লিটন-আফিফের ব্যাটে বাংলাদেশের লড়াইয়ের পূঁজি
হারলেই সিরিজ খোয়া, জিতলেও মিলবে না সিরিজ। তবে সিরিজ ভাগাভাগি করার সুযোগ সামনে। এমন ম্যাচে এসে তুলনামূলক গোছানো ব্যাটিং করলো বাংলাদেশ। দাপুটে শুরুর পর লিটন কুমার দাসের লড়াকু এক ইনিংস। এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুব তুলে নিলেন হাফ সেঞ্চুরি। শেষ দিকে রানের যোগান দিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। লড়াইয়ের পূঁজি পেল বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার রাতে গায়ানাতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১৬৩ রান তুলেছে। ইনিংস সেরা রান আসে আফিফের ব্যাট থেকে। মাত্র এক রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি পাননি লিটন। আগের ম্যাচে দারুণ ইনিংস খেলা সাকিব এদিন রান করতে পারেননি।
লিটনের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। এনামুল হক বিজয় দেখেশুনে খেললেও লিটনের ব্যাটে দ্রুত এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। যদিও জুটিটা বড় হয়নি। দলীয় ৩৫ রানে থামেন বিজয়। সফরজুড়ে নিজের ছায়া হয়ে থাকা ডানহাতি এই ওপেনার ১১ বলে একটি চারে ১০ রান করে বিদায় নেন ।
এদিন সাকিব বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি। চার মেরে রানের খাতা খোলা বাঁহাতি অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ৩ বলে ৫ রান করে আউট হন। এরপর জুটি গড়েন লিটন-আফিফ। তৃতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়েন তারা। লিটনের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ফেরার আগে ৪১ বলে ৩টি চার ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৯ রান করেন স্টাইলিশ এই ওপেনার।
আফিফের সঙ্গে যোগ দিয়ে মাহমুদউল্লাহ কিছুক্ষণ ব্যাট চালান। আফিফ-মাহমুদউল্লাহ গড়েন ৪৯ রানের জুটি। ২০ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এর ২ রান পরই থামেন আফিফ। এর আগে অবশ্য টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
৩৮ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৫০ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন আফিফ। শেষ দিকে নামা নুরুল হাসান সোহান ২ বলে ২ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৬ বলে ১০ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান ওডিন স্মিথ ও রোমারিও শেফার্ড।