৮৭ রানেই অলআউট বাংলাদেশ, ফলো অনে পড়ায় হারের শঙ্কা
বৃষ্টির দাপটে মিরপুর টেস্টে খেলা মাঠে গড়ানোই দায় হয়ে উঠেছিল। বৃষ্টির ফাঁকে ফাঁকে অনুষ্ঠিত হয়েছে খেলা। চতুর্থ দিনে এসে বেশি কিছু ওভারের খেলা হয়। তাতেই বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ৭৬ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করে মুমিনুল হকের দল। বাকি তিন উইকেটে ফলো অন এড়ানোর লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু পঞ্চম দিনে ৬ ওভারের মধ্যেই সব শেষ।
মাত্র ৩২ ওভারে ৮৭ রানেই থেমে গেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। পাকিস্তান ৩০০ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। ফলো অন এড়াতে বাংলাদেশেকে করতে হতো ১০১ রান। কিন্তু পাকিস্তান স্পিনার সাজিদ খানের স্পিন ঘূর্ণিতে ১৩ রান বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। একাই ৮ উইকেট তুলে নেন তিনি। ফলো অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ।
ফলো অনে পড়ায় হারের শঙ্কা জেঁকে ধরেছে বাংলাদেশকে। ইনিংস হারের হাত থেকে বাঁচতে অন্তত ২১৩ রান তুলতে হবে তাদের। কিংবা কাটিয়ে দিতে হবে পুরো দিন, তাহলেই কেবল মিলবে ড্রয়ের সাস্ত্বনা। কিন্তু ৩২ ওভারেই অলআউট হয়ে যাওয়া দল পুরো দিন ব্যাটিং করে ম্যাচ বাঁচাবে, এই আশা করাও নিশ্চয়ই বাড়াবাড়ি।
ঘরের মাঠে সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় পড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। টেস্টে ঘরের মাঠে এটাই বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রানের ইনিংস। অবশ্য এটা যৌথভাবে সর্বনিম্ন। ঘরের মাঠে আরও একবার ৮৭ রানেই অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ, সেটা ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে। ২০০২ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জার্মেইন লসনের বোলিংয়ে দিক হারিয়ে নিমেষেই শেষ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস। ৬.৫ ভারে মাত্র ৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন লসন।
৭ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করেন সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম। দুই ওভারের মধ্যেই থামেন তাইজুল। ২৯তম ওভারে ফিরে যান খালেদ আহমেদ। ৩২তম ওভারের শেষ বলে সাকিব আউট হলে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সাকিব। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাকিদের কেউ-ই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি।
বাংলাদেশের পাঁচজন ব্যাটসম্যান রানের খাতাই খুলতে পারেননি। তারা হলেন অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন। এ ছাড়া সাদমান ইসলাম অনিক ৩, মুমিনুল হক ১, মুশফিকুর রহিম ৫ ও লিটন কুমার দাস ৬ রান করেন। ৪২ রানে সাজিদ খানের শিকার ৮ উইকেট, এটাই তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। শাহিন আফ্রিদি নেন একটি উইকেট।