ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমির পথে আরেক ধাপ এগোলো অস্ট্রেলিয়া
টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন আগেই শেষ হয়েছে ইংল্যান্ডের। শেষটা ভালো করার লক্ষ্যে নেমেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু সেটিও সম্ভবত হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩৩ রানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে কাগজে- কলমে বিদায় নিয়েছে তারা। এটি বিশ্বকাপে ইংলিশদের টানা ষষ্ঠ হার।
এই হারে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলাও শঙ্কায় পড়েছে ইংল্যান্ডের। ৭ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে ১০ দলের মধ্যে সবার নিচে তারা। সমান ম্যাচ ও পয়েন্ট হলেও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশ আছে নয়ে। অন্যদিকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সেমি-ফাইনালের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।
আহমেদাবাদে ২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই ফিরে যান বেয়ারস্টো। অভিজ্ঞ জো রুটও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, ১৩ রান করে আউট হয়ে ফেরেন ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটার।
১৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই হারের শঙ্কায় পড়ে ইংল্যান্ড। সেখান থেকে ধাক্কা সামলান মালান ও বেন স্টোকস। দুজনে মিলিয়ে ৮৪ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ যখন ইংল্যান্ড নেওয়া শুরু করেছে ঠিক তখনই আউট হন মালান। বাঁহাতি ব্যাটার হাফসেঞ্চুরি করেই বিদায় নেন। ৫০ রানে তাকে আউট করে জুটি ভাঙেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
ইল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার দলের আরও বিপদ বাড়ান। অ্যাডাম জাম্পার বলে ১ রান করে আউট হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। শুধু অধিনায়ককে আউট করেই থামেননি অস্ট্রেলিয়ান লেগস্পিনার। পরের দুই ব্যাটসম্যানকেও আউট করেন তিনি।
জাম্পার ঘূর্ণিতে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। মাঝে পঞ্চম উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়ে দলকে আবারও জয়ের স্বপ্ন দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন স্টোকস ও মঈন আলী। ৬৪ রান করে স্টোকস ফিরে গেলে ইংলিশদের আর কোনো বড় জুটি হয়নি।
ছয়ে নেমে ৪২ রান করেন মঈন। তবে লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররাই ছোট ছোট জুটি গড়ে ম্যাচ বের করার চেষ্টা করছিলেন। বিশেষ করে ৩২ রান করা ক্রিস ওকস ও ১০ নম্বরে নেমে ২০ রান করা আদিল রশিদ। কিন্তু শেষ দিকে টানা দুই বলে দুজনে আউট হলে ২৫৩ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা। ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে অজিদের সেরা বোলার জাম্পা। ৩ উইকেটের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের ২৯ রানের জন্য ম্যাচসেরাও হয়েছেন জাম্পা।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৮৬ রান করে অস্ট্রেলিয়া। শুরুটা ভালো না হলেও মারনাস লাবুসেনের হাফসেঞ্চুরি ও দুটি চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে এই সংগ্রহ গড়ে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
৩৮ রানে ২ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার হাল ধরেন স্টিভেন স্মিথ ও লাবুসেন। তৃতীয় উইকেটে ৭৫ রানে জুটি গড়েন দুজনে। স্মিথকে ৪৪ রানে আউট করে জুটি ভাঙেন আদিল রশিদ।
এরপর ক্যামেরুন গ্রিনকে নিয়ে আরেকটি ভালো জুটি গড়েন লাবুসেন। পঞ্চম উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়েন। ৭১ রান করে আউট হন লাবুসেন। তার বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। দলকে ২৮৬ রানের পুঁজি এনে দেন ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামা অ্যাডাম জাম্পা।
আউট হওয়ার আগে ১৯ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলেন লেগ স্পিনার। ৫৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার পেসার ক্রিস ওকস।