মনে করেন মুসলমানরা। ১৩ শতকে তুঘলক রাজবংশ এটি নির্মাণ করে সেখানে তার দেহাবশেষ পুনরায় সমাধিস্থ করে বলে উল্লেখ করেছেন কিছু ঐতিহাসিক।
আবার ঝিঝান গ্রামে ঝুলেলালের সমাধির ব্যাপারেও উভয় ধর্মের মানুষের বিশ্বাস রয়েছে। এ দুটি পৃথক দুই সাধকের সমাধিও হতে পারে। তবে বিখ্যাত সুফিদের একাধিক মাজার থাকার ঘটনা আমাদের উপমহাদেশে মোটেও বিরল নয়।
সিন্ধুপাড়ের ঝুলেলালের গল্প
বদ্বীপ সিন্ধ কিন্তু সুফিবাদেরও উর্বর ভূমি। বেশ কয়েকজন বিখ্যাত সুফি সাধক এই সিন্ধের সন্তান। ইন্দু নদী বড় একটা ভূমিকা রেখেছে সিন্ধের সুফিবাদের বিবর্তনে। সিন্ধের শেষ হিন্দু রাজা ছিলেন দাহির সেন। এরপর এটি খলিফা আল ওয়ালিদের খিলাফতের অংশ হয়। দশম শতাব্দীতে সিন্ধ চলে যায় সুমরা রাজবংশের অধীনে। হিন্দু থেকে মুসলিম হওয়া সুমরা রাজারা ছিলেন উদার ও পরধর্মসহিষ্ণু।
কথিত আছে, তবে সুমরা রাজাদের অধীনস্থ থাট্টা প্রদেশের শাসক মিরখশেখ (মকরব খান) ছিলেন গোঁড়া। ৯৫০ সালে মিরখশেখ ফরমান জারি করেন, থাট্টার হিন্দুদের ইসলাম গ্রহণ করতে হবে। নইলে পেতে হবে শাস্তি। তখন হিন্দু গ্রামগুলোর বাসিন্দারা যায় সিন্ধু নদের কাছে। সিন্ধু নদ গ্রামবাসীদের বলে, টানা চল্লিশ দিন ধরে জলদেবতা বরুণ দেবের পূজা করতে। এরপর থাট্টার হিন্দুরা সিন্ধু নদের তীরে শুরু করে বরুণ দেবের পূজা। টানা চল্লিশ দিন তারা একবেলা উপবাস করে। এই চল্লিশ দিন তারা চুল-দাড়ি কাটেনি, এক জামায় থেকেছে।
চল্লিশতম দিন সন্ধ্যায় থাট্টার হিন্দুদের জন্য এল দৈব আদেশ। সিন্ধু নদ থেকে একটি কণ্ঠ তাদের বলল, দেবকীর গর্ভে জন্ম নিয়ে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। এ কথা শুনে হিন্দুরা মিরখশাহের কাছে গিয়ে আরও কদিন সময় চাইল। বলল, ঈশ্বর স্বয়ং আসছে তাদের রক্ষা করতে। তাদের অনুরোধ মঞ্জুর করলেন মিরখশাহ। তিন মাস পর সত্যিই আশ্বিনের পূর্ণিমায় গর্ভবতী হন রতনচাঁদ লোহানোর স্ত্রী দেবকী। তারপর চৈত্রের পূর্ণিমায় গভীর রাতে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন দেবকী। সেদিন থাট্টার আকাশ থেকে বৃষ্টিধারা নেমে এসে স্বাগত জানিয়েছিল নবজাতককে।
নবজাতক ভূমিষ্ঠ হওয়ার খানিক পরই ঘটে এক অলৌকিক ঘটনা। নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য শিশুটি হাঁ করতেই সবাই অবাক হয়ে দেখেছিল তার মুখের ভেতর বইছে সিন্ধু নদ। আর নদীর পানিতে ভাসছে একটি অতিকায় পাল্লা, অর্থাৎ ইলিশ। সেই ইলিশের ওপর বসে আছেন এক বরুণ দেব। মাথাভর্তি ধবধবে সাদা চুল, মুখে সাদা শ্মশ্রু। মাথায় সোনার মুকুট।
সদ্যোজাত শিশুটিকে দেখতে এসেছিলেন জ্যোতিষীরাও। তার কোষ্ঠী দেখে এক জ্যোতিষী বলেন, এ জলদেবতা বরুণের অবতার। তাই তিনি শিশুটির নাম দেন দরিয়ালাল। আরেক এক পাঞ্জাবী জ্যোতিষী তার নাম দেন উদেরোলাল। শিশুটির জন্মের কিছুদিন পরেই ঘটে আরেক অলৌকিক ঘটনা।
শিশুটির ঝুলা বা দোলনা সারাদিন ধরে নিজে থেকেই দুলত। এ কারণে তার নাম হয়ে যায় ঝুলেলাল। ঝুলেলালের জন্মের অল্পদিন পরই মারা যান দেবকী। তার দেখাশোনার জন্য ফের বিয়ে করেন রতনচাঁদ।
অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ঝুলেলালের খবর চলে যায় মিরখশাহের কানে। মিরখশাহ হিন্দুদের ডেকে জানতে চান, আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে তাকে। আরও কিছুদিন সময় চাইল হিন্দুরা। সময় দিলেন মিরখশাহ।
এরপর মিরখশাহ তার এক মন্ত্রীকে পাঠান ঝুলেলালের গ্রামে। মিরখশাহের অজান্তেই ঝুলেলালকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন ওই মন্ত্রী। শিশু ঝুলেলালের জিভে বুলিয়ে দেন একটি বিষ মাখানো গোলাপ। ওই মুহূর্তে বন্ধ ঘরে ঢুকে পড়ে একঝলক দমকা হাওয়া। পরক্ষণেই মিরখশাহের মন্ত্রী দেখেন শিশু ঝুলেলাল দোলনায় নেই, ঘরের ভেতর দাঁড়িয়ে আছেন এক বৃদ্ধ। সাদা চুল, সাদা দাড়ি, মাথায় মুকুট। মুহূর্তের মধ্যেই ঘরটি পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। চারিদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল রক্তাক্ত শবদেহ। তার মাঝখানে ঘোড়ায় পিঠে বসে ছিলেন রূপবান এক তরুণ যোদ্ধা। পরমূহূর্তেই যোদ্ধাটি হয়ে যায় এক সুদর্শন কিশোর। পেছনে প্রবহমান সিন্ধু নদ। বাতাসের দমক কমার পর মিরখশাহের মন্ত্রী দেখেন দোলনায় শুয়ে তার দিকে তাকিয়ে খিলখিল করে হাসছে শিশু ঝুলেলাল। এরপর ওই মন্ত্রী ক্ষমা চেয়ে ফিরে যান।
মন্ত্রীর মুখ থেকে এ ঘটনা শুনে বিশ্বাস করেননি মিরখশাহ। কিন্তু ওই রাতেই তিনি স্বপ্নে দেখেন একটি শিশু বসে রয়েছে তার বুকে। খানিকক্ষণের মধ্যেই শিশুটি পরিণত হয় সফেদ চুল-দাড়িওয়ালা বৃদ্ধে। বৃদ্ধটি পরিণত হয় যোদ্ধায়। ওই যদ্ধার সঙ্গে লড়াই করতে করতে ক্রমেই কাবু হয়ে যাচ্ছেন মিরখশাহ।
বালক ঝুলেলাল ছোটবেলা থেকেই ধর্মকর্মে মনোযোগী ছিল। তাকে সংসারী করবার জন্য তার সৎ মা একদিন তাকে এক পাত্র সেদ্ধ কড়াইশুঁটি দিয়ে বাজারে পাঠান বিক্রি করে চাল কিনে আনার জন্য। ঝুলেলাল অর্ধেক কড়াইশুঁটি দেয় ভিখারিদের, বাকি অর্ধেক পাত্রসহ উৎসর্গ করে সিন্ধু নদকে। তারপর সারাদিন কাটায় সিন্ধুর তীরে বসে ধর্ম আলোচনা করে। সন্ধ্যায় সিন্ধু নদের ঢেউ ঝুলেলালকে ফিরিয়ে দেয় সেই পাত্র। তাতে ছিল সুগন্ধী চাল। বাড়িতে ফিরে পাত্র ফেরত দেওয়ার পর দামি সুগন্ধি চাল দেখে অবাক হন সৎ মা। পরদিন আবার ঝুলেলালকে হাটে পাঠান তিনি। সেদিনও সে ফেরে সুগন্ধি চাল। এরপর সৎ মা রতনচাঁদকে পাঠান ঝুলেলের পিছু পিছু। দূর থেকে রতনচাঁদ দেখেন ছেলে সিন্ধুর কাছ থেকে পাচ্ছে সুগন্ধি চাল। সেই দৃশ্য দেখে ছেলেকে কুর্নিশ করেন তিনি। এরপর গোটা সিন্ধুতে ছড়িয়ে পড়ে ঝুলেলালের অলৌকিক ক্ষমতার কথা।
এদিকে মন্ত্রণাদাতাদের পরামর্শে ঝুলেলালকে হত্যার জন্য সৈন্য-সামন্ত নিয়ে বের হন মিরখশাহ। সশস্ত্র মিরখশাহকে বারো বছরের ঝুলেলাল মৃদু হেসে বলে, 'শাহ, আপনার চারদিকে যা দেখছেন, সবই একই প্রভুর সৃষ্টি। যাকে আপনি সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেন, তিনিই আমাদের ঈশ্বর। আমরা সবাই তারই সন্তান। তাই আপনি আমার পরম আত্মীয়।' তবু ঝুলেলালকে হত্যার আদেশ দেন মিরখশাহ।
