লাভ ইন দ্য টাইম অফ লকডাউন
২০২০ এর এপ্রিল, লকডাউনে স্থবির হয়ে আছে পাকিস্তান। অন্যান্য সময়ের ব্যস্ততম লাহোর মল রোড এখন নির্জীব, নিষ্প্রাণ। অফিস থেকে ফেরার পথে ইরাম নামের এক তরুণী উবার নিয়ে চলে গেল অন্ধকার ও শান্ত পাক টি হাউজ এ, অপেক্ষা করতে লাগলো নির্জন ক্যাফের সামনে। তার দৃষ্টি পথের দিকে, যেখানে গুটিকয়েক গাড়ি ও পথিক এর চলাচল ছাড়া আর কিছুই নেই। এই শহরের প্রাণবন্ত রূপ যেন আগে জন্মের কোনো এক রুপকথার মত!
ইরামের চিন্তার সুর কেটে গেল গাড়ির আওয়াজে যেটা তার পাশে এসেই থেমেছে। সামনে এগিয়ে বিস্ময়ে ইরাম জিজ্ঞেস করলো, "আপনি কে?" ঈষৎ অনিশ্চিত গলায় উত্তর এলো, "আমি হাসান।" গভীর বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে ইরাম গাড়িতে বসতে বসতে জিজ্ঞেস করলো, "কিন্তু আপনার টিন্ডার প্রোফাইলে অন্য এক ছবি দেয়া ছিল।" হাসতে হাসতে হাসান উত্তর দিল, "আজকাল অনেক পরিচিত মানুষ টিন্ডার ব্যবহার করছে, আমি চাইনা আমাকে কেউ দেখেই চিনে ফেলুক সেখানে।"
"আমরা সেদিন লাহোরের কিছু নির্জন পথেঘাটে লং ড্রাইভে গিয়েছিলাম। সে বুঝতে পেরেছিল যে আমি সহজ হতে পারছি না, তাই সে ক্ষমা চেয়েছিল। সেদিনই ছিল আমাদের প্রথম ও শেষ দেখা।" এভাবেই লকডাউন সময়ে নিজের প্রথম অনলাইন ডেটিং এর অভিজ্ঞতা বললেন ২৯ বছর বয়সী ইরাম।
পাকিস্তানে অনলাইন ডেটিং অ্যাপগুলোর জনপ্রিয়তা গত কয়েক বছর ধরে অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের হাজার বছরের পুরনো নিয়মরীতির মধ্য থেকে প্রথাগত উপায়ে প্রেমের সম্পর্কে তৈরি এখন অনেকটা অপ্রচলিত। প্রেমের ব্যাপারে এই নতুন মাত্রা যোগ হবার কারণ হতে পারে যে অনলাইন ডেটিং প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে এখন অনেক সহজেই নিজের পছন্দমত ম্যাচমেকিং অর্থাৎ নিজের সঙ্গী খুঁজে নেয়া যায়।
ইরাম জানালো যে করোনা মহামারির আসার আগে সে কোনোদিন কোনো ডেটিং অ্যাপে ছিলই না। অনলাইনে পরিচয় হওয়া কারো সঙ্গে কথা বলা বা তাদের সাথে দেখা করতে যাওয়া এসব ব্যাপার তার আছে কখনোই সহজ ছিল না। কিন্তু লকডাউনের সময় সে প্রায় সব ডেটিং অ্যাপেই প্রোফাইল বানায় এবং ইরাম দেখতে পায় যে তার পরিচিত বন্ধুবান্ধব, সহকর্মীরাও সব অ্যাপে রয়েছে।
যোগাযোগের নতুন উপায়
যদিও ইন্টারনেট প্রজন্মের মধ্যে ডেটিং এর ব্যাপারে সেকেলে ধ্যানধারণা খুব একটা নেই, কিন্তু পাকিস্তানে বিশেষ করে নারীদের জন্য এটি এখনো পর্যন্ত একটি অত্যন্ত অপমানজনক বিষয় বলে ধরে নেয়া হয়। পাকিস্তানে এখনো মনে করা হয়ে থাকে যে নারীদের এসব ডেটিং এর ব্যাপারে এগিয়ে এগিয়ে আসা এক ধরনের কলঙ্কিত কাজ। কিন্তু বর্তমানে নানা সামাজিক অবস্থান থেকে আসা পাকিস্তানি নারীরা এসব প্রথা ভেঙ্গে নিজের ইচ্ছেমত জীবন যাপন করতে এগিয়ে যাচ্ছেন। অনলাইন ডেটিং কিংবা সেক্স এর মত বিষয় নিয়ে জড়তা বাদ দিয়ে এসে তারা পুরুষতান্ত্রিকতার শেকল ভেঙ্গে ফেলেছেন এবং নিজের পছন্দ-অপছন্দ প্রকাশ করছেন।
কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে যে ডেটিং অ্যাপগুলোতে ঢুঁ মারলে দেখা যায়, প্রচুর নারী তাদের নিজের পরিচয় প্রকাশের ব্যাপারের ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছেন। এ থেকে বোঝা যায় যে তাদের গোপনীয়তা প্রয়োজন। কখনো কখনো আধখানা ছবি বা কখনো হাত-পা এর ছবি বা নখের ছবি তাদের প্রোফাইলে দেখা যায়। আবার প্রোফাইলে 'আমি আর্মিকে ভালোবাসি' বা পবিত্র বাণী লিখে রাখার ব্যাপারটিও প্রচুর দেখা যায়। কিন্তু ডেটিং অ্যাপ এর মত স্থানে এগুলো লিখে রাখা খানিকটা অদ্ভুত বা অর্থহীন নয় কি?
