নতুন উদ্যোক্তা? বেজোস কী বলেন, শুনুন
উদীয়মান উদ্যোক্তাদের জন্য অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের পরামর্শ: 'সবসময় বড় ঝুঁকি নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন। তৈরি থাকুন ব্যর্থতার জন্যও।'
যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অ্যামাজনের এক সম্মেলনে জেফ বেজোসকে বলা হয়েছিল, যারা নিজেদের ব্যবসা শুরু করতে চায়, তাদের জন্য কী পরামর্শ দেবেন তিনি? ওই প্রশ্নের জবাবে ওপরের পরামর্শ দেন তিনি।
সে সময় ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের মার্কেট ভ্যালু ছিল ৮৬০ বিলিয়ন ডলার। দুই বছর বাদে, বেজোস যখন অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহীর পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন, প্রতিষ্ঠানটির মার্কেট ভ্যালু প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।
২০১৯ সালের সেই সম্মেলনে বেজোস বলেছিলেন, 'ঝুঁকি নিন। ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। ঝুঁকিবিহীন কোনো ব্যবসার বুদ্ধি এসেছে মাথায়? তাহলে ওই ব্যবসা সম্ভবত এতদিনে কেউ শুরু করে দিয়েছে!'
তিনি বলেন, নতুন নতুন ঝুঁকিপূর্ণ আইডিয়াগুলো হবে এক ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনেকগুলোই ব্যর্থ হতে পারে। তবে সাফল্যের যাত্রায় 'বড় ব্যর্থতা'র প্রয়োজন রয়েছে।
'নতুন পণ্য ও প্রাথমিক উদ্যোগগুলো'র ওপর বেশি মনোযোগ দেওয়ার জন্য বেজোস কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। অসাধারণ কিছু ব্যবসার ধারণা বেড়িয়েছে তার ক্ষুরধার মস্তিষ্ক থেকে। তার মধ্যে আছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে অ্যামাজন কর্মীদের ওপর নজর রাখা।
বিশ্বের প্রথম মহাকাশ পর্যটন সংস্থাগুলোর একটি, ব্লু অরিজিনের ধারণাও তার মাথা থেকেই বেরিয়েছে।
বেজোস বলেন, 'আমরা সবসময়ই ঝুঁকি নিই, ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলি। সাফল্যের জন্য আমাদের বড় ব্যর্থতা দরকার। ব্যর্থ হচ্ছি না মানে, আমাদের তেমন উন্নতি হচ্ছে না।'
১৯৯৫ সালে মাত্র ১০ জন কর্মী নিয়ে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন বেজোস। এখন এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলোর একটি। ফুলটাইম ও পার্টটাইম মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান কর্মী সংখ্যা প্রায় ১৩ লাখ।
ওই সম্মেলনে বেজোস আরও বলেছিলেন, ঝুঁকি ও ব্যর্থতা মেনে নেওয়ার পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের প্রচণ্ড ক্ষুধার্তও হতে হবে। তিনি বলেন, 'আপনাকে অন্য ক্ষুধার্ত উদ্যোক্তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, ক্রেতাদের নিয়ে দিন-রাত ভাবতে হবে। ক্রেতাদের শুধু সন্তুষ্ট করবেন না, খুশিও করুন।'
-
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার