গড়পড়তা ব্যাটিংয়ে মিললো সেই লড়াইয়ের পুঁজিই
সংযুক্ত আরব আমিরাতে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সাত রানে জিতলেও নুরুল হাসান সোহানের দলের ব্যাটিং-বোলিং ছিল চিন্তার কারণ। বাছাই পর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে জায়গা করে নেওয়া দলের বিপক্ষেই এতোটা কঠিন সময় পার করতে হলে অস্ট্রেলিয়ায় পথটা কেমন হবে; তা নিয়ে বাংলাদেশ দলে গবেষণা শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। এর মধ্যেই আমিরাতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে গড়পড়তা ব্যাটিং করলো বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান তুলেছে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও দাপুটে ব্যাটিং করতে পারেনি বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ খেলেন সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ছোট ছোট ইনিংস খেলেন লিটন কুমার দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, ইয়াসির আলী রাব্বি ও নুরুল হাসান সোহান। তবে কেউ-ই পেরোতে পারেননি ৩০ রানের গন্ডি।
উদ্বোধনী জুটি নিয়ে বাংলাদেশের অস্বস্তির শেষ নেই। ওপেনার বদলেও কোনো ফায়দা মিলছিল না। শেষমেষ এসেছে ওপেনার হয়ে উঠেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান। মিরাজ আস্থার প্রতিদান দিলেও সাব্বির রানের দেখা পাচ্ছিলেন না। এদিন তাকে সাবলীল মনে হচ্ছিল। বাংলাদেশের শুরুটাও একবারে মন্দ ছিল না।
৩.৪ ওভারে ২৭ রান তোলেন মিরাজ ও সাব্বির। ৯ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১২ রান করা সাব্বিরের বিদায়ে ভাগে এই জুটি। আমিরাতের বাঁহাতি স্পিনার আরিয়ান লাকড়ার এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন দীর্ঘদিন পরে জাতীয় দলে ফিরে রানের সঙ্গে সন্ধি করার চেষ্টায় থাকা সাব্বির।
তার বিদায়ের পর উইকেটে গিয়ে লিটন কুমার দাস দারুণ শুরু করেন। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও শাসন করে ব্যাট চালাতে শুরু করেন। মিরাজও হাতখুলে খেলতে থাকেন। এই জুটি থেকে ২৮ বলে ৪১ রান রান পায় বাংলাদেশ। ২০ বলে ৪টি চারে ২৫ রান করে আউট হন লিটন।
তেড়েফুঁরে শুরু করা আফিফ এদিন অল্প সময়ের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন। টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপের অন্যতম ভরসা হয়ে ওঠা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ১০ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ১৮ রান করেন থামেন। এক পাশে ধরে খেলতে থাকা মিরাজ আরও কিছুটা পথ পাড়ি দেন।
ওপেনার হিসেবে নিজেকে অনেকটাই প্রতিষ্ঠিত করে ফেলা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান দলীয় ১২২ রানে গিয়ে আউট হন। এর আগে ৩৭ বলে ৫টি চারে ৪৬ রান করেন মিরাজ। টি-টোয়েন্টিতে যা তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এরপর বাংলাদেশের ইনিংস এগিয়েছে মোসাদ্দেক, ইয়াসির ও সোহানের ব্যাটে। মোসাদ্দেক ২২ ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২৭ রান করেন।
১৩ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় অপরাজিত ২১ রান করেন ইয়াসির প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো ছক্কা মেরে ইনিংস শেষ করা সোহান ১০ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় হার না মানা ১৯ রান করেন। আমিরাতের ১৬ বছর বয়সী স্পিনার আয়ান আফজাল খান সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান সাবির আলী, আরিয়ান লাকড়া ও কার্তিক মিয়াপ্পান।