‘আমার দলে থাকা না থাকা গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে হয় না’
নিজে দলে আছেন কিনা, সেটা খুব একটা গুরুত্ব বহন করে না সাকিব আল হাসানের কাছে। দিন শেষে তার হিসাব, দল কেমন করছে। পারিবারিক কারণে ছুটিতে থাকায় মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের অংশ হওয়া হয়নি বাংলাদেশ অলরাউন্ডারের। আক্ষেপ আছে? সাকিব জানালেন মোটেও না, তিনি না থাকার পরও দল জেতায়ই বরং বেশি খুশি সাকিব।
কেবল সাকিবই নন, চোটের কারণে নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়া হয়নি অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালেরও। দলের অন্যতম সেরা দুই সদস্য বাইরে থাকার পরও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধ কন্ডিশনে ইতিহাস গড়েছে মুমিনুল হকের দল। এটাতেই যেন বেশি সুখ মিলছে সাকিবের।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে না থাকায় আক্ষেপ হচ্ছে? স্বভাবসুলভ ভঙ্গিমায় সাকিব উত্তর দিলেন, 'না, আমি বরঞ্ং অনেক বেশি খুশি হয়েছি যে আমি ছাড়াও... শুধু আমি ছাড়া নয়, আমি থাকা না থাকা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে হয় না। যেটা হয়েছে আমাদের দলটা খেলছে এবং কেমন ফল করছে। তো সেদিক থেকে আমি খুবই খুশি, খুবই গর্বিত প্রতিটা খেলোয়াড়, প্রতিটা কোচিং স্টাফকে নিয়ে।'
একটা টেস্ট জয়ে সব যে পরিবর্তন হয়ে যায়নি, সেটাও মনে করালেন সাকিব। তবে অনেক কিছু পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে এই জয়টি, এমনই বিশ্বাস সাকিবের। তার ভাষায়, 'একটা টেস্ট ম্যাচ জয় দিয়ে সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যায় না। তবে একটা টেস্ট ম্যাচ অনেক কিছু পরিবর্তনের একটা সম্ভাবনা তৈরি করে।'
'আমার কাছে মনে হয় সেই সম্ভাবনা তৈরি হলো। এই বিশ্বাসটা যদি আমরা রাখতে পারি, বিশেষ করে বিসিবি যদি সেই বিশ্বাসটা রাখতে পারে, আমার কাছে মনেহয় এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেই আমরা অনেক ভালো ফল করে দেখাতে পারব। আমাদের দলটা আরও ভালো ফল করে দেখাতে পারবে।' যোগ করেন সাকিব।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝে চোটে পড়া সাকিব দুই ম্যাচ বাকি থাকতে দুবাই থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে চলে যান। পাকিস্তান সিরিজ সামনে রেখে দেশে ফিরলেও শুধু একটি টেস্ট খেলেন তিনি। পারিবারিক কারণে নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ছুটি নেওয়া অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ওয়ানডে টুর্নামেন্ট দিয়ে মাঠে ফেরার অপেক্ষায়।
আগামী ৯ জানুয়ারি সিলেটে শুরু হতে যাওয়া আসরটিতে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের হয়ে খেলবেন সাকিব। এই টুর্নামেন্টকে মূলত বিপিএল ও জাতীয় দলের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নিচ্ছেন তিনি, 'এগুলো প্রস্তুতির অংশ। কারণ এরপর আমাদের টানা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আছে। আমি চাই যে, যেন আমার সেরা সম্ভাব্য ফিটনেস এবং পারফরম্যান্সটা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করতে পারি।'
'সেটার জন্য এটা ভালো একটা প্রস্তুতি বলে আমি মনে করি। যদি বিসিএলের কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারি। তারপরে বিপিএলের ম্যাচ থেকে আত্মবিশ্বাসটা নিতে পারি, সামনেই আমাদের আফগানিস্তানের সাথে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি আছে। আমার কাছে মনে হয় এ দুটি ফরম্যাট ওই দুটি ফরম্যাটকে (সিরিজ) সাহায্য করবে। তো সে কারণেই আসলে এই প্রস্তুতি নেওয়া।'