Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা
tbs
MONDAY, AUGUST 15, 2022
MONDAY, AUGUST 15, 2022
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
আদিম কিশোরীর ডিএনএ থেকে জানা গেল অজানা মানবগোষ্ঠীর খোঁজ

ফিচার

টিবিএস ডেস্ক
26 August, 2021, 03:40 pm
Last modified: 26 August, 2021, 03:45 pm

Related News

  • প্রথমবারের মতো মানুষের সম্পূর্ণ জিনোম সিকুয়েন্স প্রকাশ
  • ২০৪০ সালেই ধ্বংস হয়ে যাবে মানবসভ্যতা, এমআইটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের ভবিষ্যদ্বাণী!
  • শরণার্থী-আশ্রয়প্রার্থীদের গড়ে ৬৮৯ দিন আটকে রাখে অস্ট্রেলিয়া 
  • ভিসার জন্য আপিল করেও হেরে গেলেন জোকোভিচ    
  • অস্ট্রেলিয়াই থাকছেন জোকোভিচ, আদালতের রায়  

আদিম কিশোরীর ডিএনএ থেকে জানা গেল অজানা মানবগোষ্ঠীর খোঁজ

গবেষকদের ধারণা, ৫০ হাজারেরও বেশি বছর আগে পৃথিবীর প্রথম আধুনিক মানুষেরা ইউরেশিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে গমন করেছিল।
টিবিএস ডেস্ক
26 August, 2021, 03:40 pm
Last modified: 26 August, 2021, 03:45 pm

৭ হাজারেরও বেশি বছর আগে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে মারা যাওয়া একজন শিকার-সংগ্রহকারী কিশোরীর হাড়ের ডিএনএ থেকে সন্ধান মিলেছে প্রাচীন এক অজানা মানবগোষ্ঠীর।

গত বুধবার নেচার জার্নালে প্রকাশিত নতুন এ গবেষণা অনুসারে, ইন্দোনেশিয়ায় আবিষ্কৃত এ মানব বংশ এ পর্যন্ত পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেন্টার ফর হিউম্যান ইভোলিউশনের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এবং এ গবেষণার যুগ্ম-লেখক অ্যাডাম ব্রুম জানান, 'আমরা এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যবর্তী দ্বীপ অঞ্চল 'ওয়ালেসিয়া'তে প্রথম মানব ডিএনএ আবিষ্কার করেছি। এই আবিষ্কার আমাদেরকে এ অঞ্চলে বসবাসকারী গোড়ার দিকের/ আধুনিক মানুষের জেনেটিক বৈচিত্র্য এবং তাদের জনসংখ্যার ইতিহাস সম্পর্কে নতুন তথ্য দেয়।"

গবেষকদের ধারণা, ৫০ হাজারেরও বেশি বছর আগে পৃথিবীর প্রথম আধুনিক মানুষেরা ইউরেশিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে গমন করেছিল। এ যাত্রা সম্পন্নের জন্য ওয়ালেসিয়া দ্বীপপুঞ্জ, অর্থাৎ সুলাওয়েসি, লম্বক ও ফ্লোরেস-সহ আরও কিছু দ্বীপ অঞ্চল অতিক্রম করতে হয়েছিল তাদের। তবে তাদের সঠিক গতিপথ, কিংবা তারা কীভাবে এ ক্রসিং দিয়ে চলাচল করেছিল সেটি এখনো অজানা।

ব্রুম বলেন, 'তারা নিশ্চয়ই কোনো ধরনের অপেক্ষাকৃত অত্যাধুনিক জলযান ব্যবহার করে এ পথ পাড়ি দিয়েছিল। কারণ এ দ্বীপগুলোর মাঝে কোনো স্থলাভূমির সেতু ছিল না। এমনকি শেষ বরফযুগে যখন বৈশ্বিকভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১৪০ মিটার (৪৫৯ ফুট), অর্থাৎ বর্তমানের চেয়েও কম ছিল, তখনো এ অঞ্চলটিতে দ্বীপগুলোর মাঝে কোনো সংযোগ ছিল না।'

এ অঞ্চলে পাওয়া প্রাচীন সরঞ্জামাদি এবং গুহার চিত্রকর্ম থেকে বোঝা যায়, প্রায় ৪৭ হাজার বছর আগে থেকে এ দ্বীপে মানুষ বসবাস করে আসছে। কিন্তু অঞ্চলটিতে জীবাশ্মের রেকর্ড বিরল এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ুতে প্রাচীন ডিএনএ'র কার্যকারিতা দ্রুত কমে যায়।

২০১৫ সালে সুলাওয়েসির লিয়াং প্যানিং নামক গুহা থেকে ১৭ কিংবা ১৮ বছর বয়সী এ নারীর কঙ্কাল আবিষ্কার করেছিলেন গবেষকেরা। তাদের মতে, ৭ হাজার ২০০ বছর আগে গুহায় দাফন করা হয়েছিল তার দেহাবশেষ। এছাড়াও, সুলাওয়েসির দক্ষিণ-পশ্চিম উপদ্বীপের টোলেয়ান সংস্কৃতির অংশ ছিলেন তিনি। 

আবিষ্কৃত দেহাবশেষটির মাথার খুলির গোড়ায় অবস্থিত পেট্রাস হাড় থেকে ডিএনএ উদ্ধার করতে সক্ষম হন গবেষণার একজন প্রধান লেখিকা সেলিনা কার্লহফ। জার্মানির জেনায় ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য সায়েন্স অব হিউম্যান হিস্ট্রি-তে ডক্টরাল প্রার্থী কার্লহফ বলেন, "গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ুর কারণে দেহাবশেষটি বিকৃত হয়ে যাওয়ায় এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।'

এদিকে, ব্যক্তিগত ই-মেইল বার্তার মাধ্যমে ব্রুম বলেন, "প্রায় ৮ হাজার বছর আগে থেকে প্রায় পঞ্চম শতাব্দী পর্যন্ত সুলাওয়েসির বনভূমি ও পাহাড়ে বসবাসকারী প্রাগৈতিহাসিক এসব মানুষের রহস্যময় সংস্কৃতিকে 'টোলেয়ানস' নাম দিয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। তাদের তৈরি পাথরের সরঞ্জামগুলো ছিল বেশ সতন্ত্র। এর মধ্যে 'ম্যারোস পয়েন্টস' নামে পরিচিত সূক্ষ্মভাবে তৈরি তীরও ছিল। এ ধরনের তীরগুলো আদতে দ্বীপের অন্য কোথাও বা বিস্তৃত ইন্দোনেশিয়ার কোথাওই পাওয়া যায় না।"

ডিএনএ'তে লুকিয়ে থাকা রহস্য

আবিষ্কৃত দেহাবশেষ থেকে জেনেটিক তথ্য পুনরুদ্ধারের কাজটি বেশ কিছু তথ্যের যোগান দেয়। ডিএনএ থেকে জানা গেছে, ৫০ হাজার বছর আগে ওয়ালেসিয়াতে প্রবেশ করা কিশোরীটি আধুনিক মানুষের প্রথম ধারার বংশধর। 'বৃহত্তর অস্ট্রেলিয়া' অথবা অস্ট্রেলিয়া ও নিউ গিনির সম্মিলিত বরফ যুগের স্থলভাগের প্রাথমিক উপনিবেশের অংশ ছিল এ ধারা। ব্রুম জানান, ইন্দোনেশিয়ায় পাওয়া আদিম মানুষের দেহাবশেষ বর্তমানের আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান ও পাপুয়ানদের পূর্বপুরুষ।

তবে তিনি আরও জানান, কিশোরীটির জিনোম ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে দেখা গেছে, সে আংশিকভাবে এশিয়ার একটি আলাদা ও সতন্ত্র গোষ্ঠীরও বংশধর ছিল। আধুনিক আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান ও পাপুয়ানরা এ গোষ্ঠীর বংশধর না হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, আবিস্কৃত কিশোরী আদতে যে দলের সদস্য, তারা সম্ভবত বৃহত্তর অস্ট্রেলিয়ার উপনিবেশের পর এসেছিল।

'আগে এটা মনে করা হয়েছিল, প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর আগে নিওলিথিক তাইওয়ান থেকে অস্ট্রোনেশিয়ান ভাষাভাষী কৃষকেরা ফিলিপিন ও ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশের সময় এশিয়ান জিনধারী লোকেরা প্রথমবার ওয়ালেসিয়াতে আসে,' যোগ করেন ব্রুম। তিনি আরও বলেন, 'এই অঞ্চলে আধুনিক মানুষের একটি স্বতন্ত্র গোষ্ঠী ছিল বলে আভাস দিচ্ছে নতুন আবিষ্কৃত এ তথ্য। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না; কারণ ওয়ালেসিয়াতে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান বেশ কম এবং প্রাচীন কঙ্কালের অবশিষ্টাংশও বিরল।'

এছাড়া, তার জিনোমে 'ডেনিসোভানস' নামক রহস্যময় ও বিলুপ্ত এক মানবগোষ্ঠীর চিহ্নও পাওয়া গেছে। পূর্বে আবিষ্কৃত জীবাশ্ম থেকে জানা যায়, এ গোষ্ঠীর মানুষের অস্তিত্ব ছিল মূলত সাইবেরিয়া ও তিব্বতে।

