অদেখা কিশোর কুমার
আভাস কুমার গঙ্গোপাধ্যায়, সারা বিশ্বে যিনি কিশোর কুমার নামে পরিচিত, আজ তার ৯০ তম জন্মবার্ষিকী। কিশোর কুমার এবং কিশোর দা হিসেবেই জনপ্রিয় এই কিংবদন্তী ছিলেন একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক,চিত্রনাট্যকার এবং রেকর্ড প্রযোজক।
১৯২৯ সালের ৪ আগস্ট মধ্যপ্রদেশের খান্ডোবাতে এক মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কিশোর কুমার। তাঁর বাবা কুঞ্জলাল গাঙ্গুলি ছিলেন একজন উকিল। তাঁর মার নাম ছিল গৌরী দেবী।
কিশোর কুমারের ছোটবেলায় নাম ছিল আভাস কুমার গাঙ্গুলি। চার ভাই বোনের ভিতর কিশোর ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। বিখ্যাত অভিনেতা অশোক কুমার তার বড় ভাই ছিলেন।
যাই হোক, আজ তাঁর জন্মদিনে তাঁর সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য জানাই আপনাদের।
১। কিশোর কুমার কোনদিন গান শেখেন নি, নেন নি কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। সঙ্গীতের কোন রাগ, সূত্র তিনি জানতেন না।
২। তিনি ভারতের ১০ টিরও বেশি ভাষায় গান গেয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে- বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, অসমীয়া, গুজরাটি, কন্নড়, ভোজপুরি, মালায়লম, ওড়িয়া, এবং উর্দু
৩। নিজের মজুরির বিষয়টা তিনি খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিতেন। একবার এক প্রযোজক তাঁকে অর্ধেক মজুরি দিয়ে বললেন, বাকিটা কাজ শেষ হবার পর দেবেন। পরদিন তিনি স্টুডিওতে এলেন অর্ধেক গোঁফ আর মাথার অর্ধেক চুল কামিয়ে। বললেন, বাকি টাকা না দেয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এভাবেই আসবেন।
৪। ‘হাফ টিকেট’ সিনেমার বিখ্যাত গান ‘আকে সিধি দিল পে লাগে’। এই গানের নারী ও পুরুষ উভয় কন্ঠ তিনি একাই দিয়েছিলেন। এই গানে কিশোর কুমারের সঙ্গে লতা মঙ্গেশকরের গান গাইবার কথা ছিল।কিন্তু শেষ মুহূর্তে কোন কারণে লতাজি স্টুডিওতে আসতে পারলেন না। পরে কিশোর কুমার একাই পুরোটা গাইলেন।
৫। তার বাড়ির গেটে একটা বোর্ড ঝুলতো, যাতে লেখা থাকতো - ‘Beware of Kishore’, মানে ‘কিশোর হইতে সাবধান’!
সারাজীবনে কিশোর কুমার সর্বমোট ২,৭০৩টি গান গেয়েছেন, যার মধ্যে ১১৮৮টি হিন্দি চলচ্চিত্রে, ১৫৬টি বাংলা এবং ৮টি তেলেগু ভাষায়।
১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর এই রঙ্গিন মানুষটি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
উইকিপিডিয়া