সৈন্যরা ঝুলেলালের দিকে এগোতে শুরু করতেই অকস্মাৎ ফুঁসে ওঠে শান্ত সিন্ধু নদ। প্রবল জলস্রোতে তলিয়ে যেতে থাকে মিরখশাহের সৈনারা। মিরখশাহকেও ঘিরে ধরে অশান্ত সিন্ধুর উন্মত্ত ঢেউ। প্রবল বজ্রপাতে মিরখশাহের প্রাসাদ জ্বলতে শুরু করে দাউদাউ করে।
এবার বোধোদয় হয় মিরখশাহের। তিনি চেঁচিয়ে বলেন, 'আমার অপরাধ বুঝতে পেরেছি। সিন্ধুকে শান্ত করুন, আমার সঙ্গীদের রক্ষা করুন।' তার কথা শেষ হতে-না-হতেই শান্ত হয়ে পড়ে সিন্ধু নদ। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমে নিভিয়ে দেয় প্রাসাদের আগুন। এরপর হিন্দুদের মুসলিম হওয়ার ফরমান তুলে নেন মিরখশাহ। ভক্ত হয়ে যান ঝুলেলালের।
হিন্দু ধর্মের এক বিশেষ ধারা প্রবর্তন করেছিলেন ঝুলেলাল। দরিয়াপন্থী নামেই এ ধারা আজও পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে জনপ্রিয়। নিজের প্রথম ভক্তকে ঝুলেলাল উপহার দিয়েছিলেন সাতটি সাংকেতিক বস্তু—পবিত্র আংটি, মাটির প্রদীপ, খান্তা বা চাদর, একটি ধাতব পাত্র, তেগ বা তরবারি, ডমরু ও কলস। আজও দরিয়াপন্থীদের কাছে এগুলো পরম পবিত্র বস্তু।
ঝুলেলাল গিয়েছিলেন বর্তমানে করাচি মানোহারো দ্বীপে। সেখানে তার ভক্তেরা তৈরি করেন বরুণ দেবতার মন্দির। সেই মন্দির প্রাঙ্গণে তৈরি করা হয় ঝুলেলালের মন্দিরও। এরপর ঝুলেলাল ফেরেন জন্মভূমি নাসেরপুরে। তার কাছেই হালা নামক স্থানে তৈরি হয় উদেরোলাল-জো-মন্দির। ঝুলেলাল ওই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেন মামুন নামে এক মুসলমান বৃদ্ধকে। সেই মন্দির আজও টিকে আছে। আজও এর রক্ষণাবেক্ষণ করে মুসলমানেরা। তাদের কাছে ঝুলেলাল হলেন জিন্দাপীর শেখ তাহির।
জীবনের শেষের দিনগুলো ঝুলেলাল কাটান ঝিঝান গ্রামে। সেখানে এক বাবলা গাছের নিচে বাঁধেন কুঁড়েঘর। কয়েক মাস তপস্যার পর তপস্যারত অবস্থাতেই দেহত্যাগ করেন উদেরোলাল ঝুলেলাল। তখন তার বয়স মাত্র তেরো বছর। ঝুলেলালের প্রয়াণের খবর পেয়ে ঝিঝান গ্রামে ছুটে আসে লাখ লাখ মানুষ। আসে মিরখশাহের প্রতিনিধিরাও। হিন্দু ভক্তরা ঝিঝান গ্রামে মন্দির তৈরির দাবি জানায়, মুসলমান ভক্তেরা জানায় দরগা তৈরির দাবি। দুপক্ষের মধ্যে যখন যুদ্ধ লাগার উপক্রম, তখন আসে এক দৈববাণী। তাতে বলা হয় এমন এক স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করতে, যেখানে হিন্দু ও মুসলমান উভয়ই যে যার প্রভুর আরাধনা করতে পারবে।
এরপর বিভেদ ভুলে দুই ধর্মের ভক্তরা এক হয়ে বানায় ঝুলেলালের স্মৃতিসৌধ। ঝিঝান গ্রামের নতুন নাম হয় উদেরোলাল। আর ঝুলেলালের স্মৃতিসৌধ আজ বিখ্যাত দরগা উদেরোলাল নামে। আজও পাকিস্তানে আছে সেই দরগা।
ওই দরগার একপাশে ঝুলেলালের পূজা করে সিন্ধের হিন্দুরা, অন্যপাশে বসে নামাজ আদায় করে মুসলমানেরা। রোজ সন্ধ্যায় জ্বলে ওঠে হাজার হাজার প্রদীপ। সিন্ধের হিন্দুরা ওই প্রদীপকে বলে দিয়া, মুসলমানরা বলে শাম্মা। ঝুলেলাল টিকে আছেন ধর্মীয় সম্প্রীতির উজ্জ্বল প্রতীক হয়ে।