স্যুভেনির জগতে নতুন আকর্ষণ ‘ডাক্কা স্যুভেনির’
কেমন হয় বলুন তো, যদি বাসায় ব্যবহৃত ফ্রিজটিকে দেখলেই দেশে-বিদেশে ঘুরতে ইচ্ছে করে? হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে- মিশরের পিরামিডে কিংবা আইফেল টাওয়ারে; প্রাচীন রোমে কিংবা চীনের মহাপ্রাচীরে! আজকাল বিভিন্ন দেশের ইতিহাসের এক টুকরো অনেক গৃহস্থালির ফ্রিজেই শোভা পায়। শুধু তাই নয়, বাংলার পরতে পরতে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন নোট, স্ট্যাম্প কিংবা স্বাধীন বাংলাদেশের গল্পও উঠে আসে- ফ্রিজ ম্যাগনেটের মাধ্যমে।
শুধু ফ্রিজ ম্যাগনেটই নয়, আপামর বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রতিনিধিত্বকারী অনেক রেপ্লিকাও আজকাল বাঙালির বসার ঘরে নজর কাড়ে। শোভাবর্ধনকারী এসব ইতিহাস যাতে হারিয়ে না যায়, তাই তা তৈরি ও সংরক্ষণে পোহাতে হয় ভীষণ ঝক্কি। স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে তৈরি হওয়া এসব সামগ্রী আরেক অর্থে স্যুভেনির হিসেবেও পরিচিত।
স্যুভেনিরের খ্যাতি বিশ্বজোড়া
স্যুভেনির শব্দটির আগমন ঘটেছে সুদূর গ্রীস থেকে। গ্রীক শব্দ 'স্যু' এর অর্থ সস্তা কিংবা চটকদার, অপরদিকে 'ভেনির' অর্থ- আত্মীয় বা বন্ধু কর্তৃক ছুটিতে কেনা কোনো সামগ্রী। প্রকৃতপক্ষে, হোমার তার বই 'দ্য ইলিয়াড' এ স্যুভেনির শব্দটি প্রথম রেকর্ড করেছিলেন।
বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বিভিন্ন দেশের স্যুভেনির বা স্মৃতিস্মারক রয়েছে। এই স্মারকগুলো অনেকাংশেই পর্যটনশিল্পের সাথে যুক্ত। দেশের বাইরে থেকে কেউ ঘুরে এলেই, সে দেশের ঐতিহ্যবাহী কোনো স্মৃতিস্মারক নিদর্শন হিসেবে নিয়ে আসতে দেখা যায়। কোনো দেশের সংস্কৃতি বহনকারী এসব প্রতীকী সামগ্রীর মধ্যে নিহিত থাকে হাজার বছরের বৃত্তান্ত।
ধরা যাক রাশিয়ার কথা; রাশিয়াতে বিখ্যাত অনেককিছু থাকলেও স্যুভেনির হিসেবে অনন্যতা লাভ করেছে- মাত্রিওশকা পুতুল। কৃষাণীর আদলে সাজানো এই পুতুল রাশিয়ার বিভিন্ন প্রজন্মের নারীদের প্রতিনিধিত্ব করে। এছাড়াও জাপানের দিকে তাকালে স্যুভেনিরের মধ্যে দেখা যায় সংস্কৃতির প্রতিফলন। সুমো জাপানের ঐতিহ্যবাহী খেলা হওয়ায় সুমো কুস্তিগীরের স্যুভেনির জাপানে বিখ্যাত।
একইভাবে রোমানিয়ার বিখ্যাত ড্রাকুলা কাপ, মিশরের বিখ্যাত ফেরাউনের মূর্তি, যিশুখ্রিস্টের প্রতিকৃতি হিসেবে ব্রাজিলের ক্রাইস্ট দ্যা রিডিমার, ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ার, ইংল্যান্ডের বাকিংহাম প্যালেস, হাওয়াই এর নাচের পুতুল, জার্মানির ব্র্যাডেনবার্গ গেট প্রভৃতির স্কেল মডেল, ছবি, ভাস্কর্য ইত্যাদি।
নব-আকর্ষণ ডাক্কা স্যুভেনির!
স্যুভেনির খাতে বাংলাদেশের গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানই কাজ করে। তাদের মধ্যে অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেদেরকে তাৎপর্যপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে গেছে 'ডাক্কা স্যুভেনির'। ছোট ছোট সামগ্রীর মাধ্যমে তারা একদিকে যেমন দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে, তেমনি নতুন প্রজন্মের কাছেও পছন্দ অনুযায়ী স্যুভেনির পৌঁছে দিচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে পড়া পাঁচজন শিক্ষার্থীর একত্রিত শ্রমের গল্প 'ডাক্কা স্যুভেনির'। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডিইউ টাইমসে কাজ করতে গিয়ে আলাপ হয়েছিলো তাদের। তখন থেকেই নতুন কিছু করার প্রত্যয়ে ছোট ছোট ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে তারা। ২০১৮ সাল থেকে গবেষণার মাধ্যমে শুরু হওয়া 'ডাক্কা স্যুভেনির' বাস্তবিক রূপ লাভ করে ২০২১ সালে। তানজিনা তারেক, মো. সাফাত কাদির, মো. রবিউল হোসেইন জুয়েল, মো. মোরসালিন অনিক, মো. খাইরুল বাশার সজল মিলেই শুরু করেছেন ডাক্কা স্যুভেনিরের কাজ। তাদের মধ্যেই কেউবা সিইও, কেউ ডিজাইনার; আবার কেউ কাজ করেন- সাপ্লাই চেইন অংশে। কেউবা যুক্ত আছেন এডমিন হিসেবে।
'ডাক্কা' শব্দটি শুনে চমকপ্রদ লাগায় উদ্যোক্তা তানজিনা তারেকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো নামের ইতিহাসের কথা। তিনি জানান, 'প্রথমে আমরা চিন্তা করেছিলাম বাংলাদেশের ইতিহাসকে আমরা স্যুভেনিরের মাধ্যমে নিয়ে আসবো। তখনই নাম খুঁজতে শুরু করি। পরে মনে হলো- যেহেতু স্যুভেনির পুরোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেয় আর বাংলাদেশকেও আমরা প্রতিনিধিত্ব করি, তাই ডাক্কা স্যুভেনির নাম দেই। আবার ডাক্কা যেহেতু ইংরেজ ও পাকিস্তান আমলে ছিল ঢাকার আদি (লিখিত অর্থে) নাম, তাই আমরা এই নাম রাখি।'
গবেষণাই যখন মুশকিল আসান!
মূলত হাতে-কলমে করতে করতেই স্যুভেনির তৈরির কাজ শিখেছেন ডাক্কা স্যুভেনিরের দল। এক্ষেত্রে গবেষণা তাদের অগ্রগতিতে অভুতপূর্ব অবদান রেখেছে। আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণার মাধ্যমে শুরু হয় তাদের কাজ। আন্তর্জাতিকভাবে যেসব স্যুভেনির মানুষ বেশি পছন্দ করে বা মানুষকে আকৃষ্ট করে- সেগুলোই খুঁজে বের করাই ছিলো তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য।
'আমরা যখন দেশের বাইরে যাই, তখন আত্মীয়স্বজনকে গিফট দেওয়ার জন্য ছোট ছোট স্যুভেনির নিয়ে আসি। ইন্ডিয়া গেলে ছোট তাজমহল নিয়ে আসি, আবার মালয়েশিয়া গেলে ছোট পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার নিয়ে আসি স্যুভেনির হিসেবে। যখন আমাদের বাংলাদেশ থেকে কেউ বাইরে যায়, তখন পুরোপুরি এদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে- এমন কিছু খুব কমই নিয়ে যেতে পারে। তখন আমরা চিন্তা করলাম, বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে এমন কিছু নিয়ে যদি আমরা কাজ করি- তাহলে পর্যটন খাতের স্যুভেনিরের 'গ্যাপ' পূরণ করতে পারবো', বলছিলেন ডাক্কা স্যুভেনিরের একজন উদ্যোক্তা তানজিনা তারেক। দেশকে অনন্যস্থানে পৌঁছে দেয়ার চিন্তাভাবনা থেকেই স্যুভেনির জগতে যাত্রা শুরু করে 'ডাক্কা স্যুভেনির'।
তরুণদের পছন্দই শীর্ষে!
মূলত তরুণদের আকর্ষণ করতেই নানাবিধ সামগ্রী নিয়ে কাজ করে ডাক্কা স্যুভেনির। এক্ষেত্রে তারা বেছে তরুণদের পছন্দের তালিকায় থাকা বিভিন্ন সিরিজ বা সিনেমার চিত্রপট। গ্রাহকদের চাহিদা কেমন থাকে জানতে চাইলে তানজিনা জানান, 'নেটফ্লিক্সের নতুন কোনো সিরিজ এলেই ক্লায়েন্টরা চাওয়া শুরু করে। গেম অফ থ্রোন্স, মানি হেইস্টের স্যুভেনিরের চাহিদা গ্রাহকদের থেকেই এসেছে।'
এখন মানুষের জীবনে উৎসব, অনুষ্ঠান বেড়ে যাওয়ায় স্যুভেনিরের চাহিদাও বেড়ে গেছে বলে মনে করেন তানজিনা। তিনি বলেন, 'এখন মানুষ বিভিন্ন ভালোবাসা দিবস, মা দিবস, বাবা দিবস সহ বিভিন্ন উপলক্ষ্যে উপহার কিনে। বিয়েতে উপহার দেয় অনেকে। আবার অনেকে উপলক্ষ ছাড়াও উপহার দিতে পছন্দ করে।'
বর্তমানে ডাক্কা স্যুভেনিরের ভাণ্ডারে ফ্রিজ ম্যাগনেট, টাকা ফ্রেম, স্ট্যাম্প ফ্রেম, বিভিন্ন যানবাহনের ফ্রেম, মেটাল রেপ্লিকা, কাস্টোমাইজ থার্মোফ্লাক্স, চাবির রিং, কাফলিং, পোস্টার প্রভৃতি রয়েছে। এক্ষেত্রে তারা গ্রাহককে যাতে নতুন কিছু জানাতে পারে সেটির কাজও করে থাকে। বিভিন্ন নোট ফ্রেম, কয়েন ফ্রেম কিংবা স্ট্যাম্প ফ্রেমে তারা তুলে ধরে লুক্কায়িত ইতিহাস। দলের সদস্যরাই গবেষণার মাধ্যমে ইতিহাস তুলে ধরার কাজ করে থাকে।
রুচিতে গ্রাহককেও দেন সমান গুরুত্ব!
গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী- স্যুভেনির তারা মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। স্যুভেনিরের বাজার বড় হওয়ায় নিজেরা উৎপাদনের পাশাপাশি আমদানিকৃত স্যুভেনিরও তারা পৌঁছে দেন। তবে তার অনুপাত কোনোভাবেই নিজের তত্ত্বাবধানে তৈরি স্যুভেনির থেকে অধিক হতে দেয়নি ডাক্কা স্যুভেনির। ১৫-২০% আমদানিকৃত স্যুভেনির আছে তাদের ভাণ্ডারে, বাকিসব নিজস্ব ডিজাইনের মাধ্যমে তৈরি করে করা হয়।
নিজের পরিচয় তৈরিকারী সামগ্রী কিংবা ঘর সাজানোর সামগ্রী- গ্রাহকদের পছন্দের তালিকায় ছিল এগিয়ে। স্যুভেনিরের ব্যবসায় শুরু করার পর গ্রাহকের চাহিদাকেও প্রাধান্য দিতে শুরু করে ডাক্কা স্যুভেনির। গ্রাহকের চাহিদা ও ডাক্কা স্যুভেনিরের সৃজনশীলতা দুয়ের সমন্বয়ে অল্পদিনের মধ্যেই তরতর করে বেড়ে উঠতে থাকে ডাক্কা স্যুভেনির।
ছয় লাখ টাকা দিয়ে শুরু হয়েছিলো উদ্যোগটি। বর্তমানে মাসিক আয় পাঁচ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। গ্রাহকেরাই যখন লক্ষ্মী, তাই তাদের কল্যাণে ব্যবসায়ও আপন গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
স্যুভেনির তৈরির কলাকৌশল!
গ্রাহকদের পছন্দের তালিকায় ফ্রিজ ম্যাগনেটের পাশাপাশি শীর্ষে রয়েছে মেটাল রেপ্লিকা। এগুলো ডাক্কা স্যুভেনিরের উদ্যোক্তারা বিভিন্ন সোর্স থেকে তৈরি করে নিয়ে এসে, নিজেরাই তুলির আঁচড়ে রঙিন করে তোলেন।
ফ্রিজ ম্যাগনেট তৈরির কাজে তারা বেছে নেন মার্বেল স্টোনকে। মার্বেল স্টোনের একেকটি সামগ্রী তৈরি করতে তাদের সময় লাগে ১৫- ২০ দিন।
পুরো প্রক্রিয়াটি কীভাবে সম্পন্ন করেন জানতে চাইলে তানজিনা জানান, 'প্রথমে গবেষণার মাধ্যমে কোন ধরনের সামগ্রী আনা যায়- তা ঠিক করা হয়। এরপর আমাদের ডিজাইনার আইডিয়ার স্কেচ করে গ্রাফিক্যালি তুলে ধরে। গ্রাফিক্যাল ডিজাইন দেখে আমরা সবাই একসাথে বসি এবং কী পরিবর্তন আনা যায়- তা নিয়ে আলোচনা করি। ডিজাইন ঠিক হওয়ার পর প্রথমে আমরা ক্লে মডেলিং করি। তারপর সেটি যখন প্রোডাক্ট হিসেবে দাঁড়িয়ে যায়, তখন তাকে মার্বেলস্টোনে রূপান্তর করি আমরা।'
মার্বেলস্টোনে রূপান্তরের পর লালবাগে অবস্থিত কারখানায় শুরু হয় নতুন কর্মযজ্ঞ। মার্বেলস্টোন তৈরির জন্য প্রয়োজন হয় মাটির গুঁড়ো। দেশ থেকে বা দেশের বাইরে থেকে সংগ্রহ করেন মার্বেলস্টোন তৈরির মাটির গুঁড়ো। গুঁড়ো মাটিতে প্রয়োজনমতো রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে তৈরি করা হয় সেটি। পরীক্ষামূলক পর্যবেক্ষণ হিসেবে সামগ্রী তৈরির পর প্রথম তিন চারটি পণ্যে ভিন্ন ভিন্ন রঙ করেন তারা। সেখান থেকে একটি বা দুটি আকর্ষণীয় পণ্য তারা গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। মার্বেলস্টোনের সামগ্রী তৈরির পর শুকাতে হয়- স্বাভাবিক তাপমাত্রায়।
একদিনে ১০০ পিসের মতো সামগ্রী তারা মার্বেলস্টোন দিয়ে তৈরি করতে পারেন। বর্তমানে ডাক্কা স্যুভেনিরে মোট ৭-১০ জন কাজ করেন।
বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা
বর্তমানে দেশের বাইরে সরাসরি রপ্তানি করার সুযোগ না হলেও কিছু গ্রাহকের মাধ্যমে দেশের বাইরেও পৌঁছে গেছে ডাক্কা স্যুভেনিরের জয়জয়কার। গ্রাহক তার পছন্দমতো পণ্য কাস্টোমাইজ করে প্রায়ই দেশের বাইরে নিয়ে যায়।
নিজেদের উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং বাংলাদেশে স্যুভেনিরের জন্য আলাদা ইন্ডাস্ট্রি তৈরী করা ডাক্কা স্যুভেনিরের লক্ষ্য। এছাড়া আসন্ন উৎসব উপলক্ষ্যে তাদের রয়েছে সুদীর্ঘ পরিকল্পনা। তানজিনা জানান, 'সামনে বিশ্বকাপ আসছে, বিজয় দিবস আসছে, ইংরেজি নববর্ষ আসছে- এগুলো নিয়ে আগে কাজ করবো। এমনিতেও আমরা অনেক সামগ্রী তৈরি করি; তাই বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষ্যে পণ্য নিয়ে এসে স্যুভেনিরের জায়গাকে আরো শক্ত করার ইচ্ছা আছে। মানুষ আজকাল ইসলামিক স্যুভেনির, বিভিন্ন ডলার-ইউরো নিয়েও চিন্তাভাবনা করছে। ভবিষ্যতে আউটলেট দেওয়ারও ইচ্ছা আছে আমাদের। আপাতত অনলাইনে চললেও- অফলাইনে ব্যবসায়ের প্রসার ঘটাতে চাই আমরা।'
নতুন কেউ স্যুভেনির জগতে আসতে চাইলে কী কী উপদেশ থাকবে জানতে চাইলে অন্যতম কর্ণধার তানজিনা জানান, 'নতুনদের জন্য প্রথমেই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। কোনো ব্যবসায় শুরু করলেই যে দাঁড়িয়ে যাবে তা নয়; এজন্য অনেক ধৈর্য্য রাখতে হবে। অবশ্যই গবেষণা করে এখানে আসতে হবে। বাজার গবেষণা যদি না করে বা ক্রেতার চাহিদা যদি না বুঝে তাহলে মার্কেটে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবেন না। এজন্য ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ব্যবসায় শুরু করতে হবে।'
ভিন্ন ভিন্ন দামের স্যুভেনির পাওয়া যায় ডাক্কা স্যুভেনিরে। নোট ফ্রেমের দাম শুরু হয় ৯৯০ টাকা থেকে। কোনো কোনো সময় একেকটি ফ্রেমের দাম ১৫০০ টাকায়ও ঠেকে। টাকা ফ্রেমের দাম ১৫৫০ টাকা ও স্ট্যাম্প ফ্রেমের দাম ১২৫০ টাকা। ফ্রেম ছাড়াও পাওয়া যায় ফ্রিজ ম্যাগনেট। মার্বেল পাথরের ফ্রিজ ম্যাগনেট ৩৫০ টাকা ও অ্যাক্রেলিকের ফ্রিজ ম্যাগনেট ২৫০ টাকা।
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক ব্যবহার করেই ব্যবসায়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তবে বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে স্যুভেনির যোগান দেওয়ারও পরিকল্পনাও আছে তাদের।