ইন্দোনেশিয়ান জার্নাল অফ কমিউনিকেশন স্টাডিস এর এক গবেষনায় বেরিয়ে এসেছে যে পাকিস্তানি ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগই ইসলামাবাদ, লাহোর ও করাচিতে থাকে এবং এদের বয়সসীমা ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। টিন্ডার ছাড়াও পাকিস্তানে বাম্বল, মাজম্যাচ ও গ্রিন্ডর ব্যবহারকারীও রয়েছে প্রচুর।
করোনাকালে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বাধ্যবাধকতার কারণে ডেটিং অ্যাপের মাধ্যম্নে প্রেমের বিষয়টি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনাই ছিল বেশি। কিন্তু বাস্তবে ছিল এর সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে টিন্ডার, ওকেকিউপিড, ম্যাচডতকম ইত্যাদি ম্যাচ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী শর্মিষ্ঠা ডুবে জানান যে লকডাউনের সময়তাতেই অনলাইনে ডেটিং এর পরিমাণ অনেকগুণ বেড়ে গিয়েছে। ২০২০ এর ফেব্রুয়ারির চাইতে এপ্রিলের দিকে ম্যাসেজ আদান প্রদানের পরিমাণ ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
রয়টার্স নিয়ে এসেছে আরো এরকটি চমকপ্রদ তথ্য। তারা ডেটা বিশ্লেষকারী ফার্ম থেকে জেনেছে যে গত ১২ মাসে পাকিস্তানেই টিন্ডার ডাউনলোড হয়েছে চার লাখ চল্লিশ হাজার বার।
সারা বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারির অগণিত মানুষের মনে সৃষ্টি করেছে উৎকন্ঠা, অনিশ্চয়তা ও দূরত্ব। অসংখ্য মানুষ একাকীত্ব বা অন্য মানসিক সমস্যায় ভুগেছে। এসব কারনেই ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে সঙ্গী বেছে নিয়ে কথা বলার প্রবণতা বেড়েছে মানুষের মধ্যে। বেশিরভাগ সময়ই যেখানে আমরা দেখি যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের নানা বিড়ম্বনা, সেখানে এটিও প্রমাণিত যে এই প্ল্যাটফর্ম মানুষকে একরকম সহায়তা ও সংযুক্ত থাকার সুবিধাও দিয়েছে। প্রতিদিনকার বাহ্যিক বিশৃঙ্খলা থেকে মানুষ হাঁপ ছেড়ে বাঁচতে চেয়েছে এখানে এসে।
ইসলামাবাদের সদ্য গ্র্যাজুয়েশন শেষ করা তরুণী সাদাফ জানালো কিভাবে সে লকডাউনে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে এসব ডেটিং অ্যাপে ছিল। "আমার মা বাবা আমার বিয়ের ব্যাপারে ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছিলো যা আমায় হতাশায় ফেলে দেয়। ডেটিং অ্যাপে আমি কাউকে বিয়ে বা প্রেম করার চাপ মাথায় না নিয়েই কথা বলতে পেরেছি অনেক পুরুষের সাথে", সাদাফ বললো।
সীমান্তের বিপরীত পাশে প্রেম
অনলাইন ডেটিং এর ক্ষেত্রে সাদাফের মত অতি সতর্ক যেমন রয়েছে, তার বিপরীতে খানিকটা দুঃসাহসিক নারীরাও রয়েছেন। তাদের কারো কারো অনুভূতি বাধা মানেনি সীমান্তের বা কাঁটাতারের বেড়ার।
