দেশের প্রথম অনলাইন অকশন হাউস 'সওদা': পাবেন বিখ্যাতদের শিল্পকর্ম, ইলেকট্রনিক্স, ফ্যাশন পণ্য...
সওদা বলে, সুখ কিনুন। এর প্রতিষ্ঠাতা জাকারিয়া স্বপন বলেন, 'সুখ কেনা যায় কি-না তা নিয়ে ফিলসফিক্যাল বিতর্ক থাকতে পারে তবে সাধারণভাবে ভালো কিছু আমরা অর্জন করতে পারলে সুখী হই। সওদা থেকে আমরা চাই মানুষের কাছে অমূল্য জিনিসপত্র পৌঁছাতে, যা দিয়ে মানুষ আনন্দিত হতে পারে।'
নিলামের দেশী অনলাইন প্রতিষ্ঠান সওদাডটকম (sowda.com)। যাত্রা শুরু করে এ বছরের এপ্রিল মাসে। স্বপন জানাচ্ছিলেন, "আমরা এমন একটা নাম খুঁজছিলাম যা সব মানুষের চেনা বিশেষ করে বাঙালির চেনা। তাই সওদা নামের প্রতি আগ্রহী ছিলাম বেশি। কিন্তু এক ইতালিয়ান ভদ্রলোকের আগে থেকেই এ নামে ডমেইন নেওয়া ছিল। আমরা ছয় মাস তার পেছনে ঘুরে ঘুরে নামটা নিজেদের করতে পেরেছি।"
পেছনে প্রিয়ডটকম
নামটি সংবাদ পাঠকদের কাছে পরিচিত আগে থেকেই। স্বপন জানালেন, এটা হলো নিউজ অ্যাগ্রেগেটর মানে যেখানে খবর সমষ্টিভূত থাকে। গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে নিয়ে একটা সফটওয়্যার এখানে নিয়মিত জড়ো করতে থাকে। ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ প্রিয়ডটকম থেকে খবর সংগ্রহ করে থাকে। যার মধ্যে প্রায় ৪ লাখ মানুষ আমেরিকায় থাকেন। সওদা একদম আনকোরা প্লাটফর্ম হলেও সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রিয়ডটকমের আছে বিস্তীর্ণ পরিচিতি। সেটা কাজে লাগছে সওদায়।
এপ্রিলে সওদার শুরুটা হয়েছিল ইলেকট্রনিক্স পণ্য দিয়ে। মূলত বেশি মানুষের কাছে দ্রুত নামটি পৌঁছাতেই ইলেকট্রনিক্স তোলা হয়েছিল। শুরুতেই হাজার হাজার মানুষ বিড করেছিল ডিজিটাল এই নিলামঘরটায়। ৩১ আগস্টের মধ্যেই বিক্রি পৌছেছিল কোটির ঘরে। তারপর এখানে জড়ো করা হয়েছিল ঘর সজ্জাসামগ্রী, ফ্যাশন সামগ্রী আর পুরোনো অনেক কালেক্টিবলস (যেস্ব পণ্য সংগ্রহে রাখার গুরুত্ব তৈরি হয়েছে)। ক্রমেই ভিড় বাড়তে থাকে, সাথে সাইটের ক্যাপাসিটিও বাড়াতে হয়। বাংলাদেশের প্রকৌশলীদের হাতেই এটি তৈরী এবং তারাই এর দেখাশোনারও দায়িত্বে, জেনে অভিভূত হয়েছেন শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
চিত্রকলা নিলাম
সওদাডটকমের চিত্রকলা নিলাম তোলার ইতিহাস শুরু হয় আগস্টে আর তা শিল্পী শাহাবুদ্দিনের ছবি দিয়েই। শাহাবুদ্দিন সারা বিশ্বেই নাম করেছেন। শিল্পী ও অভিনেতা আফজাল আহমেদ বলছিলেন, 'শাহাবুদ্দিন ভাই জেদী মানুষ। তিনি বিশ্বকে বুঝিয়েছেন আমাকে দেখতে হলে আমার মতোই হতে হবে এবং দারুণ নন্দিত তিনি। তিনি কখনোই তার নিজস্বতার ব্যাপারে কম্প্রোমাইজ করেননি।'
