ডাক্তারের কাছে নয়, রোগীর কাছে যাচ্ছেন ডাক্তার

বৈশ্বিক মহামারি করোনায় বিপর্যস্ত সারা দেশ। এর প্রভাব পড়েছে পর্যটন শহর কক্সবাজারেও। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ফলে করোনার ভয়ে কমছে সাধারণ চিকিৎসা সেবা। তাই সাধারণ নানা রোগে ভোগা লোকজনের দোর গোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে কক্সবাজারে যাত্রা করেছে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল।
'ডাক্তারের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে ডাক্তার'- এ স্লোগানে করোনা দুর্যোগে ঘরবন্দি মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও জেলা ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে খুরুশকুল ইউনিয়নে শনিবার 'ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল' উদ্বোধন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ বিশেষায়িত এ হাসপাতালের উদ্বোধন করেন।
এসময় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট (এডিএম) শাহাজাহান আলী, খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়সহ বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আফসার বলেন, একটি বিশেষায়িত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িকে একটি মিনি হাসপাতাল হিসেবে সাজানো হয়েছে। সেখানে রয়েছে চিকিৎসার সব ধরনের সরঞ্জাম। ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালটি শহর ছাড়াও প্রত্যন্তাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে সবধরণের চিকিৎসা সেবা দিবে। শুধু চিকিৎসা সেবা নয়, যারা চিকিৎসা নিবেন তাদের বিনামূল্যে ওষুধও দেওয়া হবে।
ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের অন্যতম উদ্যোক্তা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয় বলেন, করোনায় থমকে আছে স্বাভাবিক জীবন। লকডাউন চলমান থাকায় সাধারণ রোগের চিকিৎসা নিতেও লোকজন হাসপাতালে যেতে পারছে না। সেসব মানুষের কথা ভেবেই 'ভ্রাম্যমান হাসপাতাল'টি চিন্তা মাথায় আসে। তা নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করার পর তিনি স্বত:স্ফূর্তভাবে সাড়া দেওয়ায় হাসপাতালটি বাস্তবায়ন হয়ে মাঠে নেমেছে।
জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেন, উদ্বোধন হওয়া হাসপাতালটিতে অক্সিজেন, নেবোলেইজার ও দু'জন চিকিৎসক এবং রোগী বসার মতো জায়গা রয়েছে। চারজন চিকিৎসক হাসপাতালটিকে কেন্দ্র করে তৎপর থাকবেন। জেলার স্থলভাগের প্রতিটি ইউনিয়নে যাবে এ হাসপাতাল। এটি চালু হওয়ায় করোনার ক্রান্তিকালে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিয়ে বিড়ম্বনা মুক্ত থাকবে বলে আশা করছি।
কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুন্না চৌধুরী বলেন, ছাত্রলীগ একটি স্প্রিটের নাম। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের সব ক্রান্তিকালে ছাত্রলীগ হাল ধরেছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনাতেও কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছানোর কার্যক্রম ছাত্রলীগই শুরু করে। আর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির চিন্তায় কক্সবাজার থেকেই কার্যক্রম শুরু করেছে দেশের প্রথম ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল।