বাংলাদেশ থেকে হাতি কি হারিয়েই যাবে?
দেয়ালে আঁকা হাতির ছবির দিকে বন্দী একটি হাতি করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে- এমন একটি ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছিল ইন্টারনেটে। ছবিটি দেখে কেমন অনুভূতি হয় তা বলে বোঝানোও মুশকিল- অসহায় মনে হয়, দীর্ঘশ্বাস পড়ে নাকি নাকি প্রচণ্ড ক্রোধ? হতে পারে এর সব-ই। ভালো নেই মুক্ত হাতিরাও। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে কিছুদিন পরপর দেশের বিভিন্ন স্থানের হাতির মৃত্যুর খবর যেন ডাল-ভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আইইউসিএনের ২০১৬ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, সে সময় বাংলাদেশে হাতি ছিল ২৬৮টি। স্থায়ীভাবে এ অঞ্চলের বাসিন্দা এমন হাতি ছাড়া পরিব্রাজক হাতির গড় সংখ্যা ছিল ৯৩। বন্দী দশায় আছে নিবন্ধিত এমন ৯৬টি হাতি ছিল সে সময়। বাংলাদেশের বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪ সাল থেকে গত ১৭ বছরে মানুষের হাতে হত্যার শিকার হয়েছে ১১৮টি হাতি।
২০১৫ সাল থেকে বিগত ছয় বছরেই মারা গেছে ৬৯ টি হাতি। তবে দেশের প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি, গত দুই বছরেই মারা গেছে ৩৮টি হাতি। ২০২০ ও ২০২১ সালে ২২টি ও ১৬টি হাতি মারা পড়েছে মানুষের হাতে।
বাংলাদেশ ও এশিয়ার দেশগুলোতে বাস করা হাতির নাম এশিয়ান হাতি, দেখতে কিছুটা ধূসর রঙা। আকারে তার আফ্রিকান আত্মীয়ের চেয়ে বেশ ছোট। বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, ঘাস, কলাগাছ, গাছের পাতা, ছাল-বাকল, ডালপালা খেয়ে বেঁচে থাকে। বসতি গড়ে তোলে আশেপাশে পানির উৎস আছে এমন কোনো জায়গায়। তৃণভূমি ও গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনই এর আবাসস্থল। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মাত্র তেরোটি দেশে বিপন্ন এ প্রাণীটির দেখা মেলে। এরমধ্যে একটি দেশ বাংলাদেশ।
১৯৮৬ সাল থেকেই বিপন্ন প্রাণী হিসেবে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকাভুক্ত এশিয়ান হাতি। এ প্রাণীটির সংখ্যা অর্ধেকের মতো কমেছে গত ৭৫ বছরেই। এশিয়ার যে সব দেশে এ হাতির দেখা মেলে, এরমধ্যে সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায় আছে বাংলাদেশে। বৈশ্বিকভাবে এটি আইইউসিএনের বিপন্ন তালিকায় থাকলেও, বাংলাদেশে এটি মহা-বিপন্ন হিসেবে তালিকাভুক্ত।
এক সপ্তাহে পাঁচ হত্যা
গত এক সপ্তাহেই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও শেরপুরে পাঁচটি হাতি নৃশংসভাবে মারা পড়েছে মানুষের হাতে।
এক সপ্তাহে মারা যাওয়া পাঁচ হাতির প্রথমটিকে উদ্ধার করা হয় ৬ নভেম্বর। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের হযরত আজগর আলী শাহ মাজারের পশ্চিম পাশে মইত্তাতলী বিলের পাশের একটি ধানক্ষেতে বৈদ্যুতিক তারে জড়ানো অবস্থায় অবস্থায় পাওয়া যায় এটিকে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের বেলা খাবারের খোঁজে ধানক্ষেতে প্রবেশ করেছিল হাতিটি। কিন্তু ক্ষেতের পাশে জড়িয়ে রাখা বৈদ্যুতিক তাড়ের ফাদে পা জড়িয়ে আটকা পড়ে প্রাণীটি। এভাবেই সারা রাত ধুকতে ধুকতে মারা যায় এই এশিয়ান হাতি। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা যখন পরিদর্শনে যান তখনও হাতিটির শুড়ের নিচের অংশ থেকে রক্ত ঝড়ছিল।
দ্বিতীয় জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় গত ৯ নভেম্বর। বয়স ছিল মাত্র ১২-১৫ বছর। কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্ণগ্রাম বনবিটের অধীনের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে গুলি করে হত্যা করা হয় হাতিটিকে। বন্য শুকর শিকারে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ঢুকে পড়েছিল পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েকজন, সামনে পড়ে যায় হাতিটি। সাথে সাথেই গুলি করে হত্যা করা হয়।
তৃতীয় হাতিটিকেও পাওয়া যায় ওই একই দিন, ৯ নভেম্বর। শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ে বিদ্যুতপৃষ্ঠ হয়ে মারা যায়। এই হাতিটিও এসেছিল খাবারের খোঁজেই, খেতে এসে মৃত্যু।
১২ নভেম্বর, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপজেলার চাম্বলে শামসুজ্জ্যার ঘোনা এলাকার একটি ধানক্ষেত। আনুমানিক ৬০ বছরের হাতিটির মৃতদেহ ধানক্ষেতের পড়েছিল। মৃত্যু হয় আগেরদিন রাতেই। কীভাবে মারা গেলো তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি, তবে পেটের পেটের নিচ থেকে রক্ত ঝড়ে পড়ছিল এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ধানক্ষেতে চোখে পড়ছিল হাতিটির পায়ের ছাপ।
১৩ নভেম্বর, কক্সবাজারের চকরিয়ার পাহাড়ি উপত্যকা। মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে উদ্ধার করা সর্বশেষ হাতিটি। মৃত্যু হয়েছিল আরও আগেই, আট তারিখ। খাবারের অভাবে দল বেঁধে ধান খেতে এসেছিল। বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা যায়। মৃত্যু হয়েছে নিশ্চিত হয়ে ক্ষেতের মালিকরা গোপনে মাটিচাপা দিয়ে দেয়।
'লোকালয়ে' কেন আসছে হাতি?
পাহাড়ি বন ও বনাঞ্চল ধ্বংস করে চাষাবাদ হচ্ছে, লোকালয় গড়ে উঠছে। যেই বন ধ্বংস করে গড়ে উঠছে লোকালয়, অন্ন সংস্থান হচ্ছে মানুষের, গড়ে উঠছে নিত্য-নতুন অবকাঠামো, সে জায়গা ছিল হাতির প্রাকৃতিক আবাসস্থল। এর ফলে সংকুচিত হয়ে আসছে হাতির বিচরণ ক্ষেত্র, খাদ্যের উৎস।
হাতি নিয়মিত চলাচলের জন্য কিছু পথ ব্যবহার করে। বৈচিত্র্যময় খাদ্যাভ্যাসের কারণে, খাবার পানি ও নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে হাতি বনের মধ্য দিয়ে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকা চষে বেড়ায়। বর্ষার মৌসুমের শুরুতে বনে পানি ও খাবারের পরিমাণ বেশি থাকায় তুলনামূলক ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বনের ভেতর বিচরণ করে। তবে শুষ্ক মৌসুমে বনে খাবার পানির পরিমাণ কমে আসে, তখন হাতিরা তাদের চলাচলের রুট ধরে খাবার-পানির সন্ধানে বনের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায়। হাতির চলাচলের এই রুটগুলোই যদি মানবসৃষ্ট কোনো কারণে বাধাগ্রস্থ হয়, হাতি তার প্রাকৃতিক আবাসস্থল ছেড়ে বের হয়ে আসে। হাতির চলাচলের এ রুটের মধ্য দিয়ে যদি বসতি-কৃষিজমি গড়ে তোলা হয়, কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা হয় হাতির চলাচলের ওই রুট বাধাপ্রাপ্ত হয়।
হাতির এক আবাসস্থল থেকে অন্য অংশ সংযোগকারী পথ হলো করিডোর। মানুষের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নতুন আবাসস্থল তৈরি, চাষাবাদের জন্য বন উজাড়, নতুন অবকাঠামো নির্মাণ এসব কারণে এক আবাসস্থল ঝুঁকির মুখে পড়ে, খাবার পানির উৎসের অভাব তৈরি হয়। করিডোর দিয়ে অন্য আবাসস্থলের দিকে পাড়ি জমায় দলবদ্ধ হয়ে। খাবার, পানির সন্ধান করতেই শুধু নয়, দলবদ্ধ হয়ে হাতি প্রায়ই এক স্থান হতে অন্যদিকে হাঁটতে থাকে, হাতির প্রজননের সঙ্গেও এর সম্পর্ক আছে।
একারণেই বনাঞ্চলে ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় নতুন কোনো আবসন তৈরি বা উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগে বৃহদাকার এই প্রাণীর চলাচলের রুট ও করিডোরের এলাকা বিবেচনায় রাখতে হয়।
আইইউসিনের ওই জরিপে দেখা গেছে, দেশে হাতির চলাচলের রেঞ্জ ছিল ১,৫১৩ বর্গ কি.মি.। ২০১৩ সালের আগস্ট থেকে ২০১৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত চালানো এ জরিপে দেখা গেছে, দেশের ৪৪টি ফরেস্ট রেঞ্জে হাতি দেখা যায়। প্রতিটি ফরেস্ট রেঞ্জ বা ডিভিশনেই হাতি চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট রুট ব্যবহার করে। মূলত যে সব জায়গায় হাতি-মানুষের সংঘর্ষ, ফসলি জমি নষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, এ অঞ্চলগুলো আগে হাতির চলাচলেরই রুট ছিল। বনভূমি ও হাতির আবাসস্থল ধ্বংস করে যেখানে বসতি ও কৃষিজমি গড়ে উঠেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সে সব জায়গায়ই এসব ঘটনা ঘটেছে।
বারোটির তিনটি করিডোরই বন্ধ
আইইউসিএনের ২০১৬ সালের হিসাব মতে, দেশে হাতি চলাচলের করিডোর ছিল ১২টি। উখিয়া-ঘুমধুম করিডোর, তুলাবাগান-পানেরছড়া, নাইক্ষ্যংছড়ি-রাজারকুল, ভোমারিয়াঘোনা-রাজঘাট, তুলাতলি-ঈদঘর, খন্তাখালি-মেধাকচ্ছপিয়া, ফাসিয়াখালী-চইড়াখালী, ফাসিয়াখালী-মানিকপুর, চুনতি-সাতগার, লালুটিয়া-বারদুয়ারা, সুখবিলাস-কোদালা ও নারিচ্ছা-কোদালা করিডোর।
এই ১২টি করিডোরের মধ্যে তিনটি ধ্বংস হয়ে গেছে। ২০১৭ সালে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার পর তাদের বসতি স্থাপনের জন্য ধ্বংস হয়েছে হাজার হাজার একর বনাঞ্চল। রোহিঙ্গাদের জন্য বসতি স্থাপন, জমি বেদখল ও সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে এই কয়েক বছরেই ধ্বংস হয়েছে ১৫ হাজার একর বনাঞ্চল।
উখিয়া-ঘুমধুম, পানেরছড়া-তুলাবাগান ও নাইক্ষ্যংছড়ি-রাজারকুল করিডোর দিয়ে উখিয়া-টেকনাফ ও রামুর বনভূমির হাতিগুলো বান্দরবান ও মিয়ানমারে চলাচল করতো। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর উখিয়া-ঘুমধুম করিডোরটি একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। রামুতে বিশাল জায়গা বরাদ্দ নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট তৈরির প্রকল্পের কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে পানেরছড়া-তুলাবাগান করিডোর।
কক্সবাজারে মিয়ানমারের সঙ্গে থাকা ১৯৩ কি.মি সীমান্তে মাইন পুঁতে রাখার কারণেও অনেক হাতির মৃত্যু হয়। স্বাভাবিক চলার পথ বিঘ্নিত হওয়ায় চুনতি অভয়ারণ্যের হাতিরা ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের আনোয়ারার মহাদেবপুর হয়ে বরুমছড়ার পাশ দিয়ে বাঁশখালীতে নতুন করিডোর ধরে হাঁটা শুরু করে। আরেকটি দল পুরানগর-দোহাজারীর লালুতিয়া-গড়দুয়ারা হয়ে বোয়ালখালীর পাহাড় হয়ে চলাচল শুরু করে। হাতিগুলো বছরের নির্দিষ্ট সময় মিয়ানমার যেত, আবার বনপথে কক্সবাজারের চুনতিতে ফিরে আসতো।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বৈলছড়ি ও অইব্যারখীল বনাঞ্চল, চকরিয়ার ফুলছড়ির রাজঘাট, দুর্গম পান্ডাছড়ি, কাইস্যারঘোনা ও গোয়ালিয়া পালং, ঈদগড়ের ভোমরিয়াঘোনা, উখিয়া, টেকনাফের হ্নীলা, হোয়াইক্যং, লামার ফাঁসিয়াখালীর কুমারী ও ফাঁসিয়াখালী- এ ১৫টি পয়েন্টেই গত পাঁচ বছরে হাতি হত্যা ও হাতি-মানুষের সংঘর্ষ অনেক বেড়ে গেছে। অর্থাৎ করিডোর তিনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময়কালের মধ্যেই বেড়েছে এসব ঘটনা।
বান্দরবানে হাতির আবাসস্থলের আশেপাশে বন বিভাগ ও অন্যান্যদের উদ্যোগে রাবার ও একাশিয়ার মতো এক জাতীয় বৃক্ষ রোপণও হাতির জন্য হুমকিস্বরূপ।
ধ্বংসের পথে আরও করিডোর-রুট?
বিপদ এখানেই কাটছে না। তিনটি করিডোর বন্ধের পর, আরও করিডোর ও রুট বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১২৮ কিলোমিটার অঞ্চল। হাতির অন্যতম তিনটি বিচরণক্ষেত্র চুনতি, ফাসিয়াখালী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে প্রায় ২৭ কি.মি পথ দিয়ে যাবে রেলপথটি। চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের ১৫.৮ কিলোমিটার, ফাঁসিয়াখালী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের ১০.৩ কিলোমিটার এবং মেধা কচ্ছপিয়া ন্যাশনাল পার্কে দশমিক ৯ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে রেললাইন পড়বে।
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে মিয়ানমার সীমান্ত ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ চলছে, রেললাইন স্থাপনের কাজে ইতোমধ্যেই হাতি চলাচলের বেশ কিছু রুটে বাধা পড়েছে। এই প্রকল্পের ফলে হাতি চলাচলের মোট ২১টি পথে (রুট) বাধা পড়বে।
আইইউসিনের ২০১৬ সালের বিস্তারিত গবেষণা বলছে, এই অবস্থাই যদি চলতে থাকে, এক সময় সবগুলো করিডোরই এক এক করে বন্ধ হতে থাকবে। হাতির সংখ্যা জানতে তখন জরিপ চালাতে হবে না, হাতে গুণেই বলে দেওয়া যাবে। খাদ্য-পানীয়র অভাবে মৃত্যু তো হবেই, এর চেয়েও বড় আশঙ্কার বিষয় হলো বাসস্থান, স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশের অভাবে এশিয়ান হাতি তার জিনগত বৈশিষ্ট্য হারাতে থাকবে। শেষ পর্যন্ত বিলুপ্তই হয়ে যাবে।
এশিয়ান হাতির শেষ পরিণতিও হয়তো ওই ছবিটির মতোই। না, ছবির ওই বন্দী হাতির ভাগ্য নয়, দেয়ালে আঁকা ছবি হয়েই হয়তো বিদায় নেবে পৃথিবীর বৃহত্তম স্থলজ স্তন্যপায়ীর এশিয়ান এ প্রজাতি।