হাসানের জোড়া আঘাতে আরও বিপাকে পাকিস্তান
তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানার তোপের মুখে পথ হারিয়ে বসেছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮১ রানেই ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এখান থেকে হাল ধরে জুটি গড়ে তোলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আগা। এ দুজনের ব্যাটে লিড বড় করে যাচ্ছিল পাকিস্তান। কিন্তু এই জুটি ভাঙাসহ একই ওভারে ২টি উইকেট তুলে নিয়ে ঘরের মাঠের দলটিকে আবারও কোণঠাসা অবস্থায় পাঠালেন হাসান মাহমুদ।
বাংলাদেশের ডানহাতি এই পেসার তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে ১.৪ ওভার বোলিং করেই তুলে নেন পাকিস্তানের দুই উইকেট। আজ আরও দাপট দেখালেন তিনি, দুই বলে শিকার করলেন ২ উইকেট। ৪০ ওভারে ৮ উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৪৫ রান। তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ১৫৭ রান।
খাদের কিনারে চলে যাওয়া দলকে পথ দেখিয়ে সপ্তম উইকেটে ভালোই লড়াই করেন রিজওয়ান ও সালমান। সপ্তম উইকেটে ৫৫ রান যোগ করেন এ দুজন। রিজওয়ান ৭৩ বলে ৫টি চারে ৪৩ রান করেন। হাসানের আরেক শিকার মোহাম্মদ আলী। সালমান ৪৯ বলে ৩টি চারে ২৪ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে আজকের দিনের শুরুতে ভালো কিছুরও সম্ভাবনা জাগান সাঈম আইয়ুব ও অধিনায়ক শান মাসুদ। এদিন ৩৬ রানের জুটি গড়েন এ দুজন। কিন্তু সাইমকে ফিরিয়ে এই জুটে ভেঙে পাকিস্তানের ভালো কিছু করার আশাও গুঁড়িয়ে দেন তাসকিন। ২০ রান করে ফেরেন সাইম।
এরপর শুরু হয় নাহিদের তোপ। গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হওয়া ডানহাতি এই পেসার আগুনে বোলিং শুরু করেন। গতির ঝড় তুলে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের দিশেহারা করে তোলেন ২১ বছর বয়সী এই বোলার। ১৯ রানরে ব্যবধানে পাকিস্তানের তিনজন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান তিনি।
তিনজনকেই গতি দিয়ে পরাস্থ করেছেন তিনি, পাকিস্তানের তিন ব্যাটসম্যানই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন। ২৮ রান করা শান মাসুদ ধরা পড়েন লিটন কুমার দাসের হাতে। এরপর দারুণ এক ডেলিভারিতে বাবর আজমকে ফেরান নাহিদ।
পরের বলে রিজওয়ানও ফিরতে পারতেন। কিন্তু পাকিস্তানের ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান স্লিপে ক্যাচ দিলেও নিতে পারেননি সাদমান ইসলাম অনিক। কিছুক্ষণ পরই সৌদ শাকিলকে ফিরিয়ে সহজ উইকেট না পাওয়ার হতাশা কিছুটা লাঘব করেন নাহিদ।