রাজশাহীর ১৪ টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে
রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার ১৪ টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। রাজশাহী বিভাগীয় স্থাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় থেকে গঠিত তিন সদস্যের কীটতত্ত্বীয় একটি জরিপ টিম গত ২ থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচদিনব্যাপী এ জরিপ পরিচালনা করেন।
জরিপে সিটি করপোরেশনের ১০০টি স্থান থেকে লার্ভা সংগ্রহ করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ১৪টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পেয়েছেন।
সিভিল সার্জন অফিসের জেলা কীটতত্ত্ববিদ মো. তায়েজুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত এ জরিপ দলের অন্য সদস্যরা হলেন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের কীটতত্ত্বীয় টেকনিশিয়ান মো. আব্দুল বারী ও সিভিল সার্জন অফিসের কীটতত্ত্ব টেকনিশিয়ান মোসা. উম্মে হাবিবা।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জরিপ করে মহানগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় একটি দোকান ঘরে টায়ারের মধ্যে, ব্যাটারির সেলের মধ্যে, সিটি করপোরেশনের রোড পাইপের মধ্যে ও নার্সারীর মাটির পাত্রে লার্ভা পেয়েছেন।
এছাড়া লার্ভা পাওয়া গেছে, মহানগরীর কেশবপুর এলাকার দোকানের প্লাস্টিক পট, টায়ার ও বাড়ির আঙিনার মাটির পাত্রে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের বাস ভবন, কলেজের ফাল্গুনী ছাত্রীনিবাসে ও হাসপাতালের পরিত্যক্ত বেসিনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক গোপেন্দ্র নাথ আচার্য জানান, “এখন আমরা এ প্রতিবেদন সিটি করপোরেশনকে দেব। সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।"
তবে তিনি নগরবাসীকে অহেতুক আতঙ্কিত না হয়ে বসবাসের জন্য নিজ স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, "আমরা ইতোমধ্যে আমাদের পরিষদের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নানা কার্যক্রম শুরু করেছি। বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হচ্ছে। নিয়মিত ড্রেন ও নর্দমায় মশা মারার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। বিভিন্ন স্কুলে মশা নিধক এ্যারোসেল স্প্রে প্রদান করা হচ্ছে। দ্রুত ফগার স্প্রে করা হবে। এছাড়া ঢাকাগামী ট্রেন, বাস ও বিমানেও অ্যারোসেল স্প্রে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।"