এই নিলামকে উপলক্ষ করেই শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, শিল্পী আফজাল হোসেন, শিল্পসমালোচক মঈনুদ্দিন খালেদ এবং আর্টকনের এআরকে রীপন একটি অনলাইন আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন। সওদায় শাহাবুদ্দিন আহমেদের ছবিগুলো তুলেছে আর্টকনই। মানে আর্টকনের মাধ্যমেই শাহাবুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যুক্ত হয় সওদা। আর্টকন হলো আর্ট এজেন্সি যারা শিল্পকর্ম প্রদর্শন, সংরক্ষণ ও বিক্রি করে। ২০১৫ সালে এর প্রতিষ্ঠা। শাহাবুদ্দিন আহমেদকে নিয়ে একটি বইয়ের নকশা করতে গিয়েই এআরকে রীপন আর্টকন প্রতিষ্ঠার কথা ভাবেন। প্যারিসের এক আর্ট এজেন্ট ডমিনিক নাম বাংলাদেশ ঘুরতে এসেছিলেন তখন। তিনি বাংলাদেশের আর্ট সিন দেখে রীপনকে একটি এজেন্সি তৈরির কথা বলেন। রীপন তারপর থেকেই আর্টকন গড়ে তুলছেন একটু একটু করে। বলছিলেন, "শাহাবুদ্দিন ভাইকে দিয়ে আমাদেরও শুরু, সওদারও শিল্পযাত্রা শুরু হলো শিল্পী শাহাবুদ্দিনকে দিয়েই, ব্যাপারটি সত্যি আনন্দের। নিলামঘর প্রতিষ্ঠার কথা আমরাও ভেবেছিলাম তবে আমাদের বিডারদের জড়ো করা বা পণ্য সরবরাহের মতো বড় অবকাঠামো নেই। সওদাডটকম এসে সে অভাব পূরণ করল।"
আফজাল হোসেন যোগ করলেন, "এখন প্রযুক্তি সারা পৃথিবীর মানুষকে এক করতে পারে। অমূল্য সব সংগ্রাহকের কাছে পৌছানো একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার বটেই, আমার মনে হয় শিল্পীকে পৌছে দেওয়া আরো বেশি গুরুত্ব তৈরি করতে পারে।"
জাকারিয়া স্বপন সম্মতি জানিয়ে বললেন, "হ্যা, কেবল বেচাবিক্রির জায়গায় থাকার ইচ্ছে আমাদেরও নেই। আমরাও চাই ভিডিও দিয়ে, ইতিহাস বলে, কলাকৌশল জানিয়ে মানুষটিকে মানে শিল্পীকে চেনাতে। এজন্য শিল্পসমালোচক, শিল্পীদের সহযোগিতা আমাদের দরকার। তবে এখনো আমাদের ক্যাপাসিটি কম। আগামী বছরই আমরা এতো ক্যাপাসিটি তৈরি করতে চাই যেন পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ শিল্পীর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। আমরা জানাতে চাই, ঘরে যদি শিল্পকর্ম থাকে তবে ঘরটি যেমন সম্পন্ন হয়, সংগ্রাহকও সমৃদ্ধ হন। বিশেষ করে শিল্পকর্মটি যখন জয়নুল আবেদীন বা শাহাবুদ্দিন আহমেদের হয়।"
উল্লেখ্য মুক্তি, দৌড় ১, ২ আর ঘোড়া নামে শাহাবুদ্দিন আহমেদের চারটি ছবি তোলা হয়েছিল নিলামে। প্রতিটি ছবির বেইজ প্রাইজ (নিলাম শুরুর দাম) ধরা হয়েছিল দেড় লক্ষ টাকা। বিডিংয়ের শেষ সময় ছিল ৬ অক্টোবর। আর এর মধ্যে সবগুলো ছবি বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। ব্যাপারটি ছিল সওদা সংগঠকদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা।
এ প্রসঙ্গে স্বপন বলছিলেন, "অভিজ্ঞতা থেকে দেখলাম বিডাররা শেষ মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করে আর সবাই বিড উইন করতে চায়। তাই শেষ মুহূর্তে ভিড় অনেক বাড়ে। তখন আমাদের ক্যাপাসিটি বাড়াতে হয়। বিপাকেও পড়েছি তবে এখন সামলে ওঠা যাচ্ছে।"
রীপন বললেন, "আসলে নিলাম ব্যাপারটি আমাদের এখানে সেভাবে প্রচলিত না। আর চিত্রকর্মের নিলাম তো দূরেরই ব্যাপার। আমরা নিলামঘর ক্রিস্টিজ বা সদেবিজের কথা জানি তবে এগুলো বিদেশি। তাই একটু শঙ্কা ছিল। কিন্তু পরে দেখলাম দারুণ ব্যাপার, শাহাবুদ্দিন ভাইয়ের ছবিগুলো বিক্রি হয়ে গেল।"
সওদাডটকমের বৈশিষ্ট্য
১. যে কেউ বিডিংয়ে অংশ নিতে পারবেন
