মুস্তাফিজের টেস্ট খেলা নিয়ে মন্তব্য নেই মুমিনুলের
২৫ মার্চ থেকে ভারতে আছেন মুস্তাফিজুর রহমান। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই মুম্বাই চলে যান বাঁহাতি এই পেসার। পাঁচদিন আইসোলেশনে থেকে শুরু করেন মাঠের লড়াই। ভালো-মন্দ অভিজ্ঞতায় খেলে ফেলেন ৮ ম্যাচ। এরপর্একাদশ থেকে বাদ, ফেরার সুযোগ হচ্ছে না। মুস্তাফিজ যখন একাদশে ফেরার পথ খুঁজছেন, বাংলাদেশে তখন তাকে নিয়ে চলছে টানাহেঁচড়া।
মুস্তাফিজের টেস্টের প্রতি অনাগ্রহের ব্যাপারটি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে চর্চা হয়ে আসছে। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিনে আবারও আলোচনায় তার টেস্ট খেলার বিষয়টি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন রাখা হলো মুমিনুল হকের কাছে। কিন্তু এ নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। তার মতে এটা বিসিবির সিদ্ধান্ত। বিসিবি ওপরই এটা ছেড়ে দেওয়া ভালো।
কাঁধের চোটের কারণে এই সিরিজে নেই তাসকিন আহমেদ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও টেস্টে তাকে পাওয়া যাবে না। চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে চোট পাওয়া শরিফুল ইসলামের ক্ষেত্রেও একই সমীকরণ। ডান হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে বলের আঘাত পাওয়ায় চার-পাঁচ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। তারও ক্যারিবীয় দীপপূঞ্জে টেস্ট খেলা হবে না।
প্রধান দুই পেস অস্ত্র না থাকায় মুস্তাফিজের ফেরানোর আলোচনা উঠেছে। ইতোমধ্যে তার সঙ্গে কথাও বলেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। বাঁহাতি পেসারকে টেস্ট দলে চান কিনা? এমন প্রশ্নে মুমিনুল বলেন, 'ওইটা তো বোর্ডের ব্যাপার। বোর্ড যেটা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই হেবে। যেটা চিন্তা করবে, সেটাই। আমার কাছে মনে হয় বোর্ডের উপর ছেড়ে দেওয়া ভালো।'
তাসকিন দলে নেই, শরিফুল অনভিজ্ঞ; মুস্তাফিজের অভিজ্ঞতা টেস্ট দলকে সমৃদ্ধ করতে পারে না কিনা? এমন প্রশ্নে মুমিনুল যেন কিছুটা বিরক্তই হলেন, 'আমি জানি না মুস্তাফিজ কয়টা টেস্ট খেলছে। আর বাংলাদেশের কোনো পেসারই অভিজ্ঞ না। শুনলে অবাকই হবেন। সবার মিলিয়ে ২০টা টেস্ট হয়েছে কিনা জানি না। আমার কাছে মনে হচ্ছে, এখন অভিজ্ঞতা খুব একটা ম্যাটার করছে না ওদের কাছে। আর মুস্তাফিজের ব্যাপারে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।'
অধিনায়ক হিসেবে মুস্তাফিজকে নিয়ে মুমিনুলের চাওয়া কী? এই প্রশ্নের উত্তরেও নিজের ইচ্ছা কথা জানালেন না তিনি। বারবার বোর্ডের ওপরই সব চাপিয়ে গেলেন মুমিনুল। বললেন, 'বোর্ড দিলে অবশ্যই খেলবে।'