অস্ত্রোপচার লাগছে না, তাসকিনের জন্য ইনজেকশন ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া
ক্যারিয়ারের সেরা ছন্দে থেকেও দলের বাইরে থাকার অনুভূতি কেমন হয়, সেটা হারে হারে টের পাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ দল যখন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার তখন লন্ডনে ডাক্তারের দ্বারস্থ। তার অপেক্ষা ছিল রিপোর্টে যেন ভালো কিছু আসে। ভালো খবরই পেয়েছেন, আপাতত অস্ত্রোপচার লাগছে না তার। বুধবার গভীর রাতে বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান তাসকিন নিজেই।
কাঁধের চোটের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে একটি টেস্ট খেলেই দেশে ফিরে আসতে হয় তাসকিনকে। তাকে ছাড়াই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দল ঘোষণা করা হয়। এর কদিন পর লন্ডনে যান তিনি। বুধবার এমআরআইসহ মোট ৩টি টেস্ট করানো হয় বাংলাদেশ পেসারের। রিপোর্ট পেয়ে তাসকিন জানান, আপাতত অস্ত্রোপচার লাগছে না তার।
তবে এটাই যে স্থায়ী সমাধান, তেমনও নয়। ভবিষ্যতে অস্ত্রোপচার লাগতেও পারে। এ দফায় ইনজেকশন ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেকে ফিট করে তোলার মিশনে নামবেন তিনি। তাসকিন বলেন, 'রিপোর্ট এসেছে, বড় কোনো সমস্যা নেই। টেন্ডিনোপ্যাথিতে (কাঁধ) হালকা সমস্যা আছে। 'কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্ট' করবে। যেখানে আছে ইনজেকশন ও পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে ঠিক না হলে ভবিষ্যতে অস্ত্রোপচার লাগতে পারে।'
তাসকিনকে কবে থেকে ইনজেকশন দেওয়া শুরু হবে, কিংবা কতো দিনের পুনর্বসান প্রক্রিয়া হবে; সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আপাতত লন্ডনে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। তাসকিনের মতো দেবাশিষ চৌধুরীও জানিয়েছেন, আপাতত অস্ত্রোপচার না লাগার কথা।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'চিকিৎসকদের কাছ থেকে সব রিপোর্ট নিচ্ছি আমরা। এরপর ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ করে তাসকিনের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করা হবে। কতোদিনের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কয়েকটি ব্যাপারে ব্যাখা করে দেখার প্রয়োজন আছে। দেশে ফেরার পর বিস্তারিতভাবে বলা যাবে।'
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বল হাতে দারুণ ছন্দে ছন্দে ছিলেন তাসকিন। ওয়ানডেতে বল হাতে শাসন করে সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতেন বাংলাদেশের এই গতি তারকা, যা তার ক্যারিয়ারের প্রথম। কিন্তু প্রথম টেস্টের প্রথম টেস্টেই কাঁধে চোপ পান তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করারই কথা ছিল না তার, কিন্তু ব্যথা কমায় এবং দলের অবস্থা বিবেচনায় বোলিং করতে হয় তাকে। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টের আগে দেশে ফিরতে হয় তাসকিনকে।