'ওরা জোর করে শুনিয়েছে, কীভাবে ছেলেকে নির্যাতন করা হচ্ছে': মা-ছেলের মুখে জুলাই নৃশংসতার বর্ণনা
২৮ জুলাই, রাত আনুমানিক আড়াইটা। মাত্রই তাহাজ্জুদ নামাজ শেষ করেছেন শামীমা বারকাত লাকি। কিন্তু ছেলের চিন্তায় অস্থির মা কিছুতেই ঘুমোতে পারছিলেন না। বড় ছেলে ওমর শরীফ মোহাম্মদ ইমরান, যাকে সবাই সানিয়াত নামে চিনে, তখনো পুলিশের হেফাজতে। ছেলের চিন্তায় মন ছটফট করছিল তার।
হঠাৎ করেই ফোনটা বেজে উঠল—স্ক্রিনে ভেসে উঠল একটি চার অঙ্কের নাম্বার। কিছুক্ষণ দ্বিধা নিয়ে, শেষমেশ ফোনটা ধরলেন।
'হ্যালো, কে বলছেন?', কোনো উত্তর নেই। শুধু দূর থেকে ভেসে আসছিল যন্ত্রণার শব্দ। এক মুহূর্তের জন্য যেন তার হৃৎস্পন্দন থেমে গেল। ফোনের ওপাশ থেকে শুনতে পারছিলেন ছেলের যন্ত্রণাক্লিষ্ট, কান্না ভেজা কণ্ঠ। সানিয়াত চিৎকার করে বলছিল, 'ও মা...ও মা ...!'; নির্মমভাবে পেটানো হচ্ছিল তাকে।
ওই সময়ে ছেলের জন্য কিছু করতে না পারার অসহায়ত্ব যেন তার বুকে পাথরের মতো চেপে বসে। 'ওটা সানিয়াত ছিল', কান্না ভাঙা কণ্ঠে বললেন তিনি।
"ওরা আমাকে জোর করে শুনিয়েছে, কীভাবে আমার ছেলেকে নির্যাতন করা হচ্ছে। একজন মা কীভাবে এটা সহ্য করতে পারে? আমার ছেলে আগে কখনো জেলেও যায়নি, পেটানোর তো প্রশ্নই আসে না।"
লাকি যেন সেই মুহূর্তে সম্পূর্ণ অসহায় হয়ে গেলেন। ফোনে ছেলের নাম ধরে চিৎকার করে মিনতি করলেন, যেন তাকে আর না মারা হয়। কিন্তু তার অনুরোধের কোনো উত্তর এল না, কেবল নীরবতা। লাইন কেটে গেল, ছেলের যন্ত্রণার প্রতিধ্বনি নিয়ে তিনি রয়ে গেলেন একা অন্ধকারে। পুরো রাত কাঁদলেন, শোক আর ক্রোধে ভরে উঠল তার মন।
সেই দুঃসহ মুহূর্তের কথা স্মরণ করে লাকি বললেন, 'ওরা সেদিন আমাকে শুনিয়ে আমার ছেলেকে আরও বেশি নির্যাতন করছিল, কারণ আমাদের একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল।'
ভিডিওতে দেখা যায়, হাতকড়া পরা সানিয়াত যখন আদালত থেকে বের হচ্ছিলেন, তার মা পেছন থেকে ছুটে যান তার দিকে। মাকে দেখে সানিয়াত হাতকড়া পরা হাত দিয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন, আর মা বারবার তাকে আশ্বস্ত করেন, "ভয় পাস না, কিছু হবে না।"
ভিডিওটি অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পর পুরো পুলিশ বিভাগ সানিয়াতের ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
তার মায়ের সাথে যখন আমরা কথা বলছিলাম, তখন পাশেই বসে ছিলেন সানিয়াত, তবে তার মন অন্য কোথাও । তিনি বিষণ্ন মনে কী যেন ভাবছিলেন। হয়ত শরীরে আঘাতের ক্ষতগুলো তাকে বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছিল, কীভাবে উলটো করে ঝুলিয়ে তাকে নির্মমভাবে মারা হয়েছিল। শরীরের প্রতিটি অংশের ব্যথা যেন সেই নির্যাতনের স্মৃতিই মনে করিয়ে দিচ্ছিল।
২৪ জুলাই, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের এমবিএ গ্র্যাজুয়েট সানিয়াতকে ডিবি পুলিশ আটক করে। অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত পুলিশের হেফাজতেই বন্দি ছিলেন তিনি।
জেলের একেকটা রাত সানিয়াতের জন্য ছিল অন্ততকাল। প্রতিটি মুহূর্ত যেন সেই সময়ের সাথে যুদ্ধ। শরীরের কিছু ক্ষত সেরে উঠলেও, ওই কয়দিনের ভয়ংকর স্মৃতি মনে পড়লে এখনও তার শরীর শিউরে ওঠে।
এক টুকরো প্যাস্ট্রি
সেদিন মধ্যরাতের কথা। সানিয়াতের মাকে নিয়ে তার বাবা তখন হাসপাতালে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসাটিতে শুধু সানিয়াত আর তার ছোট ভাই। তাদের বাবা বারকত উল্লাহ বুলু, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ।
সামিয়াতের ছোট ভাই সামির মোহাম্মদ ইরফান, ডাউন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত। হুট করে রাতের বেলা পেস্ট্রি খাওয়ার আবদার করে বসে।
"ওর মতো মানুষদের মাঝে মাঝে এমন কিছু চাওয়া থাকে, যা পূরণ না করলে তারা খুবই অস্থির হয়ে ওঠে," বললেন সানিয়াত। ভাইকে শান্ত করতে তিনি রাত একটার দিকে পেস্ট্রি কিনতে বের হন। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে 'উডেন স্পুন' নামক একটি খোলা দোকান পেলেন তিনি।
কেক নিয়ে দোকান থেকে বের হতেই, ডিবি'র জ্যাকেট পরা একদল অফিসার তাকে ঘিরে ধরল। পাশেই বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং একটি বড় হাইএস ভ্যান দরজা খুলে দাঁড়িয়ে ছিল। দুটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল তাক করা তার দিকে।
"তোমার নাম কী?", জিজ্ঞেস করলেন একজন অফিসার।
"ওমর শরীফ মোহাম্মদ ইমরান।"
"আরেকটি নাম কী?", আবার জানতে চাইলেন তিনি।
উত্তর এলো, 'সানিয়াত'।
তখনই একজন অফিসার তার ঘাড়ে জোরে আঘাত দিয়ে চিৎকার করে বলল, "স্যার, আমরা পেয়ে গেছি!"। গাড়িতে ওঠানো হলো তাকে।
জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হলো। তারা জানতে চাইলেন কেন তিনি (সানিয়াত) সেখানে ছিলেন, কী করছিলেন এবং এত রাতে পেস্ট্রি কেন কিনেছেন। তারা তার বাবা-মায়ের ব্যাপারেও প্রশ্ন করলেন, বিশেষ করে তার বাবার সম্পর্কে, যিনি কিনা একজন রাজনীতিবিদ। সানিয়াত বললেন, তার বাবা-মা দুজনেই হাসপাতালে।
সত্যতা প্রমাণ করতে, তিনি তাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললেন। তবে তখনও তার চিন্তা ছিল তার ছোট ভাইকে নিয়ে, কারণ সেখানে তার দেখভালের কেউ নেই।
হাসপাতালে পৌঁছানোর পর, তারা সানিয়াতকে গাড়িতে রেখে ভেতরে গেলেন তার বাবাকে খুঁজতে, কিন্তু তাকে পাওয়া গেল না। যেহেতু সাথে কোনো নারী পুলিশ কর্মকর্তা ছিল না, তাই নার্সরা তাদের তার মায়ের কেবিনে প্রবেশ করতে দেয়নি।
লাকি বলেন, "নার্সরা আমাকে পরে বলেছিল যে কিছু লোক সানিয়াতের বাবার জন্য জিজ্ঞাসা করছিল। আমাকে কেন জানানো হয়নি, জিজ্ঞেস করলাম তাদের। আমি খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম, কী হয়েছে জানার জন্য ছটফট করছিলাম।"
বিএনপির সাথে যোগসূত্র
পরের দিন ছিল কারফিউ। অসুস্থ থাকায় সামিয়াতের মা অ্যাম্বুলেন্সে করেই বেরিয়ে পড়েন ছেলের খোঁজে। কিন্তু থানা কিংবা ডিবি অফিস, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সংস্থাই তার ছেলের ব্যাপারে কোনো তথ্য দেয়নি।
সানিয়াত বললেন, আমাকে অন্তত ৭০ জনের সাথে একটি কক্ষে রাখা হয়, যাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন বিএনপির নেতা ও সমর্থক।
পরবর্তীতে, সানিয়াতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। চোখ বেঁধে ফেলা হয় তার।
বিভিন্ন তলায় ঘোরানোর পর একটি কক্ষে নিয়ে তার শরীরের নিচের অংশে মারধর করা হয়, জানতে চাওয়া হয় কারও সাথে যোগাযোগ বা সংযোগ ছিল কিনা, তার বাবা কোথায় আছেন কেন সে তা জানে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে প্রতিদিন যোগাযোগ রেখে আন্দোলন পরিচালনা করতেন এবং ভাঙচুরের সাথে জড়িত ছিলেন—এমন অভিযোগও আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
সানিয়াত বললেন, "জিজ্ঞাসাবাদে তাদের মূল অভিযোগ ছিল, রামপুরা থেকে উত্তরা পর্যন্ত পুরো এলাকার সহিংস কার্যক্রম নাকি আমি আর এসএম জাহাঙ্গীর মিলে নিয়ন্ত্রণ করছিলাম। মেট্রোরেল ভাঙচুরের মাস্টারমাইন্ডও বলা হলো আমাকে। অথচ এগুলো সব মিথ্যা অভিযোগ।"
একটানা জিজ্ঞাসাবাদের পর, কিছু সময় বিশ্রামের জন্য সেলে ফিরিয়ে নেয়া হলো তাকে। সেলের কিছু বন্দির কাছে পেইনকিলার (ব্যথানাশক ওষুধ) হিসেবে ন্যাপা এক্সটেন্ড ছিল।
"জেলের ভেতর পেইনকিলারের গুরুত্ব আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না," স্মরণ করলেন সানিয়াত।
এদিকে, কোথাও ছেলের খোঁজ না পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে আসেন সানিয়াতের মা। কিন্তু সেখানেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কেউ একজন বলল, "এদিকে কিছু লোক আছে; আপনি এখানে তার খোঁজ পেতে পারেন।" এরপর সে লোক তাকে হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়। মর্গের সব লাশ দেখে এবং তার ছেলে সেখানে থাকতে পারে এমন ভাবতে ভাবতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
"যখন আমার জ্ঞান ফিরল, তখন আদালতে খোঁজ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম," বলেন লাকি।
সানিয়াতকে ওইদিন আদালতে নিয়ে আসা হয় এবং পাঁচ দিনের রিমান্ডে রাখা হয়। সেখানেই তিনি তার মাকে দেখেন।
লাকি বলেন, "দূর থেকে আমার ছেলেকে দেখতে পেয়ে, পুলিশ ও মানুষের ভিড় ঠেলে তার কাছে চলে যাই, তার গায়ে হাত বুলিয়ে দিই। তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, চিন্তা করো না। সম্ভবত এই ঘটনার ভিডিও কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয়, যা দুই বা তিন দিন পরে ভাইরাল হয়।"
পাঁচদিনের অমানবিক নির্যাতন
প্রথম দিনের রিমান্ড ছিল তুলনামূলকভাবে সহনীয়, কিন্তু দ্বিতীয় দিন থেকে নির্যাতন সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। তার শরীরের নিচের অংশ ফুলে রক্ত জমাট বাঁধে।
"যদি কিছু বলতাম, তাহলে বেশি মারধর করা হতো। বাঁচার একমাত্র উপায় ছিল সেখানেই পড়ে থেকে মারধর সহ্য করা," বললেন সানিয়াত।
তৃতীয় দিনে নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। একজন অফিসার তাচ্ছ্যিলের সঙ্গে বলেন, "তোমার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে। এখন তোমার নাম খারাপ হয়ে গেছে। আমরা তোমার জন্য কিছুই করতে পারব না।"
এমনকি তার নখের ওপর প্লায়ার ব্যবহার করারও চেষ্টা করা হয়েছিল, নখের রক্তাক্ত দাগ দেখিয়ে বলেন সানিয়াত।
পানি খেতে অনুরোধ করলে, অফিসাররা পানি না দিয়ে বরং শাস্তি হিসেবে তাকে দুইজন লোকের সাহায্যে হাঁটতে বাধ্য করত।
এরপর ফোনে থাকা রাজনৈতিক নেতাদের ছবি নিয়ে আবার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। এক পর্যায়ে, তারা তার গোড়ালিতে লাথি মারতে শুরু করে।
চতুর্থ দিনের নির্যাতন ছিল ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে। কেউ বলেছিল, "স্যাররা ভিডিও নিয়ে খুব রেগে আছেন।" সানিয়াত জিজ্ঞেস করলে, "কোন ভিডিও?" তাকে কোনো উত্তর না দিয়ে শুধু মারধর করা হয়।
"হারুন স্যার তোমার জন্য অনেক কিছু পরিকল্পনা করেছেন। তুমি এখানে অনেক দিন থাকবে," উপহাস করে বলেন কর্মকর্তারা।
সেলে ফেরার সময় সাবেক ডিবি প্রধানের সাথে দেখা হয় তার। হারুনও তাকে দেখেন, তবে সানিয়াতের এখনও হাঁটতে পারাটা তাকে খুব একটা খুশি করেনি বলে মনে হচ্ছিল। রাত ২:৩০ টায়, সানিয়াতকে আবার রিমান্ড রুমে ডেকে নেওয়া হয়। এবার তারা তাকে উলটো করে ঝুলিয়ে দেয়, কোমরের সমস্যা থাকায় ব্যথায় কাতরাতে থাকেন তিনি, কিন্তু তারপরও মারধর চলতে থাকে।
সানিয়াত বলেন, "এত যন্ত্রণা সহ্য করার মতো ছিল না, আমি চাইতাম আমি যেন মারা যাই"।
পঞ্চম দিনে অন্যদের সাক্ষী রেখে, তিনজন সিনিয়র নেতা এবং সানিয়াতকে লাইনে দাঁড় করিয়ে পুলিশ একে একে তাদের মারধর করতে থাকে। "সবাইকে মারধর করা হয়েছিল, কিন্তু কেন আমি এত বেশি মার খেয়েছি বুঝতে পারিনি। পাঁচ দিনে ১৬-১৭ ঘণ্টা মারধর সহ্য করেছি এবং দুবার উলটো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল", বলেন তিনি।
এরপরের দিন, সানিয়াতকে আদালতে তোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। তার মা ভোরে আদালত প্রাঙ্গণে এসে সানিয়াতের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।
"আমার মা পাগলের মতো আচরণ করছিলেন, চিৎকার করে বলছিলেন, আমার ছেলেকে মারধর করেছে ওরা ইত্যাদি," বলেন সানিয়াত।
"আমি ভাবছিলাম, আমার রিমান্ড শেষ, এবার হয়ত জেলে পাঠাবে। কিন্তু না, তারা আমাকে ছেড়ে দিতে প্রস্তুত ছিল না।"
আদালতে নিয়ে আসার পর, সানিয়াতের বিরুদ্ধে মেট্রোরেলে ভাঙচুর এবং বিদেশি অর্থ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়। মেট্রোরেল ভাঙচুরের মাস্টারমাইন্ড বলা হয় তাকে। এছাড়াও তারেক রহমানের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রকল্পে হামলার জন্য একটি 'বিশেষ মিশন' পরিচালনার অভিযোগে অভিযুক্ত করে। আদালতের কাছে তার জন্য আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
"পাঁচদিনে আমি যা সহ্য করেছি, তা কল্পনাতীত। যদি আবার আমাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়, জানি না কী হবে," বিষণ্ন ও নিরুপায় হয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এমনটাই ভাবছিলেন সানিয়াত।
কথাগুলো বলতে বলতে আবার মায়ের দিকে ফিরে তাকালেন তিনি। বললেন, "মা, আমি তোমার জন্য কখনও কিছু করতে পারিনি। আমাকে মাফ করে দিও।"
মূল লেখা থেকে অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন