প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদের প্রমাণ মিলেছে স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডে
স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে গত বছর প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদের অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের দায় মেনে নিয়ে সোমবার ক্রিকেট বোর্ডের সব পরিচালক পদত্যাগ করেন। এর একদিন পর অভিযোগ প্রমাণিতও হলো।
তদন্ত কমিটি সোমবার তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। স্বাধীন এই তদন্তে প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদের প্রমাণ মিলেছে। ৪৪৮টি উদাহরণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি, যেসবে প্রমাণ হয় বোর্ডে প্রতিষ্ঠানিক বর্ণবাদ হয়েছে। সমীক্ষায় ৬২ শতাংশ মানুষ বলেন, তারা নিজেরা বর্ণবাদ বা বৈষম্যের ভুক্তভোগী হয়েছেন, দেখেছেন বা এমন অভিযোগ শুনেছেন।
নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি আজ প্রতিবেদন পেশ করবে, এটা জানা ছিল স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালকদের। কিন্তু প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা না করে ঠিক আগের দিন বর্ণবাদ ও বৈষম্যের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করেন তারা।
গত বছরের ডিসেম্বরে স্পোর্টস্কটল্যান্ড দ্বারা গঠিত কমিশন 'প্ল্যানফোরস্পোর্ট' তদন্ত শুরু করে। এরপর কয়েক মাস ধরে সংস্থাটি স্কটল্যান্ড ক্রিকেটের বিভিন্ন পর্যায়ের এক হাজারেরও বেশি লোকের সঙ্গে এ নিয়ে কাজ করে। প্ল্যানফোরস্পোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুইস টাইডসওয়েল বিবৃতিতে জানান, বর্ণবাদ ও বৈষম্য রুখতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।
তিনি বলেন, 'ক্রিকেট স্কটল্যান্ডের পরিচালন প্রক্রিয়া ও নেতৃত্ব প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই বর্ণবাদের ঠাসা। তদন্তের সময়কালে আমরা অনেকের সাহসিকতা দেখেছি, যারা আমাদের কাছে তাদের অভিজ্ঞতাগুলো বলেছেন এবং ওইসব ঘটনা তাদের জীবনে স্পষ্টভাবে প্রভাব ফেলেছিল। বাস্তবতা হলো, সংগঠনের নেতৃত্বে যারা ছিলেন; তারা সমস্যাগুলো দেখতে বা সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন।'
২০২১ সালে স্কাই স্পোর্টসে ক্রিকেট স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদের অভিযোগ আনেন দেশটির হয়ে ৫৪ ওয়ানডে ও ২১ টি-টোয়েন্টি খেলা মজিদ হক। সাবেক এই অফ স্পিনারের অভিযোগকে সমর্থন জানান সতীর্থ কাশিম শেখও। এরপর গত বছরই স্কটল্যান্ডের জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করে, শুরু হয় তদন্ত।