বাংলাদেশ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শনিবার সকালে ভারতের আসাম রাজ্য সরকারের ঘোষিত ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি) ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। তবে এ বিষয়ে এখনই কোনো ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতায় যাবে না সরকার।রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “এনআরসি নিয়ে আপাতত বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো কূটনীতিক তৎপরতা শুরু করা হবে না। তবে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামোনিয়াম জয়শঙ্কর যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন, তাকে আমরা এ বিষয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। তিনি আমাদের বলেছেন যে, এনআরসি একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং বাংলাদেশকে এটা প্রভাবিত করবে না।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “বাংলাদেশের ওপর এনআরসির কোনো প্রভাব পড়বে না, ভারতীয় মন্ত্রীর এ প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রাখতে চাই আমরা।”
কোনো বাংলাদেশির ভারতে চলে যাবার কারণ নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে এমনকি মাথাপিছু আয়ও জীবনযাত্রার খরচের চেয়ে তুলনামূলক বেশি।”
তাই কোনো বাংলাদেশির দেশ ছেড়ে ভারতে আবাস গাড়তে চাওয়ার বিশেষ কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সরকারের ঘোষিত ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি) থেকে ১৯ লাখের বেশি নাম বাদ পড়েছে। শনিবার সকালে প্রকাশিত তালিকায় চূড়ান্তভাবে ঠাঁই পেয়েছে ৩ কোটি ১১ লাখের নাম।
আসামে অবৈধ অভিবাসীদের ইস্যুটি চার দশকেরও বেশি সময়ের পুরনো। ভারতের এই রাজ্যে অবৈধভাবে অনেকেই বিশেষত বাংলাদেশিরা বসবাস করছেন বলে বিতর্কের অবসান ঘটাতে আসাম সরকারের এনআরসি হালনাগাদ করার প্রশ্নটি দীর্ঘদিন ধরে প্রক্রিয়াধীন।ছিল
এনআরসির রাজ্য সমন্বয়কারীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য ৩ কোটি ২৯ লাখ আবেদনের মধ্যে শেষাবধি ১৯,০৬,৬৫৭ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়। এনআরসির বাইরে থাকা প্রত্যেকে ১২০ দিনের মধ্যে ফরেনারস ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন।
যদিও সকল আইনি বিকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছে মোদি সরকার, কিন্তু বাদ-পড়াদের বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হতে পারে এ নিয়ে একটু উদ্বেগ থেকেই গেছে। যে প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার সাংবাদিকদের এ কথা বললেন।