সাকিবের বিদায়ে সেই ‘প্রথম’-এর কেউ থাকলো না দলে
২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর, খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ। ফরম্যাটটির নাম টি-টোয়েন্টি, যা তখনও বিশ্ব ক্রিকেটে 'ব্র্যান্ড নিউ' একটা ফরম্যাট। সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটটির ইতিহাসে ওটা ছিল নবম ম্যাচ, বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের জন্য প্রথম অভিজ্ঞতা। সেই ম্যাচের একাদশ ও আজ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদশে মিল খুঁজতে পারবেন?
সেই ম্যাচটি স্মৃতিতে আছে এমন কেউ এখনও বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুসরণ করে থাকলে বলে দেবেন, একটি প্রজন্মের অধ্যায় শেষ হলো। হ্যাঁ, সেই প্রজন্মের শেষ প্রতিনিধি সাকিব আল হাসানের বিদায়ের পর টি-টোয়েন্টিতে নতুন শুরু হলো বাংলাদেশের। এতোদিন তিনিই ছিলেন একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি দেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব। ঘরের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলার পরিকল্পনা অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের, তবে গত বিশ্বকাপে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন বলে জানান তিনি। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সাকিববিহীন যুগে পা দিল বাংলাদেশ, টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের 'প্রথম' অভিজ্ঞতার সবাই হয়ে গেলেন সাবেক।
সেই ম্যাচের অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফিস ক্রিকেট ছেড়েছেন কয়েক বছর হলো, চাকরি করছেন বিসিবিতে। তার সঙ্গে ক্রিকেট ছাড়া স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকও বিসিবিতে কর্মরত, সামলাচ্ছেন নির্বাচকের দায়িত্ব। মাশরাফি বিন মুর্তজা টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেন ২০১৭ সালে, মুশফিকুর রহিম অবসর নেন ২০২২ সালে।
বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলা নাজমুস সাদাত, আফতাব আহমেদ, নাদিফ চৌধুরী, ফরহাদ রেজা, মোহাম্মদ রফিক, শাহাদাত হোসেনদের কেউ কেউ এখনও খেলা চালিয়ে গেলেও কেউ-ই দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের অংশ নন, টি-টোয়েন্টি দলের অংশও ছিলেন অনেক আগে। এদের কেউ কেউ আবার খেলা ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন কোচিংয়ে।
প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে কেবল সাকিব খেলে আসছিলেন। তবে এই ফরম্যাটে তার অধ্যায় শেষ হয়েছে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, ২৪ জুন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এই ম্যাচের পর আর টি-টোয়েন্টি খেলেনি বাংলাদেশ। ২০০৬ সাল থেকে ১৭৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ, সাকিব খেলেছেন ১২৯টি ম্যাচ। এই ফরম্যাটে ২ হাজার ৫৫১ রানের পাশাপাশি ১৪৯টি উইকেট নিয়েছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।
দলের সঙ্গে নিজের টি-টোয়েন্টি অভিষেকের সেই ম্যাচে ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। ২৮ বলে ২টি চারে ২৬ রান করা বাঁহাতি অলরাউন্ডার বল হতে ৪ ওভারে ৩১ রানে নেন একটি উইকেট। আগে ব্যাটিং করে ১৯.৫ ওভারে ১০ উইকেটে ১৬৬ রান তোলা বাংলাদেশ ৪৩ রানে হারায় জিম্বাবুয়েকে। ২৬ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৬ রান ও এক উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন মাশরাফি।