লকডাউন শুরুর ঠিক আগে আগে লাহোরের ওয়াগাহ সীমান্তে গিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী ্তরুণী রামশা। তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন ওয়াগাহ-আত্তারি সীমান্ত অনুষ্ঠানে মানুষের ভিড়ে। দেশাত্ববোধক সঙ্গীত আর ঢোলের আওয়াজ তার কানে পৌঁছায়নি, কারণ রামশা চোখ খুঁজছিল অন্য একজন মানুষকে যে কিনা দাঁড়িয়ে আছে সীমান্তের অপর পাশে। ভিড়ের মধ্যেই প্রিয় মানুষের হোয়াটস অ্যাপ ম্যাসেজ পেয়ে মৃদু হাসির রেখা ফুটে উঠলো রামশার ঠোঁটে। ম্যাসেজে লিখা ছিল, "আমি বাম কোণার উপরের সারির দিকে আছি, তোমার দিকে হাত নাড়ছি। তুমি কি আমাকে দেখতে পাচ্ছো?" রামশা সাথে সাথেই উত্তরে লিখলেন, "না, আমি তোমাকে দেখতে পাচ্ছি না, কিন্তু আমি তোমার উপস্থিতি অনুভব করতে পারছি!"
রামশা চেষ্টা করলেন তাকে কল দিতে, কিন্তু তাদের গলার স্বর মিলিয়ে গেল আশেপাশের 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' আর 'জয় হিন্দ' ধ্বনিতে। পাঞ্জাবের দুই প্রান্ত থেকে রামশা আর সামির নিজেদের খুঁজে পেয়েছিলেন টিন্ডারের মাধ্যমে।
ভিড়ের মধ্যে নিজেদের দেখতে মা পেয়ে রামশা ও সামির একে অপরের সেলফি বিনিময় করলেন সেখানেই। দীর্ঘ ছয় মাসের অনলাইন ডেটিং এর পর তারা এভাবেই নিজেদের প্রথম দেখাটা সেরেছিলেন। রামশা বলেন, "আমাদের মধ্যে অনেক কিছু মিলে যায় এবং ধীরে ধীরে আমরা আরো বেশি কথা বলতে শুরু করি। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ভিসা নিয়ে নানা বাধা থাকলেও ডেটিং অ্যাপ আমাদের ক্রস-বর্ডার সম্পর্ক বাড়াতে সাহায্য করেছে।"
গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা
দক্ষিণ এশিয়ার নারীরা বর্তমানে নিজেদের পছন্দ ও চাহিদার ব্যাপারে নিজের পারিবারিক ও তথাকথিত সামাজিক সম্মানহানির বাধা অতিক্রম আসছে। তারপরেও ডিজিটাল ক্ষেত্রগুলোতে নারীদের হয়রানি হবার ঝুঁকি ও শারীরিক নিরাপত্তার ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হয় বলে জানান লাহোরের মায়রা।
মায়রা বললেন তার অভিজ্ঞতার কথা, "আমি লকডাউনের আগে থেকেই ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করি। আমি খেয়াল করেছি যে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুরুষ এই লকডাউনে টিন্ডারে এসেছে। তারা নিজেদের পারিবারিক অশান্তির ব্যাপারে অভিযোগ করে আমাদের কাছে। এমনকি আমি নিজেও এর শিকার হয়েছি দুবার এবং এসব পুরুষের স্ত্রীরা আমায় কল দিয়ে কান্নাকাটিও করত।"
মায়রা আরো জানালেন যে অনলাইনে নিজের পারফেক্ট ম্যাচ খুঁজে পাওয়া খুব সহজ কাজ নয়। তিনি নিজে এমন একজনের পাল্লায়পড়েছিলেন যেই লোকতি ছিল খুবই নিচু মনমানসিকতার। সেই ব্যক্তি মায়রাকে দুশ্চরিত্র নারী বলে আখ্যা দেয় যখন সে জানতে পারলো যে মায়রা কোনো সিরিয়াস সম্পর্কে যেতে চায় না। এমনকি তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে মায়রাকে একটি সাইবার ক্রাইম এর অভিযোগও করতে হয়েছিল।
লাহোরের ২৮ বছর বয়সী সালমান জানালো পুরুষের মনমানসিকতা সম্পর্কে, "তারা চায় মেয়েদের সাথে শুধু শারীরিক সম্পর্কে যেতে, আবার তারাই নারীদের বিচার করতে থাকে কেন সিরিয়াস সম্পর্কে গেলো না তা নিয়ে। আমি নারীদের কখনো তাদের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে বিচার করি না।"
