রোহিত-কোহলিদের মাঝারি লক্ষ্য দিল পাকিস্তান
বড় মঞ্চ মানেই ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের খেই হারানো। এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে তেমন পাকিস্তানেরই দেখা মিললো। শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ নিয়েও বড় সংগ্রহ গড়া হলো না তাদের। ভারতের দারুণ বোলিংয়ের সামনে এদিন পথ হারালেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বাবর আজম। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউ-ই টি-টোয়েন্টির মতো করে রান তুলতে পারলেন না। পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হলো অল্প রানেই।
রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৯.৫ ওভারে ১৪৭ রানে অলআউট হয়ে গেছে পাকিস্তান। ইনিংস সেরা ৪৩ রান করা মোহাম্মদ রিজওয়ান ছাড়া এদিন কেউ-ই দলের হয়ে সেভাবে ব্যাট চালাতে পারেননি। অন্যদের কেউ ৩০ রানও পেরোতে পারেননি। দারুণ বোলিংয়ে লক্ষ্য ছোট রাখতে কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেন ভারতের ভুবনেশ্বর কুমার, হার্দিক পান্ডিয়া, আর্শদীপ সিংরা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা পাকিস্তান এদিন শুরুটা ভালো করতে পারেনি। প্রথম ওভারেই ভারতের বোলিংয়ের তেজ বুঝতে পারে পাকিস্তান। দ্বিতীয় বলেই ভুবনেশ্বরের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন রিজওয়ান, আম্পায়ার তাকে আউটও ঘোষণা করেন। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
জীবন ফিরে পাওয়া রিজওয়ানকে নিয়ে সব সময়ের মতো সাবলীল ব্যাটিং শুরু করেন অধিনায়ক বাবর। কিন্তু এদিন তার পথচলা দীর্ঘ হতে দেননি ভুবনেশ্বর। ডানহাতি এই পেসারের এক শর্ট ডেলিভারিরে ব্যাট চালিয়ে ফাইন লেগে ধরা পড়েন বাবর। ফেরার আগে ৯ বলে ২টি চারে ১০ রান করেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান।
রিজওয়ানের সঙ্গে উইকেট যোগ দেওয়া ফকর জামানও দারুণ ছন্দে ব্যাটিং শুরু করেন। কিন্তু তার ইনিংস বড় হয়নি। আভেশ খানের শর্ট ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন ৬ বলে ২টি চারে ১০ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৪২ রানে দুই উইকেট হারানো পাকিস্তানকে পথ দেখাতে শুরু রিজওয়ান ও ইফতিখার আহমেদ।
তৃতীয় উইকেটে ৪৫ রান যোগ করেন এ দুজন। পাকিস্তানের ইনিংসে এটাই সবচেয়ে বড় জুটি। ইফতিখারের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ২২ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২৮ রান করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর ৪২ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করা রিজওয়ান আউট হলে মুখ থুবড়ে পড়ে পাকিস্তানের ইনিংস।
নিয়মিত ধারায় উইকেট হারাতে থাকে তারা। শেষ দিকে গিয়ে হারিস রউফ ও শাহনাওয়াজ দাহানির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রান বাড়িয়ে নেয় পাকিস্তান। রউফ ৭ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। দাহানি ৬ বলে ২টি ছক্কায় ১৬ রান করেন। এ ছাড়া শাদাব খান ১০, আসিফ আলী ৯, খুশদিল শাহ ২ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ ১ রান করেন।
পাকিস্তানের ইনিংসে প্রথম আঘাত হানা ভুবনেশ্বর শেষ দিকেও বেশ ভোগান। নিজের শেষ ওভারে টানা দুই উইকেট তুলে নেন অভিজ্ঞ ডানহাতি এই পেসার। ৪ ওভারে ২৬ রানে ৪টি উইকেট নেন তিনি। দারুণ বোলিং করেন হার্ডিকও। ৪ ওভারে ২৫ রান খরচায় তার শিকার ৩ উইকেট। এ ছাড়া আর্শদীপ ২টি ও আভেশ খান একটি উইকেট নেন।