দাপুটে জয়ে শুরু পাকিস্তানের

শুরুর বিপর্যয়ে শঙ্কা জাগলেও দারুণ ব্যাটিংয়ে স্বস্তি ফেরান মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ম্যাচসেরা সৌদ শাকিল। পরে আবারও দিক হারালে পাকিস্তানকে পথ দেখান মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খান। এই চার জনের ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহই পায় বাবর আজমের দল। পরে বল হাতে দাপট দেখান হারিস রউফ, হাসান আলী, শাহিন আফ্রিদিরা। খারাপ সময় পেরিয়ে দাপুটে জয়েই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করলো পাকিস্তান।
শুক্রবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসকে ৮১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপে ডাচদের বিপক্ষে তিনবারের সাক্ষাতে প্রতিবারই জয়ের হাসি হাসলো তারা। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা পাকিস্তান বাস ডে লেডে, কলিন অ্যাকারম্যানদের বোলিংয়ের সামনে ৪৯ ওভারে ২৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে পাকিস্তানের শাসন করা বোলিংয়ের বিপক্ষে বিক্রমজিৎ সিং, বাস ডে লেডেদের লড়াইয়ের পরও ৪১ ওভারে ২০৫ রানে শেষ হয় নেদারল্যান্ডসের ইনিংস।
পাকিস্তানের জন্য সংগ্রহটা আহামরি না হলেও নেদারল্যান্ডসের জন্য লক্ষ্যটা বড়ই ছিল। পাকিস্তানের বিশ্বমানের বোলিংয়ের বিপক্ষে যে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে, তা জানাই ছিল ডাচদের। ম্যাচে সেই বাস্তবতাই মেনে নিতে হলো তাদের। দলটির তিনজন ব্যাটসম্যান ছাড়া কেউ-ই সেভাবে বাট হাতে লড়াই করতে পারেননি। দলটির পাঁচজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেন, এর মধ্যে দুজন পান হাফ সেঞ্চুরির দেখা।
ওপেনার বিক্রমজিৎ সিং ৬৭ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৫২ রান করেন। ওয়ানডেতে এটা তার পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি। বল হাতে পাকিস্তানকে ভোগানো ডাচ অলরাউন্ডার ডে লেডে ব্যাট হাতেও ডাচদের কাণ্ডারীর ভূমিকায় ছিলেন। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৬৮ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ইনিংস সেরা ৬৭ রান করেন, এটা তার তৃতীয় ওয়ানডে হাফ সেঞ্চুরি। এ ছাড়া অ্যাকারম্যান ১৭, সাকিব জুলফিকার ১০ ও লোগান ফন বিক ২৮ রান করেন। পাকিস্তানের হারিস ৩টি ও হাসান ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান শাহিন আফ্রিদি, ইফতিখার, নওয়াজ ও শাদাব।
এর আগে ব্যাটিং করা পাকিস্তানের ইনিংসে সবচেয়ে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন রিজওয়ান ও শাকিল। ৭৫ বলে ৮টি চারে ৬৮ রান করেন রিজওয়ান। ম্যাচসেরা শাকিলও করেন ৬৮ রান, তবে খরচা করেন ৫২ বল। ৯টি চার ও একটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। নওয়াজ ৩৯, শাদাব ৩২, ফকর ১২, ইমাম ১৫ ও হারিস ১৬ রান করেন। ডে লেডে ৯ ওভারে ৬২ রানে ৪টি উইকেট নেন। অ্যাকারম্যান ২টি উইকেট পান। একটি করে উইকেট নেন আয়ান দত্ত, ফন বিক ও পল ফন মেকেরেন।