বিরল রেকর্ডে জয়েস-মরগানের পাশে চ্যাপম্যান

দুই দেশের জাতীয় দলের হয়ে খেলা ক্রিকেটারের সংখ্যা খুব বেশি নয়, বলা যায় এটাই একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। দুই দেশের হয়েই কোনো ব্যাটসম্যান যদি সেঞ্চুরি করেন, সেটা যে বিরল রেকর্ডের তালিকায় জায়গা পাবে; তা বলাই বাহুল্য। আর এই রেকর্ডটিই গড়েছেন নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার মার্ক চ্যাপম্যান।
দুই দেশের হয়ে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। হংকংয়ের সাবেক এই ক্রিকেটার এডিনবার্গে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র ওয়ানডেতে অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংস খেলেছেন। ওয়ানডে অভিষেকে জন্মভূমি হংকংয়ের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন চাপম্যান। সাত বছর পর এসে ব্ল্যাক ক্যাপদের হয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছালেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
দুই দেশের হয়ে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করার রেকর্ডে বেশি ক্রিকেটারের নাম নেই। চ্যাপম্যানের আগে এই কীর্তি গড়েন আয়ারল্যান্ডের এড জয়েস ও ইংল্যান্ডের ইয়ন মরগান। তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই তারিকায় নিজের নাম তুললেন চ্যাপম্যান।
জয়েস ও মরগানের গল্পটা একই রকম। দুজনের জন্মভূমিই আয়ারল্যান্ড, তারা দুজনই খেলেছেন আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের হয়ে। আবার দুই দেশের হয়ে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করার রেকর্ডও গড়েছেন এ দুজন।
১৯৭৮ সালে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে জন্ম নেওয়া জয়েস ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেন তিনি। ২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি তিনি। এ সময় নিজ দেশের জার্সিতে খেলার জন্য আইসিসির দেয়া শর্ত পূরণে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকেন জয়েস।
শর্ত পূরণ করে ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন জয়েস। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলা শুরু করেন তিনি। ২০১৩ সালে ডাবলিনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে আইরিশদের হয়ে অপরাজিত ১১৬ রানের ইনিংস খেলেন জয়েস।
জয়েসের আগেই দুই দেশের হয়ে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করার নজির গড়েন মরগান। জয়েস ২০০৭ ও ২০১৩ সালে দুটি সেঞ্চুরি করেন। আর মরগান ২০০৭ ও ২০১০ সালে দুই দেশের হয়ে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন।
জয়েসের মতো মরগানের জন্মও আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে। ১৯৮৬ সালে জন্ম নেওয়া সাবেক এই ক্রিকেটার আয়ারল্যান্ডের হয়ে ২০০৬ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন। ২০০৭ সালে নাইরোবিতে কানাডার বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে প্রথম সেঞ্চুরি করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান, খেলেন ১১৫ রানের ইনিংস।
২০০৯ থেকে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা শুরু করেন মরগান। ২০১০ সালে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান দেশটির বিশ্বজয়ী এই অধিনায়ক। অপরাজিত ১১০ রানের ইনিংস খেলেন মরগান।