উইকেটের দেখা নেই, মেয়ার্স-ব্ল্যাকউডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লিড
কাইল মেয়ার্সকে ভালোভাবেই মনে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে নিজের অভিষেক টেস্টে ২১০ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলে একাই বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। সেন্ট লুসিয়া টেস্টেও বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছেন মেয়ার্স। দ্রুত চার উইকেট হারানোর চাপ সামলে জার্মেইন ব্ল্যাকউডের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে তুলেছেন তিনি।
সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন মেয়ার্স-ব্ল্যাকউড। তাদের ব্যাটে ইতোমধ্যে লিড নিয়েছে ক্যারিবীয়রা। ৭২ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ২৪৮ রান তুলে স্বাগতিকরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের লিড দাঁড়িয়েছে ১৪ রানের। মেয়ার্স-ব্ল্যাকউডের জুটি থেকে ইতোমধ্যে ১১৬ রান এসেছে। অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষ করেছেন তারা। মেয়ার্স তার টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৬০ রানে অপরাজিত আছেন। ৪০ রানে অপরাজিত আছেন ব্ল্যাকউড। তাদের সামনে বাংলাদেশের কোনো বোলারই সুবিধা করতে পারছেন না, তাই মিলছে না উইকেটও।
এর আগে বিনা উইকেট ৬৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের সঙ্গে ১০০ রানের জুটি গড়ে আউট হন ৪৫ রান করা জন ক্যাম্পবেল। শরিফুল ইসলামের বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ তোলেন তিনি। দলীয় ১৩১ রানের মাথায় আউট ব্রাথওয়েটকে মিরাজ আউট করলে বিপাকে পড়ে ক্যারিবীয়রা।
পরের ওভারে তাণ্ডব চালান খালেদ আহমেদ। এক ওভারের মধ্যেই রেমন রেইফার ও এনক্রুমা বনারকে ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশের ডানহাতি এই পেসার। ২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারানো দলকে আলোর পথে ফেরান মেয়ার্স ও ব্ল্যাকউড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের যাওয়ার ৪ উইকেটের ২টি নিয়েছেন খালেদ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ও মিরাজ।