এ বিষয়ে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের প্রত্নতত্ত্ববিজ্ঞানের অধ্যাপক গবেষক জোহানেস ক্রাউস বলেন, 'ডেনিসোভানদের জিন লিয়াং প্যানিংয়ের শিকার-সংগ্রাহকদের মধ্যে খুঁজে পাওয়ার এ তথ্য আমাদের আগের এই অনুমানকে সমর্থন করে যে, তারা বেশ বড় ভৌগোলিক এলাকা দখল করে ছিল।'

তবে ওয়ালেসিয়ার পশ্চিমে বসবাসকারী আদিম মানুষদের ডিএনএ'র সঙ্গে নতুন আবিষ্কৃত ডিএনএ'র তুলনায় দেখা গেছে, অন্যান্যদের বেলায় ডেসিনোভান ডিএনএ'র কোনো চিহ্ন নেই। এছাড়া, কিশোরীটি যে বংশের সদস্য ছিল, তার অন্য কোনো বংশধরও বর্তমানে অবশিষ্ট নেই।

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে টোবিনজেনের সেকেনবার্গ সেন্টার ফর হিউম্যান ইভোলিউশন অ্যান্ড প্যালিও-এনভায়রনমেন্টের অধ্যাপক কসিমো পোস্থ বলেন, 'ডেনিসোভান ও আধুনিক মানুষের ভৌগোলিক বণ্টন ওয়ালেসিয়া অঞ্চলে ওভারল্যাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া, এ অঞ্চলেই সম্ভবত ডেনিসোভান এবং আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান ও পাপুয়ানদের পুর্বপুরুষেরা সংমিশ্রিত বংশধর তৈরি করেছিল।'

তবে টোলিয়ান সংস্কৃতির সঙ্গে আসলে কী ঘটেছে, তা গবেষকেরা জানেন না। সর্বশেষ এ আবিষ্কারটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষের প্রাচীন জেনেটিক ইতিহাস বোঝার ক্ষেত্রে উদিত ধাঁধার একটি অংশ মাত্র। ব্রুম অবশ্য আশা করেন, টোলিয়ানদের বৈচিত্র্য প্রকাশকারী আরও প্রাচীন ডিএনএ উদ্ধার করা যেতে পারে, যা থেকে জানা যাবে তাদের 'বিস্তৃত বংশগত কাহিনি।'


  • সূত্র: সিএনএন

Related Topics

টপ নিউজ

আদিম মানুষ / ডিএনএ / অস্ট্রেলিয়া / কিশোরী / মানবসভ্যতা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • বিদেশি মদের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় বেড়েছে কেরুর চাহিদা 
  • প্যাসিফিক জিন্সের কারখানায় চালু হলো ৩.৫ মেগাওয়াটের সোলার পাওয়ার প্লান্ট 
  • সিঙ্গাপুরের আদলে ‘নাইট সাফারি পার্ক’ হচ্ছে চট্টগ্রামে
  • আনোয়ার গ্রুপ অর্থনীতিতে এই চাপের সময়েও ৫০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে
  • বদলে গেছে কান, পুতিন কি তার বডি ডাবল ব্যবহার করছেন!
  • সোলার মার্কেটের জালিয়াতি যেভাবে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে

Related News

  • প্রথমবারের মতো মানুষের সম্পূর্ণ জিনোম সিকুয়েন্স প্রকাশ
  • ২০৪০ সালেই ধ্বংস হয়ে যাবে মানবসভ্যতা, এমআইটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের ভবিষ্যদ্বাণী!
  • শরণার্থী-আশ্রয়প্রার্থীদের গড়ে ৬৮৯ দিন আটকে রাখে অস্ট্রেলিয়া 
  • ভিসার জন্য আপিল করেও হেরে গেলেন জোকোভিচ    
  • অস্ট্রেলিয়াই থাকছেন জোকোভিচ, আদালতের রায়  

Most Read

1
অর্থনীতি

বিদেশি মদের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় বেড়েছে কেরুর চাহিদা 

2
বাংলাদেশ

প্যাসিফিক জিন্সের কারখানায় চালু হলো ৩.৫ মেগাওয়াটের সোলার পাওয়ার প্লান্ট 

3
বাংলাদেশ

সিঙ্গাপুরের আদলে ‘নাইট সাফারি পার্ক’ হচ্ছে চট্টগ্রামে

4
অর্থনীতি

আনোয়ার গ্রুপ অর্থনীতিতে এই চাপের সময়েও ৫০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে

5
আন্তর্জাতিক

বদলে গেছে কান, পুতিন কি তার বডি ডাবল ব্যবহার করছেন!

6
ফিচার

সোলার মার্কেটের জালিয়াতি যেভাবে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে

The Business Standard
Top

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - [email protected]

For advertisement- [email protected]

Copyright © 2022 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab