ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাওয়া হচ্ছে না সাইফউদ্দিনের
অন্যান্য সময়ের চেয়ে একটু বেশিই আক্ষেপ হওয়ার কথা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। একদিন পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিমানে চড়ার কথা ছিল বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডারের। কিন্তু শেষ বেলায় এসে ছিটকে গেলেন তিনি। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে থাকলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাওয়া হচ্ছে না সাইফউদ্দিনের।
দীর্ঘ বিরতির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার অক্ষোয় ছিলেন সাইফউদ্দিন। সফরকে সামনে রেখে লম্বা সময় ধরে নিজেকে প্রস্তুত করে আসছিলেন তিনি। কিন্তু পুরনো পিঠের চোটে সব ভেস্তে গেল। বিসিবির চিকিৎসকদের কাছ থেকে মিলল 'আনফিট' সার্টিফিকেট।
সাইফউদ্দিনের পিঠের চোটের বিষয়টি বিসিবির মেডিকেল বিভাগের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর জানা যাবে ফিট হয়ে উঠতে সাইফউদ্দিনের কতো সময় লাগবে।
বোলিংয়ের সময় ব্যথা অনুভব করেন সাইফউদ্দিন। পরে ফিটনেস টেস্টও পেরোতে পারেননি তিনি। বিসিবির এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'নিজেকে প্রস্তুত করে আসছিল সাইফউদ্দিন। কিন্তু ম্যাচে বোলিংয়ের জন্য ফিট হয়ে উঠতে পারেনি সে। তার পিঠের আগের সমস্যা রয়ে গেছে। সাইফউদ্দিনকে আমরা পর্যবেক্ষণ রাখবো কয়েকদিন। তারপর বোঝা যাবে ফিট হতে কতদিন সময় লাগবে তার।'
বাংলাদেশ দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু চোটের কারণে অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন তিনি। গত বছরের অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পিঠের চোটের পড়েন সাইফউদ্দিন। চার ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরে আসেন তিনি। বিশ্রামের পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া দিয়ে নিজেকে অনেকটাই ফিট করে তোলা ২৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে চাইলেও বিসিবির চিকিৎসকরা তাকে সেই অনুমতি দেননি।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে মাঠে ফেরেন সাইফউদ্দিন, সময়টা দারুণ কাটে তার। আবাহনীর হয়ে ১৪ ম্যাচে নেন ২২ উইকেট, যা আসরের চতুর্থ সর্বোচ্চ। দেশি পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেন তিনিই। ব্যাট হাতেও অবদান রাখেন, শেষ দিকে ব্যাটিং করে করেন ২৭০ রান। এই পারফরম্যান্স দিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ডাক মেলে, যদিও ফেরা হলো না তার।