অনেক রেকর্ডের পর ইংল্যান্ডের বিশ্ব রেকর্ড ৪৯৮
৪৯৮/৪, এই স্কোরকার্ডে চোখ রাখলে যে কেউ ধন্ধে পড়ে যেতে পারেন। টেস্টের ইনিংস মনে হতে পারে। ধন্ধ নেই, ইনিংসটি টেস্টেরও নয়। নেদারল্যান্ডসের বোলারদের কচুকাটা করে রানের ফোয়ারা বইয়ে দেওয়া ইংল্যান্ডের সংগ্রহ এটা। বলার অপেক্ষা রাখে না স্কোরটি বিশ্ব রেকর্ড। ওয়ানডের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
শুক্রবার আমস্টেলভিনে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয় ইংলান্ড। শুরু থেকেই শাসন করে খেলতে থাকা ইংলিশ শেষ পর্যন্ত তা জারি রাখেন। ডাচ বোলারদের গলির বোলারে পরিণত করে দলকে ৫০০ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ এনে দেন ফিল সল্ট, দাভিদ মালান, জস বাটলার ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
সল্ট, মালান ও বাটলার; ইংল্যান্ডের এই তিন ব্যাটসম্যানই সেঞ্চুরি তুলে নেন। এটাও একটি রেকর্ড। ক্রিকেট দুনিয়ার দ্বিতীয় দল হিসেবে এক ইনিংসে তিনটি সেঞ্চুরি পেল ইংল্যান্ড। এই রেকর্ডটি এতোদিন দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে ছিল। প্রোটিয়ারা অবশ্যই দুটি ম্যাচে তিনটি করে সেঞ্চুরি পায়। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে রান পাহাড় গড়ার পথে তিনজন ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে সেঞ্চুরি পান তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার সেই রেকর্ডে এবার নিজেদের নাম বসিয়ে নিলো ইংল্যান্ড। রেকর্ডের মালা গাঁথা ইনিংসের চার নায়কের মধ্যে সল্ট ও মালান ওয়ানডেসুলভ ব্যাটিং করেছেন। কিন্তু বাটলার ও লিভিংস্টোন ছিলেন টি-টোয়েন্টির মুডে। টি-টেন বললেও ভুল হবে না। ২২ গজে রীতিমতো তাণ্ডব চালান এই দুই ব্যাটসম্যান।
বাটলার মাত্র ৭০ বলে ৭টি চার ও ১৪টি ছক্কায় ১৬২ রানের খুনে ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। স্বপ্নের মতো আইপিএল কাটানো ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের এটাই ওয়ানডেতে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। মাত্র ৬৪ বলে ১৫০ রান পূর্ণ করেন তিনি, যা ওয়ানডের ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম।
এর আগে মাত্র ৪৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাটলার, যা ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। ইংলিশদের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরিটিও তার দখলে। ২০১৫ সালে দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৬ বলে সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েন ইংলিশ মারকুটে এই ব্যাটসম্যান।
বাটলারের সঙ্গে যোগ দিয়ে লিভিংস্টোন নেদারল্যান্ডসের বোলারদের দিক ভুলিয়ে দেন। মাত্র ১৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। যা ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম এবং বিশ্ব ক্রিকেটে তিনজনের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান মাত্র ২২ বলে ৬টি করে চার ও ছক্কায় ৬৬ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেও অপরাজিত থাকেন।
ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকরর্ড গড়া ইংল্যান্ড নিজেদের রেকর্ডই ছাড়িয়ে গেছে। সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডটি তাদের দখলেই ছিল। ২০১৮ সালে নটিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৪৮১ রান তোলে ইংলিশরা। সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের তালিকায় প্রথম দুটি রেকর্ডই এখন ইংল্যান্ডের। তৃতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসও তাদের। ২০১৬ সালে নটিংহ্যামেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ৪৪৪ রান তোলে ইংল্যান্ড।