ব্রাভোর ‘চ্যাম্পিয়ন’ গানে চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের নাচ
রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই উৎসবের শুরু। প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতার আনন্দে আত্মহারা বাংলাদেশের মেয়েরা দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। নেপালের দশরশ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে কেউ জাতীয় পতাকা গায়ে জড়িয়ে ছুটছিলেন, কেউ আবার মনের আনন্দে মাঠেই একটু নেচে নিচ্ছিলেন। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জেতার রাতটাও সাবিনা, সানজিদাদের কাছে একটু পরেই গভীর হয়।
উল্লাসের ক্ষণ যেন যেতে দিতে চাননি বাংলার অদম্য মেয়েরা। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের কাছ থেকে সার্টিফিকেট পেয়ে মনের মতো করে উদযাপন করেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। টিম হোটেলে হুই-হুল্লোড় ফেলে উৎসবমুখর পরিবেশে কেক কাটেন মেয়েরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভোর গাওয়া বিখ্যাত 'চ্যাম্পিয়ন' গানের সঙ্গে নাচেনও তারা।
কোচিং স্টাফ ও বাফুফের উইমেন উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহমুজা আক্তার কিরণকে নিয়ে কেক কাটার ভিডিও নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন মারিয়া মান্ডা। পরে আরেকটি ভিডিও পোস্ট করেন বাংলাদেশের এই মিডফিল্ডার। ভিডিওতে দেখা যায়, ব্রাভোর চ্যাম্পিয়ন গানে দুই সতীর্থের সঙ্গে নাচছেন তিনি।
সোমবার সন্ধ্যায় নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফের শিরোপা জেতা বাংলাদেশের মেয়েদের যে উৎসবের শুরু হয়েছে, তা এখনও জারি আছে। পরের দিনটা ফুরফুরে মেজাজে কেটেছে সাবিনাদের। কাঠমান্ডুর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরেছেন তারা। বিকালে শপিং সেরে বাংলাদেশের মেয়েরা রাতের খাবার খেয়েছেন কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাসে। নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরীর নিমন্ত্রণে সেখানে যান সাবিনা, কৃষ্ণা, সানজিদারা।
নেপালের বিপক্ষে ফাইনাল জয়ের পর অধিনায়ক সাবিনার কাছে জানতে চাওয়া হয়, শিরোপা উৎসব কীভাবে হবে। বাংলাদেশের এই স্ট্রাইকার বলেন, 'মাঠে কেমন উৎসব হয়েছে, তা সবাই দেখেছেন। তবে এখান থেকে দেশে যাওয়ার পরই উল্লাসটা আরও বোঝা যাবে। আমরা সে জন্যই অপেক্ষা করছি।'
সেই উৎসবের সব বন্দোবস্ত করে রেখেছে বাফুফে। সানজিদাদের চাওয়া মতো প্রস্তুত করা হয়েছে ছাদখোলা বাস। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও বাফুফে যৌথ আয়োজনের বর্ণাঢ্য অভ্যর্থনা পর্বে বিমানবন্দর থেকে ছাদ খোলা বাসে শোভাযাত্রা করে বাফুফে ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে চ্যাম্পিয়ন দলকে। ছাদ খোলা বাসে উদযাপন বাংলাদেশে এবারই প্রথম হতে যাচ্ছে। থাকবে আরও কিছু আয়োজন।