সিরিজ শেষ শরিফুলের
সেই ডেলিভারিটার জন্য আক্ষেপ হতেই পারে শরিফুল ইসলামের। তার বলই ছাড়তে গিয়ে বিশ্ব ফার্নান্দোর মাথায় বল লাগে। পরের দিন লঙ্কান এই পেসারের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন কাসুন রাজিথা। যার বোলিংয়ে বেশ ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে। শরিফুলের জন্য তো আরও ভোগান্তি হলো। বাঁহাতি এই পেসারের বলের আঘাতে টেস্ট সিরিজই শেষ হয়ে গেল তার।
চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে বোলিং করা হয়নি শরিফুলের। ছিলেন না মাঠেও, বদলি হিসেবে ফিল্ডিং করেন ইয়াসির আলী রাব্বি। পঞ্চম দিনেও তাকে ছাড়াই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ, এদিন বোলিং করবেন না তরুণ এই পেসার। এমনকি ঢাকা টেস্ট থেকেও ছিটকে গেছেন শরিফুল।
বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম। পরে বিসিবির পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এক্সরেতে শরিফুলের কনিষ্ঠা আঙুলে চিড় ধরা পড়েছে। চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। চট্টগ্রাম টেস্ট শেষে শুক্রবার ঢাকা ফিরবে বাংলাদেশ দল। কিন্তু শরিফুল আজই ফিরে যাচ্ছেন।
চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিং করছিল বাংলাদেশ। উইকেটে ছিলেন শেষ দুই ব্যাটসম্যান শরিফুল ও খালেদ আহমেদ। ১৬৭তম ওভারের তৃতীয় বলে ঘটে বিপত্তি। শর্ট ডেলিভারি করেন রাজিথা, শরীর তাক করে আসা ডেলিভারিটি খেলতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি শরিফুল। বল গিয়ে আঘাত হানে তার ডান হাতের আঙুলে।
সঙ্গে সঙ্গে মাঠে ঢোকেন ফিজিও বায়েজেদুল ইসলাম। শরিফুলের হাতের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন তিনি। এরপর আবার ব্যাটিং শুরু করেন শরিফুল। কিন্তু ১৭০তম ওভারের প্রথম বল খেলতে গিয়ে ব্যথা পাওয়া জায়গায় টান পড়ে তার। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে বসে পড়েন শরিফুল, কাতড়াতে দেখা যায় তাকে। এরপর আর ব্যাটিং করতে পারেননি তিনি। রিটায়ার্ড আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এ কারণে এক উইকেট থাকতেও প্রথম ইনিংস শেষ করতে হয় বাংলাদেশকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে সিরিজের পর অ্যাঙ্কেলের চোটে পড়েন শরিফুল। যে কারণে দুই টেস্টের কোনোটিই খেলা হয়নি তার। প্রথম টেস্টের পর তাসকিনের সঙ্গে দেশে ফিরে আসেন বাংলাদেশের এই পেসার। চোট কাটিয়ে উঠলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার প্রথম টেস্ট খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিল। শঙ্কা কাটিয়ে মাঠে ফেরেন তিনি, কিন্তু শেষ করতে পারলেন না ম্যাচ। উল্টো সিরিজই শেষ হয়ে গেল শরিফুলের।