২. হাইয়েস্ট বিডারকে (নিলামডাকে দর ঘোষণাকারী) কম্পিউটারই পণ্যটি পৌঁছে দেবে।
৩. ২-৭ দিনের মধ্যে মূল্য পরিশোধ করতে হয়
৪. পুরো প্রক্রিয়া কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত
অংশ নেওয়া কঠিন নয়
নিলাম প্রক্রিয়া কঠিন নয় তেমন। প্রথমে সাইটে গিয়ে নিবন্ধিত হতে হয়, তারপর প্রোডাক্ট নির্দিষ্ট করে নিলামে অংশ নেওয়া যায়। স্বপন বলছিলেন, "আমরা সব পণ্যের একটি শুরুর দাম (বেইজ প্রাইস) নির্ধারণ করি এবং ইউজারদের কাছ থেকে ৫০০টাকা টোকেন মানি নিই। প্রোডাক্টের দাম পরিশোধ হয়ে গেলে টোকেন মানি ফেরতও দিই। আমরা বিক্রেতাদের ( সেসব প্রতিষ্ঠান যারা পণ্যটি সরবরাহ করে ) দাম পরিশোধ করে দিই ক্রেতার কাছে পৌছানোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। আসলে বিডার (নিলামে অংশগ্রহণকারী) ও বিক্রেতাদের মধ্যবর্তী একটি প্লাটফর্ম সওদা।"
সরেজমিন
২৮ ডিসেম্বর সওদাডটকমের হোমপেইজে গিয়ে শিল্পী কামরুল হাসানের ছবিতে দৃষ্টি আটকে গেল। শিল্পীর ১০০ বছর উদযাপন করছে সওদা। গোল্ড ফ্লেক সিগারেটের প্যাকেটের ওপর কলমে আঁকা শিল্পীর পাঁচটি চিত্রকর্ম (এক ফ্রেমে বাঁধানো) নিলামে তোলা হয়েছে। শুরুর দাম ধরা হয়েছে তিন লক্ষ টাকা। ৩১ ডিসেম্বর রাত দশটায় এর নিলাম শেষ হবে। এটিও আর্টকনের সঙ্গে সওদার যৌথ আয়োজন।
আর্টকনের সঙ্গে মিলে সওদা কালিদাস কর্মকারেরও ছবি নিলামে তুলেছে। অ্যালুভিয়াল হলি মোটিফ নামের ছবির শুরুর দাম ধরা হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা। নতুন বছরের প্রথম দিন মানে জানুয়ারির ১ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা ৯ মিনিটে নিলাম শেষ হবে। সওদায় এখন আরো নিলাম চলছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তিনটি আবক্ষ মূর্তির। যেগুলোর নিলাম শেষ হবে জানুয়ারির ১,২ বা ৩ তারিখে।
আলাপ
সওদাডটকমের সামগ্রিক কার্যক্রম নিয়ে প্রিয় লিমিটেডের সারাহ্ দীনা ( সিনিয়র এক্সিকিউটিভ, কমিউনিকেশন) এবং নাজমুস সাকিব নিলয়ের ( লিড, মার্কেটিং) সঙ্গে কথোপকথন:
কামরুল হাসানের ছবিগুলো সম্পর্কে জানাবেন। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
মজার ব্যাপার হলো গোল্ড ফ্লেক টোব্যাকোর প্যাকেট ছবিগুলোর ক্যানভাস। শিল্পী ধূমপায়ী ছিলেন। পাঁচটি ছবি এক ফ্রেমে। ছবিগুলো আঁকার সময় ১৯৭৮ সাল। এটি সংগ্রহের ব্যাপারে দেশের তো বটেই দেশের বাইরে থেকেও লোকেরা যোগাযোগ করছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে। এমন ক্যানভাস সচরাচর দেখা যায় না বলেই বুঝি সংগ্রাহকদের আগ্রহ বেশি। আমরা ভাবছি বেইজ প্রাইসের থেকে দাম বেশ খানিকটাই বৃদ্ধি পাবে।
কালিদাস কর্মকার সম্পর্কে বলুন।
চিত্রকর্মগুলো ধাতব পাত বা মেটাল শিটের ওপরে অ্যাক্রেলিক এবং মিক্সড মিডিয়ায় করা। কালিদাস কর্মকার ছিলেন নিরীক্ষাধর্মী শিল্পী।
যিশুর মূর্তি, ফুলদানি, গ্রামোফোন, পুরোনো টেলিফোন ইত্যাদিও আপনারা নিলামে তুলেছেন দেখছি। এসব নিয়ে সাড়া পাচ্ছেন কেমন?
বিদেশিদের আগ্রহী করতেই মূলত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বাহক এমন সব পণ্যকে আমরা হাজির করছি সওদায়। আমাদের একদল কর্মী আছেন যারা নিবেদিত প্রাণ এবং তারা ঘুরে ঘুরে খবর ও জিনিসপত্র জোগাড় করেন। তারপর বিশেষজ্ঞ একটি দল দিয়ে সেগুলো যাচাই-বাছাই করিয়ে নেওয়া হয়। তারপর পণ্যটির ইতিহাস নিয়ে আমরা পরিচিতিমূলক লেখা তৈরি করি। আর তারপরই বিডারদের কাছে হাজির করি। এসবের মধ্যে ভাওয়াল রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণের গ্রামোফোনও আছে। আছে পুরোনো দিনের ব্রান্ডেড ক্যামেরা, মুদ্রা, ইস্তাম্বুলের সিরামিকে তৈরি ফুলদানি, পুরোনো টেলিফোন ইত্যাদিও।
নতুন বছরে কী কী নিয়ে আসছেন?
নতুন বছরে সওদাতে আমরা আনতে চাইছি দেশের স্বনামধন্য সব শিল্পীদের শিল্পকর্ম। বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাদেরকে আমরা সম্মান জানাতে চাই। নতুন বছরে প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীদের ছবিও আমরা সওদায় আনব। আর আন্তর্জাতিক নিলাম আয়োজনে আমাদের একটি দল কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি সব নিয়ম মেনেই এজেন্টের মাধ্যমে কাজটি আমরা করতে পারবে। এছাড়া ঐতিহাসিক আরো সব উপকরণ নিলামে তোলার আগ্রহ আছে আমাদের।
আচ্ছা প্রিয় লিমিটেড এবং সওদার সম্পর্ক কী?
সওদা প্রিয় লিমিটেডের একটি উদ্যোগ। প্রিয় লিমিটেড একটি টেকনোলজি কোম্পানি। প্রিয় ডট কম প্রিয় লিমিটেডেরই নিউজ মিডিয়া। আরও রয়েছে প্রিয় ফার্মেসি। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে প্রিয়।
আপনারা কি দেশে প্রথম? শুরুর আগে প্রস্তুতি কেমন ছিলো?
রিয়েল টাইম অনলাইন আন্তর্জাতিক নিলাম সাইটের উদ্যোগ বাংলাদেশে এটাই প্রথম বলে আমরা জানি। আমাদের দেশ সংস্কৃতিতে ঐশ্বর্যবান। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধারণ করে, এমন অনেক পণ্য আমাদের দেশে রয়েছে। অনেকে ব্যক্তিগতভাবে রক্ষণাবেক্ষণের চেষ্টা করেও পারছেন না। আবার বিক্রির ইচ্ছা থাকার পরেও পারছেন না বিক্রি করতে। সওদার মাধ্যমে আমরা চেয়েছি ইতিহাস সমৃদ্ধ মূল্যবান সামগ্রী আগ্রহী ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে। সওদা শুরুর আগে থেকেই আমাদের টিম ঐতিহাসিক এবং ইন্টেলেকচুয়াল পণ্য সংগ্রহে কাজ করেছিল। প্রিয় সফটওয়্যারের নিজস্ব টিমই তৈরি করেছে সওদা প্ল্যাটফর্মটি।
ফ্যাশন অনুষঙ্গের ব্যাপারেও সওদার আগ্রহ দেখছি।
আমাদের দেশের ফ্যাশন কিন্তু এখন বিশ্ব দরবারে সমাদৃত। আমরা চাই বিশ্ব সওদার মাধ্যমে দেশি ডিজাইনারদের পোশাক নিলামে জিতে নিক। ইতোমধ্যে আমরা ব্রাইডাল ফ্যাশনকে এগিয়ে নিতে বিয়ের পোশাকের নিলাম আয়োজন করেছি। ভবিষ্যতে আমরা আমাদের দেশের জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন পাওয়া ফ্যাশন পণ্য সওদাতে নিয়ে আসতে চাই।
অনেক ধন্যবাদ। অনেক জানা হলো। ভালো থাকবেন।
আপনাদেরকেও ধন্যবাদ। সওদাডটকম নিয়ে আগ্রহী হওয়ার জন্য।