আক্রমণাত্মক সাকিবের পর মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরি
প্রথম দিনের শেষ বলে হতাশায় ডুবতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের প্রথম দিনের শেষ বলে আউট হন তামিম ইকবাল। তাতে দারুণ এক দিন কাটানোর আনন্দ মাটি হয়ে গিয়েছিল। উল্টো ৩৪ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালো না হলেও সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ছন্দ খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ। দুজনই তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি।
অভিজ্ঞ এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ৩৭ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭০ রান তুলেছে বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ডের আর ৪৪ রানে পিছিয়ে তারা। ইতোমধ্যে ১৩০ রানের জুটি গড়েছেন সাকিব-মুশফিক। টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩১তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া সাকিব ৭৪ ও মুশফিক ৫৩ রানে অপরাজিত আছেন। মুশফিকের এটা ২৬তম হাফ সেঞ্চুরি।
দ্বিতীয় দিনটার শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুমিনুল হকের সঙ্গে উইকেটে যান মুশফিক। এদিন তৃতীয় ওভারেই থামেন মুমিনুল। টেস্টের সাবেক এই অধিনায়ক ১৭ রান করে মার্ক এডেয়ারের বলে বোল্ড হন। এরপর উইকেটে গিয়েই ঝড় তোলেন সাকিব। দারুণ সব শটে কয়েকটি চার মেরে মুহূর্তেই চাপ কাটিয়ে তোলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
টেস্ট ক্রিকেট হলেও টি-টোয়েন্টি মেজাজে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে নেন সাকিব। মাত্র ৪৫ বলে ৯টি চারে ৫০ পূর্ণ করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পথে ৩৬ রানই বাউন্ডারি থেকে তোলেন তিনি। এরপর একই ছন্দে ব্যাট চালিয়ে যেতে থাকেন সাকিব। তার সঙ্গে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার কাজটি করেন মুশফিক।
সাকিবের মতো অতোটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেননি বাংলাদেশের অন্যতম এই ব্যাটিং ভরসা। তবে স্বভাবজাত ব্যাটিংও করেননি মুশফিক। ৬৯ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। প্রিয় শট সুইপে চার মেরে পঞ্চাশে পৌঁছান মুশফিক। আগের দিন তামিম ইকবাল ২১ রান করে আউট হন। নাজমুল হোসেন শান্ত রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন।