‘এশিয়া কাপে হঠাৎ সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলতে চাই’
ওয়ানডে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে খুব একটা ভাবনা নেই বাংলাদেশের। এই ফরম্যাটেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সাফল্য। টেস্টেও মাঝে মাঝে সাফল্য ধরা দেয়। দীর্ঘতম এই ফরম্যাটে উন্নতির চেষ্টায় থাকায় ব্যর্থতা নিয়ে তেমন চর্চা নেই। কিন্তু টি-টোয়েন্টির আলাপ এলেই খুলে যায় হতাশার ঝুলি। এই ফরম্যাট নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই বাংলাদেশের। তাই আসছে এশিয়া কাপে চিন্তা-ধারা, মানসিকতাসহ সবকিছু হঠাৎ পরিবর্তন করে ফেলতে চায় দলটি।
এমনই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলের পাওয়ার হিটিং অনুশীলন দেখার পর এমনটা জানান তিনি। বিসিবি প্রধান জানিয়েছেন, এশিয়া কাপে আমূল পরিবর্তন এনে তারা দেখতে চান নতুন করে শুরু করা যায় কিনা। অথবা এই পরিবর্তনে কী অবস্থা দাঁড়ায়।
নাজমুল হাসান বলেন, 'এই এশিয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, টি-টোয়েন্টিতে আমরা অতো ভালো দল নই। এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, অন্য কিছু না। কে প্রতিপক্ষ, এটা বড় কথা না। আমাদের দলটা আসলে অতো শক্তিশালী না। কেন না, কী করা যায়, না করা যায়; একটা সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। আমরা পুরো চিন্তা-ধারা, মাইন্ড সেট হঠাৎ করে একদম পরিবর্তন করে ফেলতে চাচ্ছি, এই এশিয়া কাপ থেকেই। করে আমরা দেখতে চাচ্ছি নতুন করে ফ্রেশ স্টার্ট করা যায় কিনা।'
অবশ্য এখানেও চ্যালেঞ্জ দেখছেন বিসিবি সভাপতি। তামিম ইকবাল টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন। লিটন কুমার দাস ইনজুরিতে। নুরুল হাসান সোহানকে স্কোয়াডে নেওয়া হলেও তার খেলা অনিশ্চিত। আগামী ২২ আগস্ট এক্স-রের পরে বোঝা যাবে তার আঙুলের চোটের অবস্থা। এই তিন ক্রিকেটারের না থাকাটাকে বাড়তি চ্যালেঞ্জ মনে করা নাজমুল হাসান বলেন, 'আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়েছে যে, টি-টোয়েন্টিতে নিশ্চিত যারা দলে থাকতোই, এদের মধ্যে অনেকেই নেই।'
'যে কাউকে যদি দল বানাতে দেওয়া হতো, আপনাদের দেওয়া হলেও নিশ্চয়ই লিটন দাস ও তামিম ওপেনিংয়ে থাকতো। এই দুজনই নেই, এটা বড় চ্যালেঞ্জ। আবার মিডল অর্ডারের শেষের দিকে ফিনিশিংয়ে কাউকে দরকার হলে স্বাভাবিকভাবেই মাথায় আসবে সোহান। এ ধরনের খেলোয়াড় এবার নেই।' যোগ করেনে বিসিবি সভাপতি।
এশিয়া কাপ থেকেই সব পরিবর্তন করতে না পারলে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে আরও খারাপ অবস্থা হবে বলে মনে করেন নাজমুল হাসান, 'গত বিশ্বকাপের পর তো আমাদের পারফরম্যান্স খুবই খারাপ ছিল। হঠাৎ করে এতো তাড়াতাড়ি এটা থেকে আমরা বের হতে পারব কিনা জানি না, তবে আমাদের মাথায় চিন্তা-ধারা থাকতে হবে যে আমরা উন্নতি করতেই চাই, আমরা নতুন করে কিছু করতে চাই। এই চিন্তা যদি আমরা এশিয়া কাপ থেকেই না শুরু করি, তাহলে বিশ্বকাপে গিয়ে আরও খারাপ অবস্থা হবে। সেই জন্য আমরা আমূল পরিবর্তন; মাইন্ড সেট থেকে সবকিছু নতুন করে চিন্তা ভাবনা করার জন্য চেষ্টা করছি।'
পাওয়ার হিটিং থেকে শুরু করে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান নাজমুল হাসান। তার ভাষায়, 'এশিয়া কাপে আমরা কিছু জিনিস পরিবর্তন করে দেখতে চাচ্ছি, এসব ঠিক আছে কিনা। এশিয়া কাপ শুরুর আছেই কয়দিন, আমাদের খেলা ৩০ তারিখ। আমাদের তো সময় নেই এখন। হঠাৎ করে একজন কোচ নিয়ে এসে আমরা উন্নতি করে ফেলব, এটা ভাবা ঠিক হবে না। তবে এই এশিয়া কাপ থেকে আমরা মাথায় চিন্তাটা রেখেছি যে, বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার বেশ আগেই আমরা যেন এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারি, যেটা বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্স করতে সাহায্য করতে পারে।'