টেস্ট অধিনায়কত্ব পরিবর্তন নিয়ে আলোচনার মাঝে দেশে ফিরলেন সাকিব

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে মুমিনুল হক আর থাকছেন না- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষেই সেই আভাস মেলে। যদিও সে সময় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, মুমিনুলের অধিনায়কত্ব নিয়ে চিন্তা নেই তাদের। তবে ভাবনা জানতে মুমিনুলের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করার কথা জানান তিনি।
এর কদিন পর বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, মুমিনুলকে বেছে নিতে হবে তার জন্য ব্যাটিং নাকি অধিনায়কত্ব ভালো। এর পরদিনই মুমিনুল জানিয়ে দিলেন নিজের সিদ্ধান্তের কথা। মঙ্গলবার বিসিবি সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান জানান, টেস্ট অধিনায়কত্ব করতে চান না তিনি।
মুমিনুলের এমন ঘোষণার আগেই টেস্টের নতুন অধিনায়ক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। নতুন অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের নামই জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। এমন আলোচনার মাঝে সিঙ্গাপুর থেকে মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।
নিয়মিত মেডিকেল চেক আপের জন্য সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন সাকিব। চেকআপ শেষে ওখান থেকেই আমেরিকায় পরিবারের কাছে যাওয়ার কথা ছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারের। কিন্তু আমেরিকা না গিয়ে দেশে ফিরেছেন তিনি। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা পৌঁছান সাকিব।
টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণার সময় মুমিনুল জানান, আগামী ২ জুন বোর্ড সভায় টেস্ট অধিনায়কত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি। মাঝে মাত্র একদিন। এমন আলোচনার সময়ে আমেরিকা না গিয়ে সাকিব দেশে ফেরায় তার টেস্ট অধিনায়কত্ব নেওয়ার গুঞ্জন আরও বেড়েছে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের পর বিসিবি জানান, মুমিনুলের সঙ্গে কিছুটা আলোচনা হয়েছে তার। পুরো ভাবনা জানতে দ্রুতই টেস্ট অধিনায়কের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করবেন তিনি। মঙ্গলবার সেই আলোচনা হয়। নাজমুল হাসান অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে বললেও মুমিনুল মনে করছেন, এই মুহূর্তে অন্য কারও অধিনায়কত্ব করা উচিত। বাকিটা বিসিবির ওপর ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালের অক্টোবরে সাকিবকে এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। নভেম্বরে নতুন টেস্ট অধিনায়ক করা হয় মুমিনুলকে। তার নেতৃত্বে ১৭ টেস্টে ৩টি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। হার ১২টিতে, ড্র হয়ে ২টি ম্যাচ।