বড় হারে বিশ্বকাপ মিশন শেষ বাংলাদেশের মেয়েদের
প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ, রোমাঞ্চের শেষ ছিল না বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। নিগার, নাহিদা, জাহানারাদের চোখেমুখে ছিল দারুণ কিছু করে দেখানোর প্রত্যয়। শুরুটা হয় দারুণ লড়াইয়ে, তৃতীয় ম্যাচে মেলে জয়ের দেখাও। কিন্তু এরপর আর জয়ের স্বাদ নেওয়া হয়নি। হারের বৃত্তে বন্দি থাকা বাংলাদেশ বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরে গেছে।
২৭ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১০ রানে হেরেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। এই হার দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ হলো বাংলাদেশের।
সাত ম্যাচে একটি জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে সাতে থেকে শেষ করলো বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একমাত্র জয়টি পাকিস্তানের বিপক্ষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও জয় আসতে পারতো, কিন্তু একেবারে কাছেও গিয়ে পারেননি বাংলাদেশের মেয়েরা।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে ইংল্যান্ড। ট্যামি বিমন্ট, ন্যাট স্কিভার, অ্যামি জোন্স ও ম্যাচসেরা সোফিয়া ডাঙ্কলের ব্যাটে ৬ উইকেটে ২৩৪ রান তোলে তারা। জবাবে সোফি একলেসটোন, চার্লি ডিন, ফ্রেয়া ডেভিসদের বোলিং তোপের মুখে ৪৮ ওভারে ১৩৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে একেবারে খারাপ শুরু করেনি বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ৪২ রান যোগ করেন শামীমা সুলতানা ও শারমিন আক্তার। এই দুজনই ২৩ রান করে করেন। তারা আউট হওয়ার পর জ্যোতি ও লতা মন্ডলই যা লড়েন। অধিনায়ক জ্যোতি ২২ ও লতা ৩০ রান করেন। এছাড়া ফারজানা হক ও রিতু মনি ১১ রান করে করেন। ইংল্যান্ডের সোফি একলেসটোন ও চার্লি ডিন ৩টি এবং ফ্রেয়া ডেভিস ২টি উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন সোফিয়া ডাঙ্কলে। ম্যাচেসরার পুরস্কার জেতা ডানহাতি এই ব্যাটার ৭২ বলে ৮টি চারে ৬৭ রান করেন। এ ছাড়া ট্যামি বিমন্ট ৩৩, ন্যাট স্কিভার ৪০ ও অ্যামি জোন্স ৩১ রান করেন। শেষের দিকে ব্যাটিং করা দুই অপরাজিত ব্যাটার ক্যাথেরিন ব্রান্ট ২৪ ও সোফি একলেসটোন ১৭ রান করেন। বাংলাদেশের সালমা খাতুন সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান জাহানারা আলম, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন ও লতা মন্ডল।