টাঙ্গাইলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ নিহত ৫

টাঙ্গাইলে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) সকালে মির্জাপুর উপজেলা এবং শনিবার মধ্যরাতে ঘাটাইল ও দেলদুয়ার উপজেলায় এসব দুর্ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হন।
মির্জাপুরের কদিম দেওহাটা এলাকায় রোববার সকালে অটোরিকশা এবং বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- মির্জাপুর পৌর সদরের বাইমহাটি আদালতপাড়া গ্রামের ফালু মিয়ার ছেলে শরিফুল (৪০), বহুরিয়া ইউনিয়নের চান্দুলিয়া গ্রামের পাখি সিকদারের ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৫) ও তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম (২৮)।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার এসআই আব্দুস সামাদ বলেন, “গাজীপুর থেকে ছেড়ে আসা টাঙ্গাইলগামী যাত্রীবাহী বাস উপজেলার কদিম দেওহাটা এলাকায় পৌঁছলে একটি অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাসলিমা বেগম নিহত হন এবং নিহতের স্বামীসহ দুজন আহত হন।”
আহতদের উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরের দিকে দুজনের মৃত্যু হয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ ঘাতক বাসটিকে আটক করলেও চালক পালিয়ে যায়।
এদিকে ঘাটাইলের গারো বাজার এলাকায় মালবাহী একটি ট্রাক ব্যাটারি চালিত রিকশাভ্যানকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই ওই ভ্যানের আরোহী কালাম মিয়া নিহত ও পাঁচজন আহত হন।
নিহত কালাম মিয়া (৫০) উপজেলার চারিয়াবাইদ গ্রামের আফসার আলীর ছেলে।
ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই ফজলুল হক দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে শনিবার গভীর রাতে দেলদুয়ার উপজেলার মহেড়া সাইনবোর্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় সোরহাব হোসেন নামে একজন নিহত হয়েছেন।
বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসকে জায়গা দিতে গিয়ে লাকড়ি ভর্তি ট্রাক খাদে পড়লে লাকড়ির ওপর ঘুমিয়ে থাকা এই ব্যক্তি নিহত হন বলে জানিয়েছেন দেলদুয়ার থানার এসআই আব্দুল হান্নান।
নিহত সোরহাব হোসেন (৫০) গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বড় কাঞ্চনপুর গ্রামের সদর উদ্দিন মন্ডলের ছেলে।
নিহত ব্যক্তি ওই ট্রাকের লোড-আনলোডের কাজ করতো বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।