উদীয়মান এক ফুটবল প্রতিভা যেভাবে মাঠ থেকে হারিয়ে গিয়ে এখন নাপিত!
অপু কুমার সরকার। বয়স উনিশের কোঠায়। জন্ম ও বেড়ে ওঠা পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার কাছারিপাড়া গ্রামে। ২ ভাই আর বাবা-মা নিয়েই অপুর সংসার। যখন থেকে খেলা বুঝেছেন তখন থেকে বাড়ির পাশের ছোট্ট উঠোনটায় ফুটবল নিয়ে এদিক-সেদিক দৌড়ে বেড়িয়েছেন। বড় দুই ভাইকে ফুটবল নিয়ে মেতে থাকতে দেখতেন, সেই থেকে তারও এর প্রতি আকর্ষণ জন্মায়। ছোটবেলার সেই দুরন্ত অপুর মনে ফুটবল নিয়ে জন্মেছিলো পাহাড়সম ভালোবাসা। বাড়ির উঠোনকে বানিয়ে ফেলেছিলেন নিজের একান্ত ব্যক্তিগত খেলার মাঠ। স্বপ্ন দেখতেন এভাবেই একদিন বাংলাদেশের হয়ে ফুটবল মাঠ দাপিয়ে বেড়াবেন। সেই স্বপ্ন দীর্ঘদিন ধরে লালন করে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু অপু তখনো জানতেন না সামনের দিন কতটা কঠিন হতে যাচ্ছে তার জন্য।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফুটবলার অপুকে দেখা যায় নাপিতের ব্লেড হাতে! ফুটবলই যার ধ্যানজ্ঞান, ফুটবলই যার সব, সেই অপু কী করে এলো নাপিতের ভূমিকায়?
ফুটবল খেলা শুরু যেভাবে
বড় দুইভাইকে যখন দেখতেন ভাইয়েরা ফুটবল নিয়ে কারিকুরি করছেন তখন অপুরও ফুটবল নিয়ে এমন কারিকুরি করতে মন চাইতো। সেই চাওয়া থেকেই ফুটবলে মনোনিবেশ করেন তিনি। সুযোগ পেলেই চলে যেতেন বন্ধুদের সাথে খেলতে। অপু ছোট হলেও ফুটবল খেলতেন বড়দের মতো। তাই এলাকার অনেক সময় বড়দের ফুটবল খেলায় ডাক পড়তো ছোট্ট অপুর। এর সূত্র ধরে এলাকায় কোনো টুর্নামেন্ট হলেই অপু হয়ে ওঠে ভরসার নাম।
মেসিই ছিলেন অনুপ্রেরণা
যখন একটু বড় হলেন তখন মেসির প্রতি জন্মাতে শুরু করে মুগ্ধতা। সময় পেলেই অনেক আগ্রহ নিয়ে অপু দেখতেন মেসির খেলা। মেসির প্লে মেকিং এর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নিজের মধ্যেই মেসি হওয়ার হওয়ার ইচ্ছা প্রবল হতে থাকে। তাই অপু হতে চেয়েছিলেন মাঠের মধ্যমণি।
অপু বলেন, "আগে এমনেই দাদাদের দেখে খেলতাম। তারা যখন খেলতো তখন আমারও খেলতে মন চাইতো। কিন্তু যখন আমি মেসির খেলা দেখা শুরু করলাম তখন আমার খেলায় তার প্রভাব পড়তে শুরু করে। আমি চাইতাম তার মত খেলতে, আরও ভালো ফুটবলার হতে।"
বাংলাদেশ ফুটবলে একজন মেসির অভাববোধ করতেন তিনি । অপু নিজেই সেই মেসি হতে চেয়েছিলেন। সেই আশা মনে নিয়ে ফুটবলে মনোনিবেশ করেন তিনি। কিন্তু অপুর মনে তখন ভয় ছিল, যে স্বপ্ন দেখতেন তিনি তা আদৌ বাস্তবে সম্ভব করতে পারবেন কিনা।
যেভাবে এলেন নাপিতের ভুমিকায়
পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তার বাবা। ব্যাংকের ঝাড়ুদারের অল্প বেতনের চাকরি করতেন তিনি। এই টাকায় না চালানো যেতো সংসার না ছেলের খেলাধুলার খরচ। বড় দুই ভাই পরিবারের দায়ভার গ্রহণ করলেও বিয়ে করার পর তাদেরও নিজেদের পরিবারের খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হতো। ফলে পরিবারে আর্থিক অভাব অনটন লেগেই থাকতো। এই বিষয়টি মানসিকভাবে পীড়া দিতে থাকে অপুকেও। তাই একটা সময় নিজেই সিদ্ধান্ত নিলেন, বসে না থেকে উপার্জন করে পরিবারকে সাহায্য করবেন।
অপু বলেন, "আমি ভেবেছিলাম ভালোভাবে খেলাধুলা করে নাম করবো। ভালো কোনো ক্লাবে ডাক পাব। খেলার মাধ্যমে যা টাকা আয় করবো তা দিয়ে পরিবারে সাহায্য করবো। কিন্তু আমার সে আশা কেবল আশাই থেকে গেলো। আমাকে কখনো কোনো ক্লাব থেকে ডাকা হয়নি। দেখলাম বাবার পক্ষে খরচ সামলানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বাবার অনেক বয়সও হয়ে গিয়েছে, আর পারছিলেন না। তখন আমি নিজেই নাপিতের কাজ করা শুরু করি।"
সম্প্রতি অপুর বাবার মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এই ঘটনা অপুর জীবনে নিয়ে আসে ঘোর অন্ধকার। কারণ তার খেলাধুলা করার পেছনে খুঁটি হয়ে ছিলেন তার বাবা। যতদিন পেরেছেন ছেলের জন্য প্রয়োজনীয় টাকার ব্যবস্থা করেছেন। একসময় খেলায় ফিরবেন সেই আশায় ছিলেন অপু। বর্তমানে বাবাহীন অপু সেই স্বপ্ন দেখতেও ভয় পান।
আক্ষেপ, অভিযোগ ও কিঞ্চিৎ অভিমানের স্বরে অপু বলেন, "যাদের অর্থনৈতিক সামর্থ্য নাই, যারা আমার মতো দরিদ্র পরিবারের সন্তান তাদের কখনো স্বপ্ন দেখত হয় না। মাঝেমধ্যে মনে হয় ফুটবলার হবো এমন স্বপ্ন দেখাটাই ভুল ছিল।"
পরিবার ছিল সবচেয়ে বড় 'সাপোর্ট'
অপুর পরিবারের সবাই চাইতেন অপু একদিন ফুটবল খেলে জয় করবে কোটি মানুষের হৃদয়। ফুটবলার বড় দুইভাইও চাইতেন তারা যা করতে পারেনি তা তাদের ছোটভাই করে দেখাবে একদিন। নিজেদের যতটুকু সামর্থ্য ছিলো তার সবটাই তারা করেছেন।
তাই অপুও বড় দুই ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, "বাসায় সবাই চাইতো আমি খেলি। আমাকে দাদারা সবসময় উৎসাহ দিতো যাতে আরও ভালো খেলোয়াড় হতে পারি। তবে আমার বাবা অন্যরকম ছিলেন। তিনি সবসময় চেষ্টা করে গেছেন যাতে আমরা খেলাটাকে ঠিকমতো খেলতে পারি। মারা যাওয়ার আগেও বাবা বলতেন, তুই একদিন অনেক বড় খেলোয়াড় হবি। এটা মনে করেই এখন কান্না পায় আমার। কারণ আমার সবচেয়ে বড় সাপোর্ট ছিলেন যিনি, তিনি আজ আর বেঁচে নেই।"
কোথাও পাননি সাহায্য-সহযোগিতা
ফুটবলে মেধাবী খেলোয়াড় হলেও অপু সে অনুযায়ী কিছুই করতে পারেননি। অর্থের দিক দিয়ে পারিবারিকভাবে অসমর্থ থাকার পাশাপাশি পাননি এলাকাবাসীর সাহায্য সহযোগিতাও। তবে প্রচণ্ড আত্মসম্মানবোধের অধিকারী অপুও যাননি কারো দ্বারে।
কেন তিনি কারও কাছে সাহায্য চাননি এমন প্রশ্নের উত্তরে টিবিএসকে বলেন, "আমি কেন কারো কাছে যাব? আমি তো সবসময় চেষ্টা করে গেছি একজন ভালো খেলোয়াড় হওয়ার। এলাকার জন্য কিছু করে সুনাম অর্জন করার। সবাই আমার সম্পর্কে জানতো কমবেশি। কিন্তু কেউ আমাকে সাহ্যয্য করার জন্য এগিয়ে আসেনি। তাই আমিও কারো কাছে হেল্প চাইতে যাইনি।"
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ভালো খেলার পরেও কেউ তাকে দলে ডাকেনি। পাননি কোনো ক্লাব থেকেও সাড়া। সবসময় চাইতেন কোনো ভালো ক্লাবে ভর্তি হবেন কিন্তু তার জন্য যে পরিমাণ টাকা লাগে সেটা তার কাছে ছিলো না।
সুজানগরের বাসিন্দা নাজমুল হাসান টিটু জানান, "শুধু আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে এরকম প্রতিভা হারিয়ে যাওয়ার পথে, একটু পরিচর্যা পেলে ও অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারতো। আমাদের সামর্থ্য থাকলে এরকম প্রতিভাকে বিকশিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতাম।"
