একদিনেই পাল্টে গেল সাকিবের বিশ্বকাপ স্বপ্ন!
পরিস্থিতি পাল্টে যেতে সময় লাগে না। হোক সেটা জীবনে বা অন্য কোনো ব্যাপারে। ক্ষেত্র বিশেষে দিন অথবা ক্ষণে পাল্টে যেতে পারে চিত্র। ক্রিকেট ম্যাচে যেমন ক্ষণে ক্ষণে রং বদল হয়। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কথাই ধরুন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ও পরে বাংলাদেশ অধিনায়ক যে দুই রকমের মন্তব্য করলেন, সেটা পরিস্থিতি বদলে যাওয়ার কারণেই। এক দিনের ব্যবধানেই কথায় কতো বদল, বদলে গেল তার বিশ্বকাপ স্বপ্নও।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে চার ম্যাচ খেলে একটিতে জেতে বাংলাদেশ, হারে টানা তিন ম্যাচ। সেমি-ফাইনাল স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে পরের পাঁচ ম্যাচই সমান গুরুত্বপূর্ণ তাদের কাছে। বাংলাদেশের অবস্থাটা এক কথায় কোণঠাসা। এরপরও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সেমি-ফাইনাল স্বপ্নের কথাই জানান সাকিব। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এখনও বাংলাদেশের খুব ভালো সুযোগ আছে। কিন্তু সেই সাকিবই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বড় হারের পর বললেন, সেমি-ফাইনাল খেলা না হলে পাঁচ-ছয়ে থেকে শেষ করতে চান।
এখনও অবশ্য সেমি-ফাইনাল থেকে দৃষ্টি সরাননি অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। তবে দলের মতো তার স্বপ্নও ধূসর হয়ে উঠেছে। তাই এতোদিন কেবল শেষ চারের কথা বলে এলেও বাস্তবতা মেনে সাকিবের মুখে এখন 'সম্মানজনক' অবস্থায় থেকে শেষ করার কথা। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশন নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের পরই সে আশা ফিঁকে হয়ে উঠে। ৩৮৩ রান তাড়া করতে নেমে মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরির পরও ২৩৩ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
টানা চার হার, সবগুলো ম্যাচেই ব্যাটিংয়ের নাজেহাল অবস্থা। এরপরও সাকিব সামনেই দৃষ্টি রাখছেন, বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে বলেও বিশ্বাস তার। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, 'ভারত, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা; এই তিন দলকে দেখে মনে হচ্ছে তারা শিরোপা জিততে পারে। কিন্তু যেকোনো কিছু ঘটতে পারে, অনেক পথ বাকি। অনেক কিছু শেখার আছে এবং খেলারও অনেক বাকি। সেমি-ফাইনালিস্ট না হলে পাঁচ বা ছয়ে থেকে আমরা শেষ করতে চাই। আমরা এখনও করে দেখাতি পারি, আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে পারব বলে আমি আশাবাদী।'
৩৫ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে ছিল বাংলাদেশ। এরপর ডি কক, ক্লাসেন ও মিলারের ঝড়ো ব্যাটে রান পাহাড়ে উঠে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সাকিব বলেন, 'আমরা ৩৫ ওভার পর্যন্ত ভালো বোলিং করেছি। কয়েকটি উইকেট নিয়েছি এবং ওভার প্রতি পাঁচ রান করে যাচ্ছিল। সেখান থেকে তারা ঝটকা মেরেছে। বিশেষ করে ডি কক, সে সত্যিই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে এবং ক্লাসেন যেভাবে শেষ করলো। এমন মাঠে এটা হতে পারে। মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ ভাইয়ের উপরে ব্যাটিং করা নিয়ে আলোচনা আছে। টপ অর্ডারের পাঁচজন রান করতে পারছে না, তাদের আরও রান করতে হবে।'