গায়ানার জয়ে ম্যাচসেরা সাকিব
এবারের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) শুরুটা ভালো ছিল না সাকিব আল হাসানের। নিজের প্রথম ম্যাচে গোল্ডেন ডাক পাওয়া বাংলাদেশ অলরাউন্ডার পরের ম্যাচেও প্রথম বলে আউট হন। বল হাতেও চেনা ছন্দে ছিলেন না। তৃতীয় ম্যাচে এসে দোর্দন্ড প্রতাপে ঘুরে দাঁড়ালেন সাকিব। ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়ে দলকে জিতিয়ে বোগলদাবা করলেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও।
রোববার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে সাকিবের শাসন করা ম্যাচে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে ৩৭ রানে হারিয়েছে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। ব্যাট হাতে ২৫ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৫ রান করা সাকিব ৪ ওভারে ২০ খরচায় শিকার করেন ৩ উইকেট। ৯ ম্যাচে গায়ানার এটা চতুর্থ জয়, পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে আছে তারা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে গায়ানা। রহমানউল্লাহ গুরবাজ, সাকিব এবং ঝড়ো ইনিংস খেলা শিমরন হেটমেয়ার ও ওডিন স্মিথের ব্যাটে ৬ উইকেটে ১৭৩ রান তোলে গায়ানা। জবাবে সাকিব, জুনিয়র সিনক্লেয়ার, গুডাকেশ মোটিদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে ১৩৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি ত্রিনবাগো।
সিপিএলে এবারের আসরে গায়ানার হয়ে চার নম্বরে ব্যাটিং করছেন সাকিব। নিজের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে দাঁড়াতেই পারেননি তিনি। দুই ম্যাচেই প্রথম বলে আউট হয়ে যান তিনি। তৃতীয় ম্যাচে এসে হাসলো তার ব্যাট, কার্যকরী ইনিংস খেলে দলের স্কোরকার্ড করলেন সমৃদ্ধ। তবে ম্যাচসেরা হওয়ার দিনে ভুলও করেছেন তারকা এই অলরাউন্ডার, একটি ক্যাচ ছুটে যায় তার হাত থেকে।
বল হাতে বেশি দাপুটে ছিলেন সাকিব। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসেন তিনি। শুরুর ওভারেই দেখান জাদু। মাত্র এক রান খরচায় তুলে নেন এক উইকেট। প্রতিপক্ষের শিবিরে বাঁহাতি এই স্পিনারই প্রথম আঘাত হানেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে তুলনামূলক বেশি খরচ করেন সাকিব, দেন ৭ রান।
নিজের তৃতীয় ওভারে আবারও সাকিবের আঘাত। এই ওভারে ৬ রান খরচায় আন্দ্রে রাসেলের উইকেট নেন তিনি। ১৯তম ওভারেও দাপট দেখান অভিজ্ঞ এই স্পিনার। ৬ রান খরচায় নেন আরেকটি উইকেট। গায়ানার পরের ম্যাচ ২৬ সেপ্টেম্বর বার্বাডোস রয়্যালসের বিপক্ষে।