২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল কিছু শহর
করোনা মহামারি কেবল বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর হারই বাড়ায়নি; বরং প্রভাব ফেলেছে বিশ্ব অর্থনীতিতেও। বুধবার প্রকাশিত নতুন এক গবেষণা অনুসারে, সাপ্লাই চেইন অবরোধ এবং ভোক্তা চাহিদার পরিবর্তনে অনেক শহরের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) প্রকাশিত চলতি বছরের বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার ব্যয় সূচকে পঞ্চম স্থান থেকে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে ইসরায়েলি শহর তেল আবিব। এই তালিকায় সম্মিলিতভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্যারিস এবং সিঙ্গাপুর।
সূচকে তেল আবিবের অবস্থানের পেছনে মূলত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং পরিবহন খরচের উর্ধ্বগতি দায়ী।
২০২১ ওয়ার্ল্ডওয়াইড কস্ট অব লিভিং ইনডেক্সে বিশ্বের ১৭৩টি শহরের ২০০টিরও বেশি দৈনন্দিন পণ্য ও পরিষেবার দামের তুলনা করা হয়।
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা এই জরিপের তথ্য প্রতি বছরের মার্চ এবং সেপ্টেম্বরে সংগ্রহ করে ইআইইউ গবেষকদের গ্লোবাল টিম।
ইআইইউ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সূচকের আওতায় থাকা পণ্য ও পরিষেবার দাম স্থানীয়-মুদ্রার পরিপ্রেক্ষিতে বছরে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত বছরের এই সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছিল মাত্র ১ দশমিক ৯ শতাংশ।
তেলের দাম বাড়তে থাকায় আনলেডেড পেট্রোলের দাম বেড়েছে ২১ শতাংশ।
২০২১ সালের সূচকে সবচেয়ে ক্রমবর্ধমান শহর ছিল ইরানের শহর তেহরান। গত বছর তালিকায় ৭৯ নম্বরে থাকলেও এ বছর তা আছে ২৯ নম্বরে।
তবে, এবছরও বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা শহর হিসেবে স্থান পেয়েছে সিরিয়ার শহর দামেস্ক।
ইআইইউ-তে বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার ব্যয়ের প্রধান উপাসনা দত্ত একটি বিবৃতিতে বলেন, "যদিও বিশ্বের বেশিরভাগ অর্থনীতি ভ্যাকসিনের বিস্তারের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, এখনও অনেক শহরেই করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এসব শহরে লকডাউন জারি থাকায় পণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হয়। এই ঘাটতির ফলে পণ্যের দামও বেড়েছে।"
২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর-
১. তেল আবিব, ইসরায়েল
২. প্যারিস (ফ্রান্স) ও সিঙ্গাপুর
৪. জুরিখ, সুইজারল্যান্ড
৫. হংকং
৬. নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক
৭. জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
৮. কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
৯. লস এঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া
১০. ওসাকা, জাপান
১১. অসলো, নরওয়ে
১২. সিওল, দক্ষিণ কোরিয়া
১৩. টোকিও, জাপান
১৪. ভিয়েনা (অস্ট্রিয়া) ও সিডনি (অস্ট্রেলিয়া)
১৬. মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
১৭. হেলসিঙ্কি (ফিনল্যান্ড) ও লন্ডন (যুক্তরাজ্য)
১৯. ডাবলিন (আয়ারল্যান্ড), ফ্রাঙ্কফুর্ট (জার্মানি) ও সাংহাই (চীন)
- সূত্র- সিএনএন