সুজানগরের হলেও খেলেছিলেন সাঁথিয়া উপজেলার হয়ে
অপু সুজানগর উপজেলার বাসিন্দা। কিন্তু তা স্বত্ত্বেও নিজ উপজেলার হয়ে খেলতে পারেননি তিনি। ফুটবল খেলায় তার প্রতিভা দেখে বিমোহিত হয়েছিলেন সাঁথিয়া উপজেলার খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। তিনি অপুকে প্রথমবারের মত জাতীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ করে দেন। সুযোগ করে দেওয়ার পাশাপাশি তিনি ১৪-১৫ দিন ফুটবল খেলার প্রশিক্ষণও দেন তাকে।
অপুর প্রতিভা সম্পর্কে তিনি বলেন, "অপুর মেধা সম্পর্কে আমি আগেই জানতাম। ওর খেলা দেখে মুগ্ধ হয়েই আমি আমার সাঁথিয়ার টিমে ওকে নিয়ে আসি। জাতীয় পর্যায়ে খেলার জন্য পাবনা থেকে কিছু সেরা খেলোয়াড় পাঠানো দরকার ছিলো। আমার দলে যত খেলোয়াড় ছিলো, সবার মাঝে অপুকেই আমার কাছে বেস্ট মনে হয়েছে। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে অপু দারুণ পারফর্ম করে প্রমাণ করে দেয় সে কত ভালো খেলোয়াড়। ভালো খেলার জন্য কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যান অফ দি ম্যাচ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরষ্কারও গ্রহণ করে অপু।"
অপু বলেন, "জাহাঙ্গীর ভাই আমাকে প্রথম সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সেজন্য আমি তার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। আমাকে কেউ কখনো দলে ডাক দেয়নি। ভাই প্রথম এই কাজ করেছিলেন।"
প্রথম জার্সি ও বুটের গল্প
অপুর কাছে তার প্রথম জার্সি পরিধান ও বুট নিয়ে জানতে চাইলে উৎফুল্ল হয়ে তিনি জানান, "আমাদের উপজেলায় একবার বড় একটা ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেই টুর্নামেন্টে আমি সুজানগর কাছারিপাড়ার হয়ে খেলার সুযোগ পাই। সেদিনই প্রথম আমার জার্সি-বুট পরা হয়। সেদিন কি যে ভালো লেগেছিলো। নিজেকে ওইদিন ফুটবলার ফুটবলার মনে হচ্ছিলো।"
তবে অপুর কাছে সবচেয়ে সুন্দর মুহুর্ত ছিল সেদিন, যেদিন তিনি জাতীয় পর্যায়ে খেলার জন্য পাবনার হয়ে জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন। অপুর কাছে সে দিনটি ছিলো অবিশ্বাস্য সুন্দর একটি দিন। আগে এলাকাভিত্তিক খেললেও এত মানুষের উপস্থিতিতে কখনো খেলেননি তিনি। জাতীয় পর্যায়ে এত মানুষের সামনে নিজের নাম লেখা জার্সি গায়ে খেলার অনুভূতির বর্ণনা তিনি ভাষায় ব্যক্ত করতে নারাজ। অপু বলেন, "একজন ফুটবলারের কাছে জার্সি-বুট এগুলো কত সম্মানীয় জিনিস তা আমি সেদিনই টের পেয়েছিলাম।"
অপুকে নানাভাবে উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকা তার বড় ভাই শ্রী চন্দর কুমার সরকার টিবিএসকে বলেন, "আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে যতটুক পারি আমরা করি। আমরা অপুকে বল কিনে দিতাম। কিন্তু বুট-জার্সির দাম এতই বেশি যে সেটা কিনে দেওয়া আমাদের সামর্থ্যের বাইরে ছিলো। একজন ফুটবলারের কমপক্ষে দুই জোড়া বুট লাগে। কিন্তু সেটা আমরা দিতে পারি নাই ছোট ভাইটিকে।"
২০১৮ সালের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে অনন্য অপু
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব-১৪ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে পাবনার হয়ে খেলতে নামেন অপু। মিডফিল্ডার হয়ে ছড়িয়েছিলেন আলো। এমনকি পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম অপুর খেলা প্রসঙ্গে বলেন, "যে ভরসার জায়গা থেকে আমি অপুকে দলে খেলার সুযোগ করে দিই সেই জায়গা ধরে রাখতে পেরেছিলো সে। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই ও অন্য সবার চেয়ে ভালো খেলেছিলো।"
অপুর এমন অসাধারণ খেলায় শুধু যে জাহাঙ্গীর আলম খুশি হয়েছিলেন তা নয়, অপুর পুরো পরিবারেরও তাকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ হয়েছিলো। অপুর বড় ভাই চন্দন কুমার বলেন, 'অপু যখন প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছিলো আমরা টিভির সামনে বসে সেটা দেখছিলাম। সেদিন আমাদের কী যে গর্ব হয়েছিলো তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। খুশিতে আমাদের চোখে পানি চলে এসেছিলো। আমরা সবসময় চাইতাম, আমাদের ভাইটা খেলুক দেশের হয়ে। কিন্তু তা আর হলো কই!"
এগিয়ে আসছে সাহায্যের হাত
২০১৮ সালের পর কেউ সেভাবে অপুকে সাহায্য না করলেও সুজানগর উপজেলার ক্রীড়া সংস্থার ২০২২-২০২৬ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান জর্জ সহায় হতে চান অপুর। তিনি বলেন, "অপুর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আর্থিক। তাই আমরা তাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমরা তাকে আপাতত ১০ হাজার টাকা, দুই বস্তা চাল এবং খেলার সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করতে চাই যাতে সে মন দিয়ে খেলতে পারে।"
তবে খেলার সামগ্রীর পাশাপাশি অপুর বন্ধ হয়ে যাওয়া পড়াশোনা পুনরায় শুরু করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেন সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, "তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যেটা আবার চালু করা খুব দরকার। তাই তাকে আমরা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা অনেক ক্লাবের সাথেও যোগাযোগ করেছি কেউ তাকে নিতে আগ্রহী কিনা। আমাদের সাথে ইতোমধ্যে একটা ক্লাব যোগাযোগ করেছে।"
আবারও ফিরতে চান মাঠে
এত উপেক্ষা, কষ্ট, অভাবের মধ্যেও দমে যাননি অপু। হাতে নাপিতের ব্লেড ধরলেও মন পড়ে থাকে বাড়ির পাশের মাঠটায়। এখনো সেলুনের কাজ শেষ করে বল নিয়ে দৌড়ে বেড়ান মাঠের এই প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। আশা বেঁধে আছেন, যদি একদিন খেলতে পারেন দেশের হয়ে!
একটাই আক্ষেপ, কেউ যদি সাহায্য করতো, হয়তো আজ নাপিতের কাজ না করে খেলার মাঠে থাকতেন তিনি। অপুর পরিবারও চায় সে তার স্বপ্নের সমান বড় হোক। কোনো প্রতিবন্ধকতাই যাতে বাঁধা হয়ে না দাঁড়াতে পারে এই প্রার্থনাও করেন তারা। অপুও চান প্রবল উচ্ছ্বাসে আগের মত ফুটবল নিয়ে মেতে উঠতে। তিনিও স্বপ্ন ছোঁয়ার প্রতীক্ষায় বুক বেঁধে আছেন। মার্থিন লুথার কিং এর সেই বিখ্যাত বক্তব্যের মতো অপুও সবাইকে জানাতে চায়,'I have a dream.'