সিলেট স্টেডিয়ামে মুগ্ধ সিডন্স চিনে নিচ্ছেন ক্রিকেটারদের
চার বছর দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার পর লম্বা সময়। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ঠিকই নজরে থাকতো তার। সাবেক প্রিয় শিষ্যরা কে কোথায় কেমন করছে, খোঁজ রাখতেন জেমি সিডন্স। দূর থেকে আর খোঁজ নিতে হচ্ছে না জাতীয় দলের সাবেক এই কোচকে। দুই বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্ব নিয়েছেন সিডন্স।
গত ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে এসে বিশ্রামে বেশি সময় কাটাননি অস্ট্রেলিয়ান এই কোচ। করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হতেই ছুটে গেছেন মাঠে। বিপিএল থাকায় আপাতত ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ নেই। যদিও এটাই তার জন্য বড় সুযোগ। বিপিএলের ম্যাচ দেখে ক্রিকেটারদের পরখ করে নিচ্ছেন সিডন্স।
ঢাকায় এসে মাঠে বসে বিপিএলের সব ম্যাচ দেখেছেন তিনি। সিলেট পর্বও বাদ যাচ্ছে না। দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশারকে নিয়ে সোমবার চলে এসেছেন সিলেটে। মাঠে বসে দেখেছেন ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচ। এরপর হাবিবুল বাশারের সঙ্গে ঘুরে দেখেন সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দুটি গ্রাউন্ড।
এখানকার ক্রিকেট অবকাঠামো দেখে মুগ্ধ সিডন্স। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অগ্রযাত্রায় সিলেটের বড় অবদান থাকবে বলে তার বিশ্বাস। ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করা সিডন্স প্রথমবার সিলেটে এসে বললেন, 'মাঠ সুন্দর। আশপাশের পরিবেশ মিলে খেলার আবহটা দারুণ। এ ছাড়া এখানে সব সুযোগ-সুবিধাও আছে। আমার বেশ ভালো লেগেছে। আশা করি এখান থেকে ভালো সার্ভিস পাওয়া যাবে।'
আগে জানানো হয়েছিল, জাতীয় দল থেকে শুরু করে হাই পারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি), বয়সভিত্তিক ক্রিকেট নিয়ে কাজ করবেন সিডন্স। তবে কদিন আগে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, জাতীয় দল নিয়েই বেশি কাজ করবেন তিনি। যদিও সিডন্স নিশ্চিত নন তার দায়িত্ব নিয়ে, 'আমি এখনও জানি না আমার দায়িত্ব কী হবে।'
সিডন্সের সিলেটে আসার প্রাথমিক উদ্দেশ্য এখানকার ক্রিকেট অবগাঠামো ঘুরে দেখা। তবে প্রধান উদ্দেশ্য ক্রিকেটার চিনে নেওয়া, তাদের সামর্থ্য সম্পর্কে ধারণা নেওয়া। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বলেন, 'আসার কারণ ম্যাচ দেখা। এ ছাড়া সিলেটে ও কখনও আসেনি। তো সিলেটের স্টেডিয়ামটা দেখা, উইকেটগুলো দেখা, পরিবেশ, অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা কী আছে, এগুলো দেখার জন্য আসা।'
'ওকে আমরা একটা নির্দেশনা দিয়েছি। যেটা আমাদের তিন ফরম্যাটে তিনটা দল। কে কে খেলে, অনেক খেলোয়াড়কে ও চেনে না। সেই হিসেবে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে যে কে কোন ফরম্যাটে খেলে, কোথায় ব্যাটিং করে, আমাদের বোলাররা কেমন। সবকিছু নিয়ে ওকে শুধু একটা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যখন অনুশীলনে নামবে, সবার সম্পর্কে জেনে কাজটা করতে সুবিধা হবে।' যোগ করেন মিনহাজুল আবেদীন।
সিডন্সের দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচক বলেন, 'সত্যি বলতে এটা তো ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগই দায়িত্বটা দেবে। আমার দিক থেকে বলাটা ঠিক হবে না, জালাল ভাই এই জিনিসটা বলবে। জাতীয় দলের সাথেই তো ব্যাটিং কোচ হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা আমি যতটুক জানি। আশা করছি এই সিরিজ (আফগানিস্তান) থেকে কাজ করবে।'