চরম ব্যর্থতায় ১৪৯ রানেই অলআউট বাংলাদেশ, আবার ব্যাটিংয়ে ভারত
চেন্নাই টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের চেহারা বুঝতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের দিকে তাকালেই চলবে। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ৩২ রানের, এসেছে সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে। বাকিদের কেউ ৩০ রানের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যানের চারজনই ব্যর্থ হয়েছেন দুই অঙ্কের রান করতে। ভারতের পেসারদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়া বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ কেবল হতাশাই জাগিয়েছে। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় সফরকারীদের ইনিংস গুটিয়ে গেছে অল্প রানেই।
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৭.১ ওভারে ১৪৯ রানেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। ফলোঅনে পড়া নাজমুল হোসেন শান্তর দল প্রথম ইনিংসেই পিছিয়ে পড়েছে ২২৭ রানরে বড় ব্যবধানে। হাসান মাহমুদের তোপ সামলে দলকে আলোর পথে নিয়ে যাওয়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার লড়াইয়ে প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান তোলে ভারত। অনেক রানে এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে স্বাগতিকরা।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধুঁকেছে। কোনো ব্যাটসম্যানই পারেননি দলের হাল ধরতে। শুরুর চাপ কাটিয়ে জুটি গড়লেও বাজে শটে আউট হয়ে আরও হতাশা বাড়িয়েছেন লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসানরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাদমান ইসলামকে ফেরান ভারতের পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। তার দারুণ এক ডেলিভারি ছাড়তে গিয়ে স্টাম্প ভেঙে যায় সাদমানের।
নবম ওভারে গিয়ে বাংলাদেশকে চেপে ধরেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা আরেক ভারতীয় পেসার আকাশ দীপ। টানা দুই বলে তার শিকার জাকির হাসান ও মুমিনুল হক। বাংলাদেশের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই বোল্ড হন। এর মাঝেও দ্রুত রান তুলতে থাকা অধিনায়ক শান্তকে সাবলীল মনে হলেও তিনি ইনিংস বড় করতে পারেননি। দলীয় ৩৬ রানে মোহাম্মদ সিরাজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২০ রান করেন তিনি।
কিছুক্ষণ পর মুশফিকুর রহিমকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন বুমরাহ। ৪০ রানে ৫ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন সাকিব ও লিটন। ষষ্ঠ উইকেটে ৫১ রানের জুটি গড়ে দুই ওভারের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের এই দুই ব্যাটসম্যান। ২৯তম ওভারে সুইপ করতে গিয়ে আউট হন ৪২ বলে ২২ রান করা লিটন। দলের দুঃসময়ে আরও বেশি হতাশা জাগিয়ে ফেরেন সাকিব। ৬৪ বলে ৩২ রান করা অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে ঋষভ পন্তের গ্লাভসে আটকা পড়েন।
এরপর বোলারদের নিয়ে কিছুটা পথ পাড়ি দেন মেহেদী হাসান মিরাজ, সঙ্গীর অভাবে লড়াই চালিয়ে যাওয়া হয়নি তার। ৫২ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের অনেক ব্যাটসম্যানের তুলনায় ভালো ব্যাটিং করেছেন তিন পেসার। হাসান মাহমুদ ৯ এবং তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা ১১ রান করে করেন। বুমরাহ সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট পান সিরাজ, আকাশ ও জাদেজা।