‘ক্রীড়া সংস্থায় একই পদে দুই মেয়াদের বেশি নয়’
সরকার বদলের পর থেকে ক্রীড়াঙ্গনে অনেক পরিবর্তনই আসছে। সেটার ধারাবাহিকতায় এবার ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঘোষণা করেছেন, কোনো ক্রীড়া সংস্থা বা ফেডারেশনে একই পদে কেউ দুই মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা করা হয় আসিফ মাহমুদকে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি একাধিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম, ফেডারেশনগুলোতে একই পদে দুই মেয়াদের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। এই নিয়মের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) সাধারণ নির্দেশিকা প্রস্তুত করছে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, 'কোনো ব্যক্তি কোনো ক্রীড়া সংস্থায় একই পদে দুই মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না। প্রয়োজন হলে তিনি ফেডারেশনের অন্য কোনো পদে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, কিন্তু একই পদে নয়। অনেকেই তাদের পদকে ক্ষমতার উৎস হিসেবে বিবেচনা করেন, দায়িত্ব নয়। আমরা এটি সমাধানের জন্য কাজ করছি।'
ক্রীড়াঙ্গনের সার্বিক উন্নয়নে শুক্রবার সংগঠক, খেলোয়াড়, কোচ ও রেফারিদের সাথে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনায় বসেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। ফেডারেশন পরিচালনায় পরিবর্তন আনাসহ আর্থিক স্বচ্ছ্বতার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। আসিফ মাহমুদ বলেন, 'প্রতি বছর প্রতিটি ক্রীড়া সংস্থাকে তাদের আয়-ব্যায়ের অডিট রিপোর্ট এবং উন্নতির রিপোর্ট জানাতে হবে, সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে সর্বস্তরের জবাবদিহিতা।'
এই সংস্কার ক্রীড়া খাতকে রাজনীতিমুক্ত করার বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ বলে মনে করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। তার ভাষায়, 'আমরা ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনীতিমুক্ত করার দিকে মনোযোগ দিয়েছি। একজন ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে, কিন্তু সেই প্রভাব ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিস্তৃত হওয়া উচিত নয়।'
মতবিনিময় সভায় প্রতিটি ফেডারেশন থেকে চারজন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু সভায় অনেক খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এর ফলে অডিটোরিয়ামে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। বিষয়টি উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, 'ক্রীড়া আমাদের শৃঙ্খলা শেখায় এবং এটি আমাদের জাতীয় জীবনের জন্যও প্রযোজ্য। এখানে অনেক বর্তমান ও প্রাক্তন খেলোয়াড় এবং কোচ উপস্থিত আছেন, তবুও আমি কিছু মানুষের মধ্যে স্পষ্ট শৃঙ্খলার অভাব দেখছি।'