আগস্টের দিকে পাকিস্তানে লকডাউন শিথিল হয়ে আসতে থাকে এবং জনজীবন স্বাভাবিক হয়। জয়নব ও দানিয়ালের মতো আরো অনেক জুটি , যারা অপেক্ষা করছিলো লকদাউন শেষে দেখা করার তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়। জয়নব ও দানিয়ালের প্রেম বাগদান ও বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়েছিল।
২০২০ এর সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখে পাকিস্তানে এক নারী গণধর্ষণের শিকার হবার পর নারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি আরো একবার জনসম্মুখে আসে। ভিক্টিমকেই দোষারোপ করে এই ঘটনায় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন এক পুলিশ অফিসার। দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করার জন্য পাকিস্তানে নানা জায়গায় বিক্ষোভ হয় তখন। প্রতিবাদী জনতার পাঁচ দফা দাবির মধ্যে ছিল যৌন সহিংসতার ব্যাপারে বিচার ও তদন্ত প্রক্রিয়ার পুনর্গঠন করা।
এই ঘটনার এক মাস আগে জার্মান মিডিয়া ডচশে ওয়েল এ একটি আর্টিকেল প্রকাশিত হয় 'টিন্ডারের মাধ্যমে ডেটিং ট্যাবু ভাঙছে পাকিস্তানি নারীরা' শিরোনামে। ডেটিং সংস্কৃতির সমালোচনা করেছেন এমন একজন জামাত-এ-ইসলামি নেতার উদ্ধৃতি দেয় তারা সেখানে। এই ঘটনার পর 'নৈতিকতা বিরোধী' কনটেন্ট প্রকাশের দায়ে পাকিস্তানে টিন্ডার, গ্রিন্ডরসহ আরো তিনটি ডেটিং অ্যাপ বন্ধ করে দেয়া হয়।
স্বভাবতই নারীদের মুক্তচিন্তাকে পাকিস্তানের প্রথাগত ধর্মীয় দলগুলো পছন্দ করেনি। তারা পাকিস্তানি নারীদের পশ্চিমা সংস্কৃতির দাস হয়ে গিয়েছে বলে দোষারোপ করে। নারী দিবসের আগে 'অরাত মার্চ' নামের প্রতিবাদ মিছিলেও কিছু ডানপন্থী দল আক্রমণ করে। আয়োজকরা অনেকে সাইবার হয়রানি এবং মৃত্যুর হুমকির শিকার হয়েছেন।
যৌনসহিংসতা, ভিক্টিমকে দোষারোপ, সম্মতি ইত্যাদি বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানে নারীবাদীদের মধ্যে নানা বিতর্ক চলে আসছে। অরাত মার্চ গ্রুপের এক সদস্য জানান যে তিনি নতুন কারো সঙ্গে ডেট করতে গেলে এতটাই আতঙ্কিত থাকেন যে সবসময় নিজের স্থান সম্পর্কে বন্ধুবান্ধবকে অবহিত রাখেন। তিনি নিজের সাথে সবসময় পিপার স্প্রেও রাখেন।
এই সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া দেখেই বোঝা যায় যে পাকিস্তানে নারীরা কতখানি ভয় ও আতঙ্কে থাকেন। এতকিছু সত্ত্বেও ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের তর্জনীর শাসন উপেক্ষা করে যাচ্ছেন।
সবাই যে সরাসরি মানুষের সংস্পর্শেই আসতে চাইছেন তাও নয়। কেউ কেউ ভার্চুয়াল ভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির অ্যাপ ব্যবহার করে শুধু নিজের মনের ভাব প্রকাশ করছেন।
মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কে যেখানে সবসময় চলতেই থাকবে, সেখানে প্রযুক্তির নতুন নতুন পরিবর্তনকে গ্রহণ না করে থাকাটাই হবে বোকামি। প্রযুক্তি যে আমাদের কখন, কোথায়, কিভাবে প্রেম করতে যেতে হবে সেই ব্যাপারে সাহায্য করে যাবে তা মেনে নেয়ার সময় এসে গিয়েছে।