‘যেকোনো ম্যাচ হারলে সে রাতে ঘুমাতে সবারই কষ্ট হয়’
ভারতের দেওয়া বড় লক্ষ্যে দুর্বার শুরু করেছিলেন লিটন কুমার দাস। চোখ জুড়ানো সব শটে মুহূর্তেই স্কোরকার্ডের চেহারা পাল্টে দেন তিনি। এরপর বৃষ্টির হানা, নতুন লক্ষ্যে আবার শুরু। কিন্তু বুক চেতিয়ে লড়েও মেলেনি জয়ের দেখা। হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ হেরে যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
ডাকআউটে দাঁড়ানো তাসকিন আহমেদের ছোখ ছলছল করছিল, যেন এখনই গড়িয়ে পড়বে জল। শরিফুল ইসলামের মুখ তখন কালো মেঘে ঢাকা। দারুণ বোলিংয়ে তাসকিন ছিলেন নায়ক, শরিফুল পথ হারানোর কারণ। তাই তাসকিনের আফসোস হলেও শরিফুলের হয়তো অপরাধবোধ কাজ করছিল। অন্যরাও তখন দিশাহীন।
বলাই বাহুল্য, হতাশায় হাবুডুবু খাচ্ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তবে একেবারে কাছে গিয়ে হারলেই যে কেবল হতাশা কাজ করে, তেমন নয়। যেকোনো ম্যাচ হারই কষ্ট দেয় ক্রিকেটারদের। শুক্রবার দলের অনুশীলন শেষে তাসকিন জানালেন, ম্যাচ হারলে সে রাতে দলের সবারই ঘুমাতে কষ্ট হয়।
বল হাতে দারুণ ছন্দে থাকা ডানহাতি এই পেসার বলেন, 'হারলে যেকোনো ম্যাচেই খুব খারাপ লাগে। ওই রাতে ঘুমাতে সবারই কষ্ট হয়, সত্যি কথা যেটা। তো ম্যাচ হেরেছি, এটা অবশ্যই খারাপ লাগছে। তবে এখান থেকে অনেক কিছু ইতিবাচক নেওয়ার আছে। ভালো ক্রিকেট খেলতে পারছি। দোয়া করবেন, শেষটা ভালো করে যেন দেশে যেতে পারি।'
শরিফুলের ৪ ওভারে ৫৭ রান খরচ করার ম্যাচে আগুন ঝরানো বোলিং করেন তাসকিন। উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দেন তিনি। কী পরিকল্পনায় তিনি সফল? তাসকিন জানালেন নিজের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস রেখে বোলিং করে গেছেন তিনি, 'প্রত্যেকটা ম্যাচে আমি আমার সামর্থ্যে ফোকাস করছি, সবাই ভালো ব্যাটসম্যানের বিপরীতে বোলিং করছে। আমি আমার সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখছি।'
'কে কী শট ভালো খেলে, সেটা দেখছি না। কারণ আমি আমার সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখছি। যে কোনো ব্যাটসম্যানের সামনে ভালো কিছু বোলিং করার জন্য আমি সক্ষম। বেশি কিছু চিন্তা না করে প্রক্রিয়া মেনে এগোচ্ছি। উইকেট বুঝে সেদিন সেই নির্দিষ্ট অবস্থা বিবেচনা করে বোলিং করার চেষ্টা করছি।' যোগ করেন চার ম্যাচে ৮ উইকেট নেওয়া তাসকিন।
হাসান মাহমুদ পুরোপুরি প্রত্যাশা না মেটাতে পারলেও ভালো করছেন। তরুণ এই পেসারের উজ্জ্বল ভভিষ্যত দেখছেন তাসকিন। ভরসা রাখছেন পেস বোলিং বিভাগের ওপরও, 'হাসান মাহমুদ আমার অনেক পছন্দের বোলার। ও বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় সম্ভাবনা। হাসান শরিফুল আমি, ফিজ যারা আমরা পেস বোলিং ইউনিটে আছি, সবার মধ্যে উন্নতির ক্ষুধা আছে। আমরা একজন আরেকজনকে সমর্থন করি, এটা খুব ভালো দিক। আল্লাহ যদি সুস্থ রাখেন ও (হাসান) অনেক বড় কিছু হবে বিশ্ব ক্রিকেটে।'