৭ বছর পর নির্দোষ প্রমাণিত ব্ল্যাটার-প্লাতিনি
ফিফার সাবেক প্রেসিডেন্ট সেপ ব্ল্যাটার এবং ফ্রান্সের ফুটবল কিংবদন্তি মিশেল প্লাতিনি দুজনকেই শুক্রবার দুর্নীতির অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে সুইজারল্যান্ডের একটি আদালত।
২০১১ সালে ২ মিলিয়ন সুইস ফ্রা লেনদেন নিয়ে অনৈতিক অর্থ লেনদেনের অভিযোগ ওঠে দুজনের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, ব্ল্যাটার প্লাতিনিকে এ অর্থ দিয়েছিলেন।
এ কারণে ২০১৫ সালে তাদেরকে ৮ বছরের জন্য ফুটবল সংক্রান্ত সব কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
দুইজনই তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছিলেন। তাদের মধ্যকার লেনদেন নিয়ে বলেছিলেন, প্লাতিনি ফিফার উপদেষ্টা হিসেবে যে অর্থ পেতেন তা পরে দেওয়া হয় তাকে।
ব্ল্যাটার আদালতে বলেছেন, ১৯৯৮ সালে ফিফার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি প্লাতিনিকে তার উপদেষ্টা হতে বলেছিলেন।
প্লাতিনি উপদেষ্টা হওয়ার জন্য বছরে ১ মিলিয়ন সুইস ফ্রা চেয়েছিলেন, কিন্তু ব্ল্যাটার তাকে জানান ফিফা এই ফি দিতে পারবে না।
এরপর বছরে ৩ লাখ সুইস ফ্রার বিনিময়ে রাজি হন।
ব্ল্যাটার এ ব্যাপারে বলেন, "এটি দুই ক্রীড়াবিদদের মধ্যে একটি চুক্তি ছিল। আমি এতে কোনো ভুল দেখিনা।"
তিনি জানিয়েছেন, ফিফা তখন আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত ছিল, তাই প্লাতিনির প্রাপ্য অর্থ পরে দেওয়ার কথা ছিল।
প্লাতিনি বলেছেন, "আমি প্রেসিডেন্টকে বিশ্বাস করতাম। জানতাম, তিনি একদিন আমার প্রাপ্য অর্থ পরিশোধ করবেন।"
প্লাতিনি ২০০২ সাল থেকে ফিফার সাথে নেই। তবে ২০১০ সাল পর্যন্ত তার প্রাপ্য অর্থ চাননি তিনি।
আদালতকে এ বিষয়ে বলেন, সে সময় তার এ অর্থের দরকার হয়নি।
২০১০ সালের পর ফিফা অনেকের অর্থ পরিশোধ শুরু করেছে জানতে পেরে সে অর্থ চাইলে ব্ল্যাটারের অনুমোদনে তা পরিশোধ করা হয়। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে প্লাতিনির অ্যাকাউন্টে তা জমা হয়।
প্লাতিনি এ নিয়ে বলেছেন, তার মনে হয়েছে ২০১৫ সালে তিনি যেন ফিফার প্রেসিডেন্ট হতে না পারেন সেজন্য ইচ্ছাকৃতভাবে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছিল।