অধিনায়ক মুমিনুলকে নিয়ে ‘খোলামেলা’ আলোচনায় বসবেন পাপন

ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে গেছেন মুমিনুল হক। কোনোভাবেই রানে ফিরতে পারছেন না বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। ফর্মের প্রশ্ন উঠলেই সব সময় 'চিন্তিত নই' জানিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু মিরপুর টেস্টের পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন মুমিনুলকে নিয়ে চিন্তার কথা।
মুমিনুলের অধিনায়কত্ব নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট আপাতত ভাবছে না। তবে তার ব্যাটিং নিয়ে ক্রমেই চিন্তা প্রকট হচ্ছে। এ কারণে মুমিনুলের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন নাজমুল হাসান। মিরপুর টেস্ট শেষে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বিসিবি সভাপতি জানান, টেস্ট অধিনায়কের ভাবনা জানতে দুই-একদিনের মধ্যে তার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতেন তিনি।
অধিনায়ক হিসেবে রান না পাওয়াটা কতোটা চাপের, সেটা বুঝতে পারছেন নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, 'একটা অধিনায়ক যখন রান করতে পারে না, ওর উপর চাপটা কিন্তু আরও অনেক বেশি। আমার ধারণা মুমিনুল প্রচণ্ড মানসিক চাপে আছে। আজ আমার সাথে সংক্ষিপ্ত আলাপ হয়েছে, আমি ওকে বলেছি কাল অথবা পরশু ওর সাথে বসবো। একটু খোলেমেলা কথা বলে দেখি ওর মাথায় কী আছে, ও কী চিন্তা করছে।'
ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হওয়ায় মুমিনুলের অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেছে। যদিও তার অধিনায়কত্ব নিয়ে চিন্তা নেই বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি। নাজমুল হাসান বলেন, 'এখন পর্যন্ত মুমিনুলের অধিনায়কত্ব নিয়ে আমরা খুব একটা চিন্তিত নই। সমস্যাটা হচ্ছে ওর ব্যাটিং নিয়ে, ও রান পাচ্ছে না। এটা তো চিন্তার বিষয়। একজন অধিনায়ক যখন রান করে না, তখন ওর কী মানসিক চাপটা পড়ে তা চিন্তা করেন। তাই আমরা এখন শুধু আশা করতে পারি যে ও তাড়াতাড়ি রানে ফিরুক।'
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ১০ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। দলের নেতা হিসেবে ব্যাট হাতে কোনো অবদানই রাখতে পারেননি মুমিনুল। প্রথম ইনিংসে ৯ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান পরের ইনিংসে রানের খাতা খুলতে পারেননি। চট্টগ্রাম টেস্টে এক ইনিংসে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ, মুমিনুল করেন ২ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন তিনি। দুই টেস্টের চার ইনিংসে করেন মাত্র ১৩ রান। হিসাবটা আরেকটু বড় করলে মুমিনুলের হতাশা আরও বাড়বে। সর্বশেষ ১৫ ইনিংসে টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যানের রান ১৭০, গড় মাত্র ১২.১৪। ১৫ ইনিংসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৮ রান। বাকি ১৪ ইনিংসের মধ্যে মাত্র দুবার দুই অঙ্কের রান করেছেন মুমিনুল। শ্রীলঙ্কা সিরিজও ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি থেকেই শেষ করতে